গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে... 

পর্বঃ- ৭


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir


ক্যান্টিন থেকে নাস্তা করে নিলাম, এরপর রিয়াদ বিল দিলো,নাস্তা করে দুজনেই বের হলাম  


শিশিরঃ- আজ আমি খুব খুশি


রিয়াদঃ- হুম তুই তো মুক্তি ফেলি


শিশিরঃ- আজ আর ক্লাস করবো না


রিয়াদঃ- কেন


শিশিরঃ- খুশি খুশি লাগছে, তাই বাসায় চলে যাবো


রিয়াদঃ- ওকে যা


এরপর বাসায় চলে গেলাম


তিশাঃ- তুই আজ তাড়াতাড়ি চলে এসেছিস কেন


শিশিরঃ- আজ আমি খুব খুশি


তিশাঃ- কেন


শিশিরঃ- তা বলা যাবে না


তিশাঃ- তাই 


শিশিরঃ- হুম


তিশাঃ- এই খুশিতে আমাকে তোর আপন করে নে


শিশিরঃ- দুর,পাগলী একটা


মাঃ- ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি নাস্তা দিচ্ছি 


শিশিরঃ- হুম, চলো


এরপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম, কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম বিকালে ঘুম থেকে উঠে একটু বাহিরে ঘুরতে গেলাম, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতে বাসায় চলে আসলাম 


মাঃ- এতো রাতে কোথায় থেকে এসেছিস


শিশিরঃ- বন্ধুদের সাথে ছিলাম


মাঃ- জানিস তিশা


শিশিরঃ- তিশার কী হয়েছে 


মাঃ- মেয়েটার এখনো তোর জন্য না খেয়ে বসে আছে


শিশিরঃ- কেন? আমি কী তিশাকে না খেয়ে থাকতে বলেছি


মাঃ- বেশি কথা বলবি না,যা মেয়েটাকে নিয়ে খাবার খেতে আয়


শিশিরঃ- ওকে


আমি ভিতরে গেলাম, দেখছি তিশা রুমে নেই, গেলো কোথায়,আমি আমার রুমে গেলাম দেখছি তিশা শুয়ে শুয়ে কান্না করছে


শিশিরঃ- ঐ তুই আমার রুমে কেন


তিশাঃ- আমি তোর রুমে নয়,আমার রুম এটা


শিশিরঃ- কবে থেকে 


তিশাঃ- এখন থেকে 


শিশিরঃ- কিন্তু কী করে,এটা তো আমার রুম


তিশাঃ- হুম,আমাদের রুম


শিশিরঃ- আমাদের মানে


তিশাঃ- তোর আর আমার


শিশিরঃ- তুই সব সময় ফাজলামি করিস কেন বল তো


তিশাঃ- তুই আমার স্বামী, তাহলে এটা আমাদের রুম


শিশিরঃ- দিবো একটা,চল খাবার খেতে


তিশাঃ- যাবো না


শিশিরঃ- কেন


তিশাঃ- আগে আমাকে তোর বুকে নে


শিশিরঃ- আচ্ছা তুই কী কখনো ভালো হবি না


তিশাঃ- আচ্ছা আমার মধ্যে কী নেই, যার কারণ তুই আমাকে ভালোবাসি না


শিশিরঃ- দেখ, তুই ভালো করেই জানিস আমি কোনো মেয়েকে ভালোবাসি না


তিশাঃ- জানি,তবে আমাকে আপন করে নে


শিশিরঃ- না হবে না,এখন চল খুব ক্ষিদে পেয়েছে 


তিশাঃ- যাবো না


শিশিরঃ- আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, বেশি ক্ষিদে পেয়েছে 


তিশাঃ- কী!! তোর কষ্ট হচ্ছে, এতক্ষণ পরে বলছিস কেন,চল তাড়াতাড়ি আজ আমি তোকে নিজের হাতে খাইয়ে দিবো


শিশিরঃ- ওকে চল


এরপর খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম, পরদিন ভার্সিটিতে চলে গেলাম, দেখছি নিলা আপু ওনার বান্ধবীদের সাথে আছে,আমি দেখেও না দেখার মতো করে ভিতরে চলে গেলাম


হঠাৎ করে একটি মেয়ে এসে বললো...


ইতি(মেয়ে)ঃ- এই হিরু 


শিশিরঃ- সরি,আমার নাম শিশির, আপনি কে?


ইতিঃ- আমি ইতি


শিশিরঃ- কিছু বলবেন 


ইতিঃ- তুমি দেখছি পুরা ভার্সিটির মেয়েদের ক্রাশ


শিশিরঃ- সরি,আপনি মনে হয় ভুল করছেন


ইতিঃ- আমি ভুল করছি না,নিলার আপুর জন্য এতোদিন কোনো মেয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে দেখে নি,কিন্তু কাল যখন শুনছে নিলা আপু তোকে মেরে তাড়িয়ে দিছে,সবাই এখন তোমার জন্য পাগল হয়ে গেছে 


শিশিরঃ- এই যে,সেই কখন থেকে বকবক করে যাচ্ছেন, কী বলছেন এসব


রিয়াদঃ- কী রে,ওনি কে (পিছন থেকে) 


শিশিরঃ- জানি না,সেই কখন থেকে বকবক করে যাচ্ছে 


ইতিঃ- রিয়াদ ভাই,আমি ইতি, ফ্রেন্ড (হাত বাড়িয়ে) 


রিয়াদঃ- ফ্রেন্ড (হাত ধরে)


আসলে রিয়াদ ছেলেটা সহজ সরল, কেউ হাত বাড়ালেই তাকে আপন করে নেয়,এখন ইতিও আমাদের ফ্রেন্ড হয়ে গেছে 


ইতিঃ- আসলে আমি এতোক্ষণ মজা কর ছিলাম


শিশিরঃ- ওহ


ইতিঃ- তুমি কী নিলা আপুকে সত্যি ভালোবাসো


শিশিরঃ- না


রিয়াদঃ- আরে,এসব তো আমার বুদ্ধি ছিলো,নিলা আপুকে শিশিরের কাছ থেকে দুরে রাখার


ইতিঃ- তাই


শিশিরঃ- হুম


আমরা সবাই হেসে হেসে কথা বলছি,আমাদের কথা বলা দেখে নিলার আপুর জ্বলছে


নিলা আপু বাসায় চলে গেছে, আর মনে মনে ভাবতেছে,শিশির কী আমাকে সত্যি ভালোবাসে,দুর আমি এসব কী ভাবতেছি,না না আমার শিশিরকে চায়,আরে আমি কী ভাবছি আমি ওর সিনিয়র হই,আমিও কী শিশিরকে ভালোবাসে ফেলেছি


এমন সব কথা নিলা আপু ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো 


পরের দিন ভার্সিটিতে গিয়ে আমাকে খুজতে শুরু করে দিলো,কিন্তু আমি সেদিন ভার্সিটিতে যায় নি,নিলার আপুকে রিয়াদকে দেখে বললো


নিলাঃ- ঐ রিয়াদ,শিশির কোথায়


রিয়াদঃ- সে তো আজ আসে নি


নিলাঃ- কেন


রিয়াদঃ- জানি না 


নিলাঃ- আসলে আমার সাথে দেখা করতে বলবি


রিয়াদঃ- ওকে


কিন্তু আমি ভার্সিটিতে যায় নি,এরপরের দিনও যায় নি,আমাকে দুইদিন না দেখি নিলা আপু পাগলের মতো হয়ে গেছে 


এর পরের দিন আমি ভার্সিটিতে গেলাম, গিয়ে দেখি... 


চলবে..


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post