গল্পঃ- Ex Girlfriend
পর্বঃ- ২৫
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে অফিসে গেলাম
তিশাঃ- এই শিশির,কালকে আসো নি কেন
শিশিরঃ- এমনি ভালো লাগে নি তাই
তিশাঃ- ম্যাডাম তোমার উপর রেগে আছে যাও,দেখো কী করে
শিশিরঃ- আমি এখানে কাজ করতেছি আসি নি
তিশাঃ- তো কেন এসেছো
শিশিরঃ- রিজাইন লেটার দিতে এসেছি
তিশাঃ- এই কী বলছো এসব,তুমি কী সত্যি সত্যি চাকরি ছেড়ে দিবে
শিশিরঃ- হুম,লাগবে না এই চাকরি
তিশাঃ- তো কী করবে তুমি
শিশিরঃ- দেখি কী করা যায়
এরপর আমি ম্যাডামের কেবিনে গেলাম...
শিশিরঃ- আসতে পারি
মেঘনাঃ- জ্বি আসুন,আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছি
শিশিরঃ- আমার জন্য? কিন্তু কেন ম্যাম
মেঘনাঃ- আপনি কালকে আসেন নি কেন
শিশিরঃ- এমনি ভালো লাগে নি তাই
মেঘনাঃ- এটা কী তোর বাপের অফিস?? যে মন চাইলে আসবি না হলে আসবি না
শিশিরঃ- এই নিন (লেটার দিয়ে)
মেঘনাঃ- এটা কী
শিশিরঃ- আমার রিজাইন লেটার, আমি চাকরি ছেড়ে দিবো
মেঘনাঃ- মানে?
শিশিরঃ- হুম,আপনার অফিসে আমি চাকরি করতে চায় না
মেঘনাঃ- বললেই তো হবে না,আমি জানতাম তুই এমনটা করবি তাই আমি সেদিন সাদা কাগজে তোর সই নিয়েছিলাম
শিশিরঃ- আপনি কী বলতে চান
মেঘনাঃ- এই দেখ, এতে কী লেখা আছে (একটি কাগজ দিয়ে)
কাগজটা দেখে আমার মাথা ঘুরে গেলো,এতে লেখা আছে, কোম্পানির অনুমতি ছাড়া আমি চাইলেও এক বছর আগে চাকরি ছাড়তে পারবো না,যদি চাকরি ছেড়ে দিতে চায়, তাহলে কোম্পানিকে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে ছাড়তে হবে,অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
শিশিরঃ- এসবের মানে কী
মেঘনাঃ- আমি তোকে এমনি এমনি চাকরি দেয় নি,আমার সাথে বেইমানি করার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চাকরি দিয়েছি
শিশিরঃ- ও এবার বুঝতে পেরেছি,কেন এসব করেছেন
মেঘনাঃ- হুম,আমি জানতাম যদি তোকে আমি বকা দেয়, মারি,তাহলে তুই চাকরি ছেড়ে দিবি,সেজন্য কাজ করতে হয়েছে, তুই যদি চলে যাস তাহলে তো আমার প্রতিশোধ নেওয়া হবে না চান্দু
শিশিরঃ- ঠিকআছে,আপনার হাতে আছে আর ১১ মাস,একমাস প্রায় শেষ,ততদিন যা ইচ্ছে করে নিন
মেঘনাঃ- ততদিনে আমি তোর কলিজা ছিঁড়ে খাবো
এরপর আর কোনো কথা না বলে আমি আমার কেবিনে চলে গেলাম,দেখি তিশা ওর কেবিনে মন খারাপ করে বসে আছে
শিশিরঃ- এই তোমার আবার কী হলো
তিশাঃ- কিছু না তো
শিশিরঃ- মিথ্যা বলবে না,দেখেছি তুমি মন খারাপ করে বসে আছো
তিশাঃ- আমি মন খারাপ করলে তোমার কী,তুমি তে এখুনি চলে যাবে,মন খারাপের গল্প শুনে কী করবে
শিশিরঃ- হয়েছে আমি যাচ্ছি না
তিশাঃ- সত্যি তুমি চাকরি ছেড়ে দিবে না (একটি হাসি দিয়ে)
শিশিরঃ- হুম আমি থাকছি,আরও ১১ মাস
তিশাঃ- ১১ মাস কেন
শিশিরঃ- (সব বললাম)
তিশাঃ- কী বলছো? ম্যাম এতো খারাপ ছি, আমি ওনাকে কত বড় মনের মানুষ মনে করতাম
শিশিরঃ- থাক এসব কথা, কিন্তু আমি একটা বিষয় বুঝি নি
তিশাঃ- কী
শিশিরঃ- আমি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি না বলাতে,তুমি এতে খুশি হয়েছে কেন
তিশাঃ- কই না তো
শিশিরঃ- মিথ্যা বলবে না
তিশাঃ- এমনিই,প্রতিদিন দেখা হচ্ছে কথা হচ্ছে, হঠাৎ করে চলে গেলে মন খারাপ করবে না,এজন্যই
শিশিরঃ- ওহ,আচ্ছা অনেক কথা হয়েছে, এবার কাজ করো
তিশাঃ- হুম,তুমিও সাবধানে করবে,না হলে ম্যাডামকে ছাড়বে না
শিশিরঃ- আমি জানি,এই ১১ মাস যা ইচ্ছে করুক,সমস্যা নেই এরপর তো আমি স্বাধীন
তিশাঃ- হুম
এরপর আমি কাজে মন দিলাম,কাজ করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে এলো,তাই তিশাকে ডেকে নিলাম
শিশিরঃ- এই চলো
তিশাঃ- কই যাবে
শিশিরঃ- লাঞ্চ করবে না
তিশাঃ- হুম,করবো তো
শিশিরঃ- এজন্যই তো ডাকছি
তিশাঃ- বাব্বা! আজ আগেই ডাকা হচ্ছে কারণ কী
শিশিরঃ- কোনো কারণ নেই, আগের বার না ডেকে চলে গিয়েছিলাম,তখন তো কথা শুনিয়েছো তাই
তিশাঃ- তাহলে আমার কথা কাজে লেগেছে, ওকে চলো
এরপর আমি আর তিশা লাঞ্চ করার জন্য বের হলাম,আমাদের একসাথে লাঞ্চ করতে যাওয়াটা দেখে মেঘনার জ্বলতেছে
চলবে...
Post a Comment