ভাবির ছোট বোন পর্ব ২৩

 গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন 

পর্বঃ- ২৩

লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 

ইতি কথা শেষ করে আমার কাছে এসে বললো

ইতিঃ- শিশির তোমার ভাবির সাথে কথা হয়েছে 

শিশিরঃ- কী বলেছে

ইতিঃ- তেমন কিছু না,আমি বলে দিয়েছি সব বুঝিয়ে

শিশিরঃ- আচ্ছা, এক গ্লাস পানি হবে

ইতিঃ- কী বলছো,তোমার জন্য জীবনটাও দিয়ে দিতে পারি,আর তুমি চাইছো শুধু পানি

শিশিরঃ- তোমার জীবন আমার প্রয়োজন নেই,পানি দাও

ইতিঃ- ওকে বাব্বা,এই নাও (পানি দিয়ে) 

শিশিরঃ- ধন্যবাদ 

ইতিঃ- এতে ধন্যবাদ দেওয়া কী আছে এটা তো আমার কর্তব্য 

শিশিরঃ- আমার এখন অনেক ভালো লাগছে,আমি চলে গেলে ভালো হবে

ইতিঃ- না তুমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হও নি

শিশিরঃ- না,আমি ভালো আছি

ইতিঃ- আরে তুমি এতো তাড়াহুড়ো করছো কেন?আগে তুমি সুস্থ হও 

শিশিরঃ- আমার জন্য পাগলীটা চিন্তা করবে

ইতিঃ- কোন পাগলী

শিশিরঃ- মর্জিনা 

ইতিঃ- (মনেমনে-ও তাই তাহলে আমার পথের কাটা হলো এই মর্জিনা, না শিশির তুমি কোথাও যেতে পারবে না সারাজীবন আমার সাথে থাকবে) আচ্ছা আমি বলে দিবো, সে চিন্তা করবে না

শিশিরঃ- না তুমি বুঝতে পারছো না,সে একটু অন্য রকম, আমাকে না দেখলে সে পাগল হয়ে যাবে 

ইতিঃ- (মনেমনে - আমি তো এটাই চায়) না আরে না তুমি শুধু শুধু চিন্তা করতেছো কিছু হবে না

শিশিরঃ- ও তুমি বুঝবে না

ইতিঃ- চলো আমরা খাওয়া দাওয়া করে নিই

এরপর আমরা খাওয়া দাওয়া করে নিলাম,ইতি কিছুতেই আমাকে যেতে দিতে চায় না,এভাবে দুইদিন চলে গেলো আমিও পুরোপুরি সুস্থ কিন্তু তবুও ইতি নানা তালবাহানা করে আমাকে আটকে রেখেছে

তৃতীয় দিন সকালে আমি ইতিকে বললাম 

শিশিরঃ- ইতি অনেক হয়েছে, এবার আমাকে যেতে হবে 

ইতিঃ- এখান থেকে উঠে এতো সহজে তুমি যেতে পারবে না

শিশিরঃ- মানে তুমি কী বলতে চাও

ইতিঃ- আমি তোমাকে আমার জীবন সাথী হিসাবে পেতে চাই 

শিশিরঃ- সরি,আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি 

ইতিঃ- এজন্যই তো,তুমি আজই এই মুহূর্তে আমাকে বিয়া করবে

শিশিরঃ- আমি এতো পাগল না

ইতিঃ- তুমি যদি আমাকে বিয়া না করো,তাহলে মর্জিনাকে আমার লোকজন মেরে ফেলবে 

শিশিরঃ- ইতি (চিৎকার করে)

ইতিঃ- চিৎকার করে কোনো লাভ নেই, আমি একটা ফোন দিলেই আমার লোক মর্জিনাকে তুলে নিয়ে আসবে

শিশিরঃ- ইতি জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না

ইতিঃ- আমি জোর করেই নিবো

শিশিরঃ- ঠাসসসস ঠাসসসস (থাপ্পড় দিয়ে)

ইতিঃ- হা হা হা, একটা কেন আমি আমাকে হাজারটা থাপ্পড় মারলেও আমার কোনো আপত্তি নেই, তবুও আমি তোমাকে চাই 

এরপর আমি ইতিকে পিছন থেকপ মুখ চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেললাম, সেই সুযোগে আমি পালিয়ে চলে এলাম,বাড়িতে আসার সাথে সাথে মর্জিনা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে

মর্জিনাঃ- কোথায় ছিলে এতোদিন 

শিশিরঃ- আমি তোমাকে সব পরে বলবো,এখন ভিতরে চলো

মর্জিনাঃ- I love u, উমমামমা উমমমমা (কিস দিয়ে)

শিশিরঃ- উমমমা উমমমা (কিস দিয়ে)

ভিতরপ গেলাম মা বললো

মাঃ- বাবা তোর কী হয়েছিলো,কোথায় ছিলি এতোদিন

শিশিরঃ- (সবকিছু সবাইকে বললাম)

মাঃ- আমি আর দেরি করতে চায় না,আজই বেয়াই-বেয়াইনকে আমাদের বাড়িতে আসতে বলো বউমা,আজই আমি ওদের বিয়ে দিবো

ভাবিঃ- ঠিকআছে মা

এরপর ভাবি, বাপের কাছে ফোন দিলো

ভাবিঃ- বাবা, আসসালামু আলাইকুম 

ভাবির বাবাঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম,কেমন আছিস মা

ভাবিঃ- ভালো,বাবা একটা কথা বলতে চায়

ভাবির বাবাঃ- বল মা

ভাবিঃ- বাবা,শিশির ও মর্জিনা একে-অপরকে ভালোবাসে,আমি চায় ওদের বিয়ে দিতে

ভাবির বাবাঃ- তুই চাইলে আমার কোনো আপত্তি নেই 

ভাবিঃ- তাহলে আজই তুমি আমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলো এসো

ভাবির বাবাঃ- আজ কেন

ভাবিঃ- এতো কথা বলতে পারবো না,তুমি চলে এসো বাকি সব পরে বলবো 

ভাবির বাবাঃ- আচ্ছা ঠিকআছে

সবাই চলে আসলো আমাদের বাড়িতে

চলবে...

বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।