গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ৩৫


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


আমিও বাবা-মায়ের কাছে গেলাম 


শিশিরঃ- তোমরা কখন এসেছো


বাবাঃ- কিছুক্ষণ আগে এসেছি


মাঃ- আমাদের তো একটা বাসা নিতে হবে


মায়াঃ- আন্টি আমাদের বাড়িতে বিয়ের সব ব্যবস্থা করতে পারেবন,কোনো সমস্যা নেই 


বাবাঃ- তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই আমরা কালকে যাবো, ওদের বাসায়


শিশিরঃ- আচ্ছা 


মাঃ- তুই এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়


শিশিরঃ- আচ্ছা 


এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি মা নাস্তা বানাচ্ছে


শিশিরঃ- মা তোমাকে কে বললো নাস্তা বানাতে


মাঃ- তো কে বানাবে


শিশিরঃ- কেন আমি বানতে পারি না


মাঃ- তোকে বানাতে হবে না,আমি বানাতে পারবো,তুই গিয়ে রেস্ট নে


শিশিরঃ- আচ্ছা 


এরপর আমি গিয়ে শুয়ে আছি এমন সময় মেঘনা ফোন দিলো


মেঘনাঃ- কী করো সোনা


শিশিরঃ- শুয়ে আছি 


মেঘনাঃ- ওহ


শিশিরঃ- হুম বাবা-মা এসেছে 


মেঘনাঃ- তাই,আমি আসবো


শিশিরঃ- না না,তোমাকে আসতে হবে না,কালকেই তো আমরা যাবো তোমাদের বাড়িতে


মেঘনাঃ- আচ্ছা 


এরপর নাস্তা করে আমি, মায়া, বাবা-মা সাথে মায়ার বাবা-মাও আছে সবাই মিলে অনেকক্ষণ গল্প করলাম,বাবা-মা মায়ার বাবা-মাকে নিয়ে বিয়ের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করলো


এরপর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে গেলাম পরের দিন আর অফিসে যায় নি,বিকালে বাবা-মাকে মেঘনার বাড়িডে গেলাম,প্রথম মেঘনার বাবা আমার বাবা-মায়ের সাথে কথা বললো,একটু পর মেঘনাকে নিয়ে এসেছে


মাঃ- মাশাআল্লাহ, লক্ষী মেয়ে 


মেঘনাঃ- আসসালামু আলাইকুম আন্টি 


মাঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম,কেমন আছো মা


মেঘনাঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো 


মাঃ- আমার এই ছেলেকে তোমার পছন্দ হলো কী করে,বুঝতেও পারছি,এরকম পরীর মতো মেয়ে তুমি


রহমানঃ- আপনার ছেলেও তো কম নয় বেয়াইন সাহেব


বাবাঃ- তাও ঠিক


এরপর আলোচনা করে বিয়ে দিন ঠিক করা হলো,এক সাপ্তাহ পর, শপিং করতে যাবো কালকে


এরপর আমরা আমাদের বাড়িতে চলে গেলাম, রাতে তিশাকে ফোন দিলাম


তিশাঃ- কেমন আছো 


শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তুমি


তিশাঃ- আলহামদুলিল্লাহ,কী করো


শিশিরঃ- শুয়ে আছি,তুমি


তিশাঃ- আমিও


শিশিরঃ- কালকে আমাদের সাথে যাবে


তিশাঃ- কোথায়


শিশিরঃ- বিয়ের শপিং করতে


তিশাঃ- না তোমরা যাও


শিশিরঃ- কেন


তিশাঃ- এমনি


শিশিরঃ- তুমি আমার খুব ভালো বন্ধু,তুমি না গেলে তো হবে না


তিশাঃ- আচ্ছা বাবা ঠিকআছে যাবো


শিশিরঃ- হুম,তুমি আর মায়া আমাদের ঘর সাজাবে


তিশাঃ- ওকে ফাইন


শিশিরঃ- হুম


এরপর ফোনটা রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম পরের দিন সবাইকে নিয়ে শপিং করে গেলাম 


মায়া, তিশা ও মেঘনা মিলে ওদের পছন্দ মতো শপিং করে নিলো,আমাকে মেঘনা পছন্দ করে একটা পাঞ্জাবি সহ বাকি সব শপিং করে নিলাম,


শপিং শেষ করে বাসায় চলে গেলাম, বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু ঘুম দিলাম,এরপর বিকালে মেঘনাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম,এভাবেই চলতে চলতে এক সাপ্তাহ কেটে গেলো


সময় মতো আমাদের বিয়ের দিন বিয়েটাও করে নিলাম,রাতে রুমে গেলাম দেখি আমার মিষ্টি পাখিটা বসে আছে আমাকে উঠে এলো, সালাম করতে চাইলে আমি বুকে জড়িয়ে নিলাম


শিশিরঃ- এবার খুশি তো 


মেঘনাঃ- হুম সোনা


শিশিরঃ- আজকে পুরা রাত ছাঁদে আকাশ দেখবো আর গল্প করবো


মেঘনাঃ- হুম


শিশিরঃ- তাহলে ছাঁদ চলো


মেঘনাঃ- আমাকে কোলে নাও


শিশিরঃ- ওরে বাবা,আমি পারবো না


মেঘনাঃ- তাহলে আমি যাবো না


শিশিরঃ- আচ্ছা চলো


এরপর মেঘনা কোলে নিয়ে ছাঁদে গেলাম,চাঁদের আলোতে আমার বউটাকে পরীর চেয়েও সুন্দরী লাগছে


আমি মেঘনার কোলে মাথে রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি,আর মেঘনা আমার চুল নাড়তেছে 


এভাবেই গল্প করতে করতে শেষ হলো আমাদের প্রেম কাহিনি 


    ---------------- The End---------------


বিঃদ্রঃঃ- পুরা গল্প পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হলো জানাবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post