গল্পঃ- Ex Girlfriend

পর্বঃ- ২৯


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


আমি বাসায় চলে গেলাম,অন্যদিকে অফিসের কাজ শেষ করে মেঘনাও বাসায় চলে যাচ্ছে এমন সময় করিম মেঘনাকে ফোন দিলো


করিমঃ- মেঘনা তুমি কোথায়


মেঘনাঃ- আমি অফিস থেকে বাসায় যাচ্ছি


করিমঃ- তোমার সাথে জরুরি কথা আছে, আমার সাথে দেখা করতে পারবে এখন


মেঘনাঃ- আমার খুব মন খারাপ


করিমঃ- খুব জরুরি কথা 


মেঘনাঃ- তাহলে ফোনে বলো


করিমঃ- ফোনে বলা যাবে না তুমি একটু আসো না


মেঘনাঃ- ওকে,তুমি কোথায়


করিমঃ- আমি হাসপাতালে 


মেঘনাঃ- হাসপাতালে কেন


করিমঃ- মা এক্সিডেন্ট করেছে


মেঘনাঃ- আচ্ছা আমি আসতেছি


ফোনটা রেখে মেঘনাকে হাসপাতালে চলে গেলো,যাওয়ার পর...


মেঘনাঃ- হুম বলো কী হয়েছে, আন্টি এক্সিডেন্ট করেছে কীভাবে 


করিমঃ- সব বলবো,আগে তোমাকে একটা খুশির খবর দেই


মেঘনাঃ- কী খুশির খবর 


করিমঃ- আমি আজকে শিশিরকে দেখেছি,সে এই শহরেই আছে


মেঘনাঃ- আমি জানি


করিমঃ- সত্যি!! তোমার সাথে দেখা হয়েছে 


মেঘনাঃ- কিছুক্ষণ আগে থাপ্পড় দিয়ে এসেছি


করিমঃ- কী বলছো


মেঘনাঃ- হুম,সে আমার অফিস কাজ করে


করিমঃ- তো মারলে কেন


মেঘনাঃ- দেরি করে অফিসে গিয়েছিলো তাই


করিমঃ- দেরি কেন করেছে তা জানো তুমি


মেঘনাঃ- না জানি,আর জানতেও চায় না,তুমি কী এসব কথা বলতে আমাকে ডেকেছো


করিমঃ- হুম এসব কথাই,আমার মা রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে সে,সেজন্যই ওর অফিসে যেতে দেরি হয়েছে 


মেঘনাঃ- মানে?


করিমঃ- (সব বললো)


মেঘনাঃ- কী বলছো এসব (মন খারাপ করে)


করিমঃ- এটা শুনেই মন খারাপ তোমার, আসল কথা শুনলে তো অজ্ঞান হয়ে যাবে 


মেঘনাঃ- আসল কথা মানে?


করিমঃ- তুমি জানো সেদিন শিশির কেন তোমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো


মেঘনাঃ- না জানি না


করিমঃ- শিশির তোমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তোমার বাবা দায়ি


মেঘনাঃ- মানে? কী বলছো


করিমঃ- হুম, তোমার বাবা তোমাকে আর শিশিরকে একসাথে দেখেছিলো,তাই আমাকে বলেছিলো শিশিরের খুঁজে নিতে,আমি আংকেলকে সব বলেছিলাম তোমাদের সম্পর্কে 


মেঘনাঃ- কী বাবা 


করিমঃ- হুম তোমার বাবা,আমাকে দিয়ে শিশিরের বাবাকে আটকে রেখেছিলো, তোমার বাবার কথা মতো আমি পোলাপান নিয়ে ওদেরকে শহর ছাড়তে বাধ্যা করেছি 


মেঘনাঃ- না,এ-আমি কী করলাম (করিমের কথা শুনে মেঘনা কান্না শুরু করে দিলো, কান্না করতে করতে বাড়িতে চলে গেলো) 


রহমানঃ- কী হয়েছে মা মনি,তোমার চোখে পানি


মেঘনাঃ-... (চুপ)


রহমানঃ- আমার লক্ষী মা মনি, বলো কী হয়েছে 


মেঘনাঃ- তুমি আমার সাথে কোনো কথা বলবে না


রহমানঃ- হঠাৎ কী হয়েছে তোমার, এমন ভাবে কথা বলছো কেন


মেঘনাঃ- আমি তোমার কী ক্ষতি করেছি,কেন তুমি আমার সাথে এরকম কাজ করলে


রহমানঃ- আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না, কী হয়েছে বলবে তো


মেঘনাঃ- কী করেছো মনে নেই তোমার?? 


রহমানঃ- কী হয়েছে খুলে না বললে আমি বুঝবো কী ভাবে 


মেঘনাঃ- শিশিরের কথা মনে আছে তোমার 


রহমানঃ- কোন শিশির, এই নামে তো কাউকে চিনি না


মেঘনাঃ- চিনবে কী করে,আমার সম্পর্ক আছে জানার পর তাদেরকে হুমকি দিয়ে শহর ছাড়তে বাধ্যা করে ছিলে, এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেছো সব


রহমানঃ- এসব মিথ্যা, আমি এসব করি নি


মেঘনাঃ- মিথ্যা? কী মিথ্যা বলো? করিমকে দিয়ে তুমি শিশিরের বাবাকে আটকে রাখো নি


রহমানঃ- কে বলেছে তোমাকে এসব বাজে কথা


মেঘনাঃ- করিম নিজে বলেছে সব


রহমানঃ- করিম বলেছে


মেঘনাঃ- হ্যা করিমই বলেছে,শুধু তোমার জন্য আমি আমার ভালোবাসার মানুষটাকে এতো কাছে পেয়েও হারালাম,তুমিও আমাকে হারাবে 


রহমানঃ- মা আমার এসব কথা বলে না,আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দে মা


মেঘনাঃ- না তোমার কোনো ক্ষমা নেই,তুমি আমার মরা মুখ দেখবে


রহমানঃ- এসব কথা মুখেও আনবে, তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে বলো,তুমি চাইলে আমি ঐছেলের সাথেই তোমার বিয়ে দিবো,তবুও এসব করিস না মা


মেঘনাঃ- সত্যি বলছো


রহমানঃ- হ্যা সত্যি মা


মেঘনাঃ- কিন্তু 


রহমানঃ- আবার কী হলো


মেঘনাঃ- আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি বাবা


রহমানঃ- আমার মেয়ের জন্য সাত খুন মাপ


মেঘনাঃ- সেই রকম হলে আমি তোমাকে বলতাম না,আচ্ছা আমি সময় হলে তোমাকে বলবো


রহমানঃ- আচ্ছা মা,তুমি ঘরে যাও


মেঘনার বাবা রাজী হওয়াতে মেঘনা খুশি হয়ে বাড়িতে গেলো,কিন্তু আবার মনে মনে ভাবতেছে আমাকে কীভাবে বলবে


চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post