গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন 

পর্বঃ- ২৪


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


সবাই আমাদের বাড়িতে চলো এলো 


মাঃ- আসুন বেয়াই কেমন আছেন


ভাবির বাবাঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি


মাঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো


এরপর সবাই ভিতরে গেলো, ভাবির নাস্তা দিয়ে গেলো সবাই নাস্তা শেষ করেছে এমন সময় ভাবি বললো


ভাবিঃ- বাবা,আমি আজই শিশির আর মর্জিনার বিয়ে দিয়ে দিতে চাই


ভাবির মাঃ- কিন্তু এতো তাড়াহুড়ো কেন? আমি তো না করছি না,ধুমধাম করে মেয়েটার বিয়া দিতে চেয়েছিলাম


ভাবিঃ- তোকে সব পরে বলবো


ভাবির বাবাঃ- আচ্ছা তাহলে আজ না কালই বিয়ে হবে,আজ বিয়া বাড়ি একটু সাজাতে হবে


ভাইয়াঃ- হুম তাই ভালো হবে


মাঃ- আচ্ছা তোমরা সবাই মিলে যখন বলছো তাই করা হোক


আমার বাড়িতে আলাপ আলোচনা চলছে,ঐদিকে ইতির জ্ঞান ফিরেছে 


রিয়াঃ- তোর কী হয়েছে মা,তুই এভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলি কেন


ইতিঃ- শিশির আমাকে অজ্ঞান করে পালিয়েছে


কাজলঃ- কী বলছিস


ইতিঃ- হুম তাই


কাজলঃ- এখন কী করবি


ইতিঃ- আমাকে একটু ভাবতে দে


রিয়াঃ- এতো ভাবা বাদ দে,একটা কাজ কর


ইতি কী কাজ


রিয়াঃ- শিশিরকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দে


ইতিঃ- কিন্তু কী ভাবে 


কাজলঃ- আইডিয়া 🤔🤔


ইতিঃ- কী আইডিয়া তা বল


কাজলঃ- তোর বাবাকে বল যে, পুলিশকে কিছু টাকা দিয়ে শিশির বিরুদ্ধে তোকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে মামলা করতে 


ইতিঃ- কাজটা কী ঠিক হবে


রিয়াঃ- ঠিক হবে না


ইতিঃ- কী ভাবে করবো,আমি যে ওকে ভালোবাসি 


রিয়াঃ- কিন্তু সে তো অন্য কাউকে ভালোবাসে


কাজলঃ- ঠিক তাই তোর ভালোবাসার কোনো দাম নেই ওর কাছে


ইতিঃ- ঠিক বলেছিস


রিয়াঃ- তাহলে আমি যা বলছি তাই কর


ইতিঃ- ওকে


এরপর ইতি ওর বাবার কাছে গেলো


ইতিঃ- বাবা


আমজাদঃ- বল মা


ইতিঃ- বাবা শিশির বিরুদ্ধে একটা মামলা করো


আমজাদঃ- কেন কী হয়েছে 


ইতিঃ- কিছু হয় নি,তুমি পুলিশকপ ঘুষ দিয়ে বলবে কালকের মধ্যে যেন শিশিরকে গ্রেপ্তার করে


আলজাদঃ- ঠিকআছে তুই যখন বলছিস তাই হবে


এরপর ইতির বাবা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করার জন্য রাজী করিয়াছে


এদিকে আমাদের বাড়িতে সবাই রাজি তাই বিয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে গেলো,তবে আমি আর মর্জিনা যায় নি


মর্জিনা আমাকে বললো


মর্জিনাঃ- সোনা, আজ আমি খুব খুশি


শিশিরঃ- কেন জানতে পারি


মর্জিনাঃ- বলতে হবে কেন? তুমি জানো না


শিশিরঃ- না বললে জানবো কীভাবে 


মর্জিনাঃ- ও তাই


শিশিরঃ- হুম তাই


মর্জিনাঃ- তাহলে বলবো না


শিশিরঃ- কেন কেন? বলো না লক্ষীতি


মর্জিনাঃ- কাল তোমাকে সারাজীবনের জন্য আপন করে পাবো


শিশিরঃ- কেন আমি কী এখন তোমার পর


মর্জিনাঃ- নারে সোনা,কাল আমাদের বিয়ের মধ্যে দিয়ে তুমি আর আমি একই সুতায় গাঁতা পরবো তাই না


শিশিরঃ- হুম লক্ষীতি উমমমা উমমমমমা (কিস দিয়ে)


এরপর বাড়ির সবাই কেনাকাটা করে ফিরেছে,রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম পরদিন সকালে... 


চলবে....


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 

Post a Comment

Previous Post Next Post