গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ৩৪


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


পরের দিন ঘুম ভাঙে মায়ের ফোনে


মাঃ- এখনও ঘামাচ্ছিস? 


শিশিরঃ- হুম


মাঃ- আর ঘুমাতে হবে না,আজকে ওই মেয়েকে বল আমরা রাজি, আমরা শহরে আসবো তোদের ব্যাপারে কথা বলতে


শিশিরঃ- কী বলছো


মাঃ- হুম তোর বাবা বলেছে


শিশিরঃ- সত্যি 


মাঃ- হুম,ওই মেয়ের বাবা-মাকেও জানিয়ে দিবি


শিশিরঃ- আচ্ছা 


ফোনটা রেখে তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে গেলাম, অফিসে গিয়ে মেঘনার কেবিনে গেলাম 


শিশিরঃ- আসতে পারি


মেঘনাঃ- জ্বি আসুন


শিশিরঃ- ধন্যবাদ ম্যাম


মেঘনাঃ- তুমি আবারও ফাইজলামি শুরু করেছো,কে বলেছে তোমাকে ভিতরে আসার সময় অনুমতি চাইতে


শিশিরঃ- ম্যাম এটা অফিস 


মেঘনাঃ- ও তাই বুঝি


শিশিরঃ- হুম,একটা গুড় নিউজ আছে


মেঘনাঃ- হুম বলো বলো


শিশিরঃ- মা বলেছে তোমার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলার জন্য তারা শহরে আসবে


মেঘনাঃ- সত্যি 


শিশিরঃ- হুম সত্যি 


মেঘনাঃ- তাহলে আমি আজকেই বাবাকে বলবো


শিশিরঃ- হুম বলে দিও


মেঘনাঃ- চলো আজকে আমরা শপিং করতে যাবো


শিশিরঃ- থাক, আজকে না


মেঘনাঃ- কেন


শিশিরঃ- এমনি


মেঘনাঃ- না আজকেই যেতে হবে


শিশিরঃ- আচ্ছা বাবা,চলো 


মেঘনাঃ- হুম


শিশিরঃ- এই দাঁড়াও এক মিনিট 


মেঘনাঃ- আবার কী হলো


শিশিরঃ- আমার বেতনের টাকাটা দাও


মেঘনাঃ- এখন টাকা দিয়ে কী করবে


শিশিরঃ- লাগবে দাও


মেঘনাঃ- না দিবো না


শিশিরঃ- প্লিজ দাও,আজকে তোমাকে আমার টাকায় দিয়ে শপিং করে দিবো 


মেঘনাঃ- ও এই ব্যাপার 


শিশিরঃ- হুম


মেঘনাঃ- দিবো না


শিশিরঃ- এবার কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে 


মেঘনাঃ- আচ্ছা দিচ্ছি, তবুও রাগ করো না


শিশিরঃ- হুম দাও


মেঘনাঃ- এই নাও (ক্রেডিট কার্ড দিয়ে)


শিশিরঃ- কার্ড দিয়ে আমি কী করবো


মেঘনাঃ- যত টাকা লাগবে নিয়ে নিও


শিশিরঃ- ঠাসসস (থাপ্পড় দিলাম) তুমি কী মনে করেছো, তোমার টাকার জন্য আমি তোমাকে ভালোবাসি,ছিঃ মেঘনা তুমিও দেখছি তোমার বাবার মতো


মেঘনাঃ- সরি আমার ভুল হয়ে গেছে, এবারের মতো ক্ষমা করে দাও আর কোনোদিন এমন হবে না


শিশিরঃ- আমি যে বেতনের টাকা পাবো,তুমি শুধু তাই দিবে, আর মনে রেখো বিয়ের পর তুমি অফিসে আসতে পারবে না,তোমাকে ঘরেই থাকতে হবে


মেঘনাঃ- কেন


শিশিরঃ- এতো কেন এর মানে হয় না,তুমি ঘরে থাকলে বলো,না থাকলে আমি আসি


মেঘনাঃ- আচ্ছা বাবা হয়েছে, এতো রাগ করার কী আছে


শিশিরঃ- হুম টাকা দাও, আর চলো


মেঘনাঃ- হুম চলো


এরপর অফিস থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে আমি আর মেঘনা শপিংমলের দিকে রওনা দিলাম,মেঘনা আমার কাঁদে মাথা রেখে বললো


মেঘনাঃ- জানো আজকে আমার অনেক ভালো লাগছে


শিশিরঃ- তাই 


মেঘনাঃ- হুম,অনেক দিন পর প্রিয় মানুষটার কাঁদে মাথা রেখে রিক্সায় করে যাচ্ছি


শিশিরঃ- সারাজীবন এই কাঁদে শুধু তুমিই মাথা রাখবে অন্য কেউ না 


মেঘনাঃ- অন্য কেউ মাথা রাখলে আমি আগে তোমাকে মেরে ফেলবো 


শিশিরঃ- এখন মারবে নাকি


মেঘনাঃ- এখন মারলে আমার কী হবে


শিশিরঃ- বোঝো তাহলে


কথা বলতে বলতে আমরা শপিংমলে চলে গেলাম, এরপর মেঘনার পছন্দ মতো শপিং করে দিলাম,আমাকেও কয়েক জামা পছন্দ করে দিয়েছে, আমিও সেগুলো নিয়ে নিলাম


শপিং করার পর আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম লাঞ্চ করার জন্য 


ওয়েটারঃ- স্যার অর্ডার প্লিজ 


শিশিরঃ- তুমি কী খাবে


মেঘনাঃ- তোমার যা ইচ্ছে অর্ডার করো,আমিও তাই খাবো


শিশিরঃ- আচ্ছা 


আমি গরুর মাংস+ ডিম+সবজি আনতে বলেছি,সাথে তো ভাত আছেই 🤗 খাওয়া শেষ করে অরেঞ্জ জুস আনতে বলেছি,জুস শেষ করে আমরা বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম, মেঘনাকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে 


শিশিরঃ- কালকে গোলাপি রঙের শাড়ীটা পড়ে বাবা-মায়ের সামনে আসবে


মেঘনাঃ- আচ্ছা, তুমিও নীল পাঞ্জাবিটা পড়ে আসবে 


শিশিরঃ- হুম,লাভ ইউ


মেঘনাঃ- 2


এরপর আমিও বাসায় চলে গেলাম গিয়ে দেখি বাবা-মা চলে এসেছে,মায়ার সাথে গল্প করছে,আমিও সেখান গেলাম


চলবে....

Post a Comment

Previous Post Next Post