গল্পঃ- Ex Girlfriend
পর্বঃ- ২৭
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
অফিস থেকে বাসায় গিয়ে দেখি অনেকগুলো মানুষ আমি ভিতরে গেলাম গিয়ে দেখি আমার রুমে কয়েকটি মেয়ে বসে আছে, আমি ওদের বললাম..
শিশিরঃ- আপনারা কারা? আমার রুমে কী করেন
সিমা(ওদের মধ্যে একজন)ঃ- আপনি কে?
শিশিরঃ- আমার রুমে বসে আছেন? আবার আমাকে জিজ্ঞেস করছেন আমি কে?
রিতা(আরেকজন)ঃ- আপনি শিশির?
শিশিরঃ- হুম, কিন্তু আপনি জানলেন কীভাবে
সিমাঃ- ওহ আপনিই শিশির, সরি
শিশিরঃ- ইট’স ওকে,কিন্তু আপনারা কারা
রিতাঃ- আমরা মায়ার বান্ধবী
শিশিরঃ- মায়ার বান্ধবী ভালো কথা, তো আমার রুমে কী করেন
সিমাঃ- আসলে আজকে মায়াকে দেখতে আসবে
শিশিরঃ- দেখতে আসবে কেন?
রিতাঃ- ওর বিয়ের কথা চলতেছে তো
শিশিরঃ- ও আচ্ছা,
রিতাঃ- কেন? আপনি জানেন না
শিশিরঃ- কই না তো
সিমাঃ- বলেন কী? আমরা জানি আর আপনি এখানে থেকেও জানেন না
শিশিরঃ- আমি সকাল থেকে অফিস ছিলাম,তাই হয় তো জানি না
সিমাঃ- কথা তো কয়েকদিন আগে থেকেই চলতেছে
শিশিরঃ- আচ্ছা এসব কোনো ব্যাপার না,আপনারা যান,আমি একটু রেস্ট নিবো
কনা(অন্যজন)ঃ- বলেন কী, চলো যাবো মানে
শিশিরঃ- না মানে,বলছি আপনারা নিচে যান
কনাঃ- কীভাবে যাবো
শিশিরঃ- কেন পায়ে হেঁটে যাবেন,নাকি পা নেই
কনাঃ- পা তো আছে,কিন্তু মন তো যাচ্ছে না
শিশিরঃ- কেন?
কনাঃ- এরকম একটা হ্যান্ডসাম ছেলে পাশে থাকলে কার চলে যেতে ইচ্ছে করে বলেন
শিশিরঃ- সেটা তো বুঝলাম,কিন্তু ছেলেটা কই
রিতাঃ- এই তো আমাদের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে
শিশিরঃ- কই আমি তো দেখতেছি
সিমাঃ- নিজেকে নিজে কখনও দেখে না
শিশিরঃ- ও আচ্ছা তাই নাকি
রিতাঃ- হুম তাই
শিশিরঃ- আপনারা এখন আসতে পারেন
সিমাঃ- এভাবে মেহমানকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন
শিশিরঃ- আচ্ছা আপনারা বসে থাকেন,আমি ফ্রেশ হয়ে আছি
কনাঃ- ওকে,আপনি আসুন
এরপর আমি ওয়াশরুম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলাম,দেখি ওরা সবাই গল্প করতেছে,সাথে মায়াও যোগ দিয়েছে
শিশিরঃ- আপনারা গল্প করেন,আমি নাস্তা নিয়ে আসি
সিমাঃ- আরে না,আপনাকে এতো কষ্ট করতে হবে না,আসুন একসাথে গল্প করি
শিশিরঃ- ওয়েট আমি এখুনি আসতেছি
এরপর আমি বাহিয়ে গিয়ে দোকান থেকে সবার জন্য কপি ও কেক নিয়ে এলাম
কনাঃ- আপনাকে এসব কে আনতে বলেছে
শিশিরঃ- কোনো ব্যাপার না,আপনারা তো আমার মেহমান
রিতাঃ- ও তাই বুঝি
শিশিরঃ- হুম,এই মায়া তুমি চুপ করে আছো কেন
সিমাঃ- একটা সমস্যা হয়েছে ভাইয়া
শিশিরঃ- কী সমস্যা
রিতাঃ- এই বিয়েতে মায়ার মত নেই
শিশিরঃ- এতে মন খারাপ করার কী আছে, ওরা তো দেখতে আসবে বিয়ে করতে নয়,পরে বলে দিবে যে পছন্দ হয় নি
কনাঃ- সমস্যা হচ্ছে ছেলেটা মায়ার বাবার বন্ধুর ছেলে, আর আংকেল(মায়ার বাবা) চাইবে ওদের বন্ধুত্বটা আরও মজবুত করতে
শিশিরঃ- তাহলে তো মায়ার আপত্তি করার কথা না,ছেলেটা দেখতে কেমন
মায়াঃ- ঐ ছেলেকে আমার পছন্দ না
শিশিরঃ- কেন? তুমি কী দেখেছো ছেলেটাকে
মায়াঃ- হুম দেখেছি,ওই ছেলে একটা মাতাল সব সময় মাতলামি করে
শিশিরঃ- তাহলে এসব আংকেল কে বলো
মায়াঃ- বাবা এসব বিশ্বাস করে না
শিশিরঃ- আচ্ছা আমি দেখছি কী করা যায়, তুমি শুধু আজকের মতো ওদের সামনে যাবে,তা না হলে আংকেলের সম্মান হানি হবে
মায়াঃ- না আমি যাবো না
রিতাঃ- এমন করিস না দোস্ত, শিশির ভাইয়া তো বলছে ওনি আংকেলের সাথে কথা বলবে
সিমাঃ- হুম তাই ভালো হবে
আমাদের সবার বলাতে মায়া কোনো মতে রাজী হলো,এরপর সবাইকে নিয়ে অনেক গল্প করলাম,পরে পাত্র পক্ষের লোকজন এসে মায়াকে দেখে চলে গেলো
রাতে আর কিছুই করা হয় নি,খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে গেলাম, পরদিন সকালে আমি মায়ার বাবার কাছে গেলাম
শিশিরঃ- আসসালামু আলাইকুম আংকেল
মায়ার বাবাঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম,কেমন আছো তুমি
শিশিরঃ- জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো
মায়ার বাবাঃ- কিছু বলবে
শিশিরঃ- আংকেল একটা বিষয়ে কথা বলতে এসেছি
মায়ার বাবাঃ- হুম বলো
শিশিরঃ- আংকেল আপনার শুনতে ভালো না লাগলেও আপনাকে শুনতে হবে
মায়ার বাবাঃ- আচ্ছা তুমি বলো
শিশিরঃ- আংকেল মায়ার আপনার একমাত্র মেয়ে ওর ভালো মন্দ পুরাটাই আপনাকে দেখতে হবে
মায়ার বাবাঃ- হুম, সেজন্যেই তো ওরে আমার বন্ধুর ছেলের বউ করে পাঠাচ্ছি যাতে সে সুখে থাকে
শিশিরঃ- আংকেল এখানেই আপনি বড় ভুলটা করতে যাচ্ছেন
মায়ার বাবাঃ- মানে?
শিশিরঃ- আংকেল আপনি আপনার মেয়েকে সুখে রাখতে চান,কিন্তু যে ছেলের হাতে ওরে তুলে দিবেন,সেি ছেলের কাছে মায়া কোনোদিনও সুখে থাকবে না
মায়ার বাবাঃ- কী বলতে চাও তুমি...
চলবে....
Post a Comment