গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে...
পর্বঃ- ৫
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
আমি আসার পর....
তিশাঃ- ঐ মেয়েটা কে
শিশিরঃ- কোন মেয়ে?
তিশাঃ- এই দেখ (মোবাইলটা আমাকে দিয়ে)
শিশিরঃ- ওহ, ওনি নিলা আপু,কেন কী হয়েছে
তিশাঃ- তোকে কেন ফোন দিয়ে ছিলো
শিশিরঃ- কখন ফোন করে ছিলো
তিশাঃ- একটু আগে
শিশিরঃ- তুই রিসিভ করেছিলি
তিশাঃ- হুম
শিশিরঃ- আরে এটা কী করলি
তিশাঃ- কেন কী হয়েছে
শিশিরঃ- কাল আমাকে শেষ করে দিবে
তিশাঃ- কেন
শিশিরঃ- ওনার বারন আছে,আমি যেন কোনো মেয়ের সাথে কথা না বলি
তিশাঃ- কেন? ওনি কী তোর বউ
শিশিরঃ- দুর, সব সময় ফাজলামি করিস
তিশাঃ- এখানে ফাইজলামি করেছি কখন
শিশিরঃ- আমি যে কী করি,তোকে ফোন রিসিভ করতে বলেছে কে?
তিশাঃ- করেছি,তো কী হয়েছে
শিশিরঃ- যা তো এখান থেকে
তিশাঃ- মা দেখো না,তোমার ছেলে আমাকে কী বলছে
মাঃ- ঐ তোর কী হয়েছে রে
শিশিরঃ- কী হয় নি তা বলো
মাঃ- কী হয়েছে তা বলবি তো
শিশিরঃ- নিলা আপু ফোন দিয়ে ছিলো
মাঃ- আমার তো কোনো মেয়ে নেই,তোর আপু আসলো কোথায় থেকে (অবাক হয়ে)
শিশিরঃ- আরে আমাদের ভার্সির আপু
মাঃ- ও তা বলবি তো
শিশিরঃ- এই ডাইনি কী করেছে জানো
মাঃ- কী করেছে
শিশিরঃ- নিলা আপু ফোন দিয়ে ছিলো, সেটা রিসিভ করেছে
মাঃ- তো কী হয়েছে
শিশিরঃ- নিলা আপু বলেছে,আমি যেন কোনো মেয়ের সাথে কথা না বলি, এই ডাইনি ফোন রিসিভ করে কী বলছে জানি,কাল আমাকে তো মেরেই ফেলবে
মাঃ- বলিস কী😱😱 তোকে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে কেন
শিশিরঃ- আমি কী জানি
তিশাঃ- ঐ মেয়ের এতো সাহস হয় কী করে,আমার স্বামীর উপর অধিকার কাটায়
শিশিরঃ- ঐ তোর স্বামী কে?
তিশাঃ- কেন তুই
শিশিরঃ- সব সময় ফাজলামি করলে,দিবো একটা
মাঃ- হয়েছে আর ঝগড়া না করে খেতে আয়
এরপর খাওয়া দাওয়া করে, নিলা আপুকে কল দিলাম
নিলাঃ- ঐ মেয়েটা কে?
শিশিরঃ- আসলে আপু মেয়েটা আমার
নিলাঃ- তোর কী
শিশিরঃ- আমার মামাতো বোন
নিলাঃ- তোর ফোন, মেয়েটার কাছে কেন
শিশিরঃ- আরে না,আমি ওয়াশ রুমে গিয়েছিলাম তো তাই
নিলাঃ- তুই ওয়াশ রুমে গেলে,মেয়েটা তোর রুমে কী করে
শিশিরঃ- জানি না কেন এসেছিলো
নিলাঃ- দেখ ভালো করে শুন আমার কথা
শিশিরঃ- হুম বলেন
নিলাঃ- আর কোনোদিন যদি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে তোকে দেখি প্রাণে মেরে ফেলবো
শিশিরঃ- ওকে
নিলাঃ- কথাটা মনে থাকে যেন
শিশিরঃ- ওকে মনে থাকবে
নিলাঃ- খাওয়া দাওয়া করছিস
শিশিরঃ- হুম
নিলাঃ- ওকে,এখন ঘুমিয়ে যা,কাল তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে চলে আসবি
শিশিরঃ- ওকে
ফোনটা রেখে ঘুমিয়ে গেলাম,পরদিন সকালে ঘুম ভাঙে তিশার ডাক শুনে
শিশিরঃ- ঐ কী হয়েছে রে তোর
তিশাঃ- আর কতক্ষণ ঘুমাবি
শিশিরঃ- কতক্ষণ মানে
তিশাঃ- ৮ বাজে
শিশিরঃ- বলিস কী
আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি
তিশাঃ- কোথায় যাবি
শিশিরঃ- ভার্সিটিতে
তিশাঃ- না আজ আমার সাথে ঘুরতে যেতে হবে
শিশিরঃ- না,আজ গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে
তিশাঃ- তাহলে ক্লাস শেষ করে তাড়াতাড়ি চলে আসবি,বিকালে ঘুরতে যাবো
শিশিরঃ- ওকে
আমি ভার্সিটিতে চলে গেলাম,গিয়ে দেখি নিলা আপু আমাকে ডাক দিলো, আমি সেদিকে গেলাম,দেখছি নিলা আপু চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
শিশিরঃ- হুম আপু বলেন
নিলাঃ- তুই এতো লুইচ্চা কেন
শিশিরঃ- আপু কী বলছেন এসব
নিলাঃ- তোকে এতো করে বলার পরও,তুই মেয়েদের সাথে কথা বলিস কেন
শিশিরঃ- আসলে, আপু তিশা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে
নিলাঃ- তো কী হয়েছে
শিশিরঃ- আমার বাড়িতে এসেছে,কথা না বললো কী করে
নিলাঃ- ওকে,তবু বেশি কথা বলবি না
শিশিরঃ- ওকে (আমি চলে যাচ্ছি)
নিলাঃ- ঐ আমি তোকে যেতে বলেছি
শিশিরঃ- না
নিলাঃ- তাহলে চলে যাচ্ছিস কেন
শিশিরঃ- না এমনি
নিলাঃ- চল আমার সাথে
শিশিরঃ- কোথায়
নিলাঃ- ঘুরতে যাবো
শিশিরঃ- এখন
নিলাঃ- হুম,কেন কোনো সমস্যা
শিশিরঃ- না কোনো সমস্যা নেই
নিলাঃ- তাহলে এমন করছিস কেন
শিশিরঃ- কিছু না চলেন
এরপর দুজনেই ঘুরতে গেলাম,ভার্সিটির পাশে একটি বাগানে
নিলাঃ- ঐ আমি ফুসকা খাবো
শিশিরঃ- চলেন,তাহলে ফুসকার দোকানে
নিলাঃ- হুম চল
ফুসকার দোকানে গেলাম....
দোকানদারঃ- স্যার আসুন
শিশিরঃ- ভাই দুই প্লেট ফুসকা দেন
দোকানদারঃ- এই নেন (ফুসকা দিয়ে)
ফুসকা খাচ্ছি, আমার একটু ঝাল হয়েছে, নিলার আপু ঝাল খেতে পারে না
নিলাঃ- ভাই পানি দেন তো,এতো ঝাল কেন
শিশিরঃ- একটু ঝাল হয়েছে, বেশি হয় নি তো
নিলাঃ- ভাই তাড়াতাড়ি পানি দেন
দোকানদারঃ- পানি তো শেষ
শিশিরঃ- বলেন কী তাহলে, এতো ঝাল দিয়েছেন কেন
নিলাঃ- আ!! এতো ঝাল কী যে করি
শিশিরঃ- দাড়ান আমি বাহিরে থেকে পানি নিয়ে আসি
নিলাঃ- এতক্ষণ সহ্য করতে পারবো না
শিশিরঃ- তো কী করবেন
নিলাঃ- এদিকে আয়
আমি নিলা আপু কাছে গেলাম,তখন নিলা আপু চমাকে জড়িয়ে ধরে লিপ কিস দিচ্ছে, আমাদের চার ঠোঁট এক করে দিলো কিছুক্ষণ পর আপু আমাকে ছেড়ে দিলো,চারপাশে সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, হয়তো নিলা আপু লজ্জা পেয়েছে
নিলাঃ- ঐ তাড়াতাড়ি চলো এখান থেকে
শিশিরঃ- ওকে চলেন
এরপর দুজনেই বাগানে গেলাম, নিলা আপু এমন করলো কেন
নিলাঃ- ঐ কিছু মনে করিস না
শিশিরঃ- কেন
নিলাঃ- না আসলে,বেশি ঝাল হয়েছিলো তাই
শিশিরঃ- ওকে
ঘুরাঘুরি করে, আমরা বাসায় চলে গেলাম, আজ যে তিশার সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো তা আমার মনে নেই
বাসায় যাওয়ার পর..
মাঃ- এতক্ষণ কোথায় ছিলি
শিশিরঃ- একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম
মাঃ- তুই আজকে তিশাকে ঘুরতে নিয়ে যাবি বলে ছিলি,তোর মনে নেই
শিশিরঃ- ওহ,মনে নেই
মাঃ- তোর সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য মেয়েটা সেই কখন থেকে সাজগোছ করে বসে ছিলো
শিশিরঃ- মা মনে নেই তো
মাঃ- মেয়েটা কাঁদতেছে,এখন গিয়ে মেয়েটাকে শান্ত কর, না হলে রাতে তোর খাওয়া বন্ধ
শিশিরঃ- দুর
এরপর আমি ভিতরে গেলাম, গিয়ে দেখি তিশা কান্না করতেছে
শিশিরঃ- সরি
তিশাঃ- কিসের সরি
শিশিরঃ- সত্যি আসলে মনে ছিলো না
তিশাঃ- আমি তোর কে, যে আমার কথা তোর মনে থাকবে
শিশিরঃ- সরি,আর হবে না,কাল নিয়ে যাবো
তিশাঃ- নিয়ে যেতে হবে না
শিশিরঃ- এবারের মতো ক্ষমা করে দে
তিশাঃ- ক্ষমা করতে পারি,একটা শর্তে
শিশিরঃ- কী শর্ত বল
তিশাঃ- আমাকে বুকে নিয়ে একশ বার I Love U বলতে হবে
শিশিরঃ- তোর মাথা ঠিক আছে
তিশাঃ- না বললে আমি খাবার খাবো না
শিশিরঃ- দেখ ফাইজলামি করসি না
তিশাঃ- কেন তুই আমাকে ভালোবাসিস না
শিশিরঃ- না
তিশাঃ- তাহলে যখন আমাকে বিয়ে করবি,তখন কী হবে
শিশিরঃ- আমি কী পাগল যে তোকে বিয়ে করবো
তিশাঃ- কী বললি তুই আমাকে বিয়ে করবি না
শিশিরঃ- না
এই বলে আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম...
চলবে....
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন..
Post a Comment