গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে...
পর্বঃ- ৬
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
আমি ফ্রেশ হয়ে আসার পর...
তিশাঃ- ঐ তুই আমাকে কবে বিয়ে করবি
শিশিরঃ- মানে কী
তিশাঃ- কেন বুঝিস না, আমি তোকে কতটা ভালোবাসি
শিশিরঃ- দেখ তিশা,ফাইজলামির একটা লিমিট আছে
তিশাঃ- আমি ফাইজলামি করছি না,আমি সত্যি তোকে ভালোবাসি
শিশিরঃ- সেই ছোট বেলা থেকে তুই, এই কথা বলতে বলতে তোর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে
তিশাঃ- আমি সত্যি তোকে ভালোবাসি
শিশিরঃ- মা,এই পাগলীটাকে কিছু বলো তো
মাঃ- কেন কী হয়েছে, আমার মেয়েকে বিয়ে করতে তোর সমস্যা কোথায়
শিশিরঃ- মা,অনেক সমস্যা
মাঃ- তিশার মতো মেয়ে তুই জীবনেও পাবি না
শিশিরঃ- আমার দরকার নেই, ওর মতো ডাইনিকে
তিশাঃ- তুই আমাকে আবারও ডাইনি বলেছিস
শিশিরঃ- বলেছি বেশ করেছি
এরপর রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম,পরদিন সকালে নাস্তা করে ভার্সিটিতে গেলাম,প্রথমেই নিলা আপু হাজির
নিলাঃ- ঐ এই দিকে শুন
শিশিরঃ- হুম বলেন
নিলাঃ- আমার সাথে চল
শিশিরঃ- কোথায়
নিলাঃ- ঘুরতে
শিশিরঃ- আমি পারবো না
নিলাঃ- কি বললি তুই,আমার মুখের উপর কথা
শিশিরঃ- দেখুন আপু,আমি প্রতিদিন যদি এভাবে ক্লাস না করে, আপনার সাথে ঘুরাঘুরি করি, তাহলে তো আমি পরিক্ষায় ফেল মারবো
নিলাঃ- আমি এতো কিছু বুঝি না, তোকে যেতে হবে
শিশিরঃ- ওকে,আমি বইগুলো রেখে আছি
নিলাঃ- তাড়াতাড়ি আসবি
ক্লাসে চলে গেলাম,দেখি রিয়াদ বসে আছে,আমি গিয়ে রিয়াদকে সব বললাম, এবং নিলা আপুর হাত থেকে বাঁচার জন্য একটা বুদ্ধি চাইলাম
রিয়াদঃ- তুই আজকে নিলা আপুকে বলবি,তুই ওনাকে ভালোবাসি
শিশিরঃ- তুই পাগল হয়ে গেছিস নাকি
রিয়াদঃ- না,পাগল হয় নি
শিশিরঃ- তাহলে এখন তুই কী বললি
রিয়াদঃ- আগে আমাকে শেষ করতে দে
শিশিরঃ- ওকে বল
রিয়াদঃ- নিলা আপু যদি তোকে ভালোবাসে, তাহলে তোকে মেনে নিবে,আর যদি ভালো না বাসে তাহলে তো কাজ শেষ তোকে একটু অপমান করবে,হয়তো দুই একটা থাপ্পড় দিবে,এরপর তোকে আর কোনোদিন বিরক্ত করবে না,বরং তোকে দেখলে ওনার বিরক্ত লাগবে
শিশিরঃ- যদি ওনি আমাকে ভালোবাসে,তখন তো আমি আটকে যাবো
রিয়াদঃ- সমস্যা কী,নিলা আপুর মতো মেয়ে আর কোথাও পাবি,ওনি যদি তোকে ভালোবাসে তাহলে তুইও চালিয়ে যাবি
শিশিরঃ- দুর এসব কী বলিস,ওনি আমার সিনিয়র, শুধু তাই নয় বয়সেও অনেক বড়
রিয়াদঃ- আরে খোকা,প্রেম ভালোবাসায়,ছোট বড় দেখে না,শুধু মন দেখে
পিছন দিকে নিলা আপু এসে বললো
নিলাঃ- ঐ তুই এতো দেরি করছিস কেন? 😡😡
শিশিরঃ- এই তো আসতেছি
নিলাঃ- চলো
শিশিরঃ- তা কোথায় যাবে ঠিক করেছেন
নিলাঃ- পাশে নদীর ধারে
শিশিরঃ- ওকে চলেন
এরপর দুজনেই নদীর ধারে গেলাম,তখনই রিয়াদের বলা কথাগুলো মনে পড়ে গেলো
শিশিরঃ- আপু একটা কথা বলবো
নিলাঃ- বল
শিশিরঃ- I Love U
নিলাঃ- কী বললি তুই
শিশিরঃ- সত্যি বলছি, আমি তোমাকে ভালোবাসি
নিলাঃ- ঠাসসস,তোর লজ্জা করলো না আমাকে এ কথা বলতে
শিশিরঃ- কেন লজ্জা লাগবে কেন,আমি তোমাকে ভালোবাসি
নিলাঃ- ঠাসসস,আমার তোকে ভালো লাগে এজন্য তোর সাথে এমন করি,তার মানে এই নয় যে আমি তোকে ভালোবাসি
শিশিরঃ- কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালোবাসি
নিলাঃ- ঠাসসস,যা চলে যা আমার সামনে থেকে তুই আর কোনোদিন আমার সামনে আসবি না,লজ্জা করে না সিনিয়র আপুকে ভালোবাসার কথা বলিস, বেয়াদব ছেলে কোথাকার
শিশিরঃ- ওকে আমি চলে যাচ্ছি
এই বলে আমি চলে যাচ্ছি, আপু আমাকে মেরেছে অপমান করেছে, এতে আমসর একটুও মন খারাপ হয় নি কেননা আমি তো তাই চেয়েছিলাম,আজ থেকে আমি স্বাধীন কেউ আমাকে আর বিরক্ত করবে না,মনে মনে রিয়াদকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, ওর বুদ্ধি কাজে লেগেছে
আমি কিছু দুর যাওয়ার পর পিছনে ঘুরে দেখি,আপু এখনো সেখান দাঁড়িয়ে আছে, আমি আপুকে দেখে একটা হাসি দিলাম
নিলাঃ-(মনে মনে --- এই ছেলেকে আমি মারলাম,অপমান করলাম,অথচ ওর কোনো মন খারাপ নেই উল্টো হেসে হেসে চলে যাচ্ছে, কারণ কী?? কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে যদি না পায় মন খারাপ করে, এই ছেলে হেসে হেসে যাচ্ছে কেন)
সেখান থেকে চলে আসলাম ভার্সিটিতে
শিশিরঃ- রিয়াদ তুই আসলেই জিনিয়াস
রিয়াদঃ- কী হয়েছে রে...
শিশিরঃ- তোর দেওয়া বুদ্ধি কাজে লাগছে
রিয়াদঃ- বলসি কী, কী হয়েছে তাড়াতাড়ি বল
শিশিরঃ- নিলা আপু আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে
রিয়াদঃ- সত্যি
শিশিরঃ- হুম সত্যি, আমি এখন স্বাধীন
রিয়াদঃ- তাহলে অবশেষে তোর মুক্তি মিললো
শিশিরঃ- চলো,আজ তুই যা খেতে চাইবি,তাই তোর জন্য ফ্রি
রিয়াদঃ- শালা,এর আগে কী তুই আমার খাওয়ার জন্য বাধা দিয়ে ছিলি নাকি
শিশিরঃ- না
রিয়াদঃ- তাহলে আজ নতুন কী,প্রতিদিন তো তুই খাওয়াস,চল আজ আমি তোকে খাওয়াবো
শিশিরঃ- কিন্তু কেন মুক্তি তো পেয়েছি আমি
রিয়াদঃ- আরে বেঠা,এই প্রথম আমার বুদ্ধি কারো কাজে লাগলো
শিশিরঃ- বলিস কী 😱😱
রিয়াদঃ- হুম, এতোদিন আমি যতই বুদ্ধি করেছি সব, উল্টো হতো আজ তোর কাজে লাগছে
শিশিরঃ-এই রে আমার তো সন্দেহ হচ্ছে
রিয়াদঃ- কেন
শিশিরঃ- আমাদের প্ল্যান যদি নিলা আপু জেনে যায়
রিয়াদঃ- জানবে কী করে,এটা শুধু তুই আর আমি জানি
শিশিরঃ- ওকে চলো ক্যান্টিনে
রিয়াদঃ- চলো
এরপর দুজনেই ক্যান্টিনে গেলাম
চলবে...
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment