গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন 

পর্বঃ- ১৯


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


আমরা রিক্সায় করে পার্কে গেলাম, ঐদিকে ইতি ও তার বান্ধবীরা বলছে


ইতিঃ- আমি এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না


কাজলঃ- আমার মনে হয় তুই শিশিরকে হারাবি


ইতিঃ- না একথা বলিস না,এতোদিন পর শিশিরের দেখ পেও আমি তাকে হারাতে পারবো না


রিয়াঃ- কিন্তু তুই কী করবি যেখানে শিশিরই তোকে ভালোবাসে না


ইতিঃ- না,তাতে হতে পারে না,আমি যেভাবেই হোক শিশিরকে চাই


আমজাদ (ইতির বাবা)ঃ- কী হয়েছে আমার মাটা কাঁদছে কেন


ইতিঃ- বাবা আমার সব শেষ হয়ে গেছে (কান্না করে)


আমজাদঃ- কী হয়েছে আমাকে বল


ইতিঃ- বাবা তোমার শিশিরের কথা মনে আছে


আমজাদঃ- ঐ ছেলেটা যার সাথে ছোট বেলায় তুই প্রতিদিন স্কুলে যেতি


ইতিঃ- হ্যা বাবা, ঐছেলেটা


আমজাদঃ- ছেলেটার কী হয়েছে


রিয়াঃ- আংকেল ছেলেটার কিছু হয় নি


আমজাদঃ- তাহলে হয়েছেটা কী


কাজলঃ- আংকেল ইতি শিশিরকে ভালোবাসে


আমজাদঃ- এতে কাঁন্না করার কী,আমার মেয়ের জন্য প্রয়োজন হলে ঐছেলেকে কিনে ফেলবো


ইতিঃ- বাবা,শিশির আমাকে ভালোবাসে না


আমজাদঃ- কী বলছিস


রিয়াঃ- হ্যা আংকেল, শিশির অন্য একটা মেয়েকে ভালেবাসে 


আমজাদঃ- আমার মেয়ের খুশির জন্য প্রয়োজন হলে ঐমেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিবো


কাজলঃ- 😱😱


রিয়াঃ- কী বলছেন আংকেল 😱😱


ইতিঃ- না বাবা,তা করো সত্যি কোনোদিন চাপা থাকে না,তুমি এমনটা করলে যদি শিশির জানতে পারে,তাহলে সে আমাকে ভালোবাসা তো দুরের কথা সারাজীবন ঘৃণা করবে


আমজাদঃ- আচ্ছা মা,তুই চিন্তা করিস না,আমি দেখছি কী করা যায় 


তারা এভাবে কথা বলছে,আর এদিকে আমি ও মর্জিনা পার্কের ভেতরে গেলাম


মর্জিনাঃ- এই চলো,ঐদিকে ঝুলন্ত সেতুতে যায় 


শিশিরঃ- হুম,চলো


আমরা ঝুলন্ত সেতুর দিকে যাচ্ছি 


মর্জিনাঃ- আমার অনেক ভালো লাগছে গো,তোমার সাথে এভাবে হাঁটতে


শিশিরঃ- আমার লক্ষীটাকে অনেক ভালোবাসি 


মর্জিনাঃ- আমি জানি গো,তবুও আমার ভয় হয়


শিশিরঃ- এই পাগলী কিসের ভয়


মর্জিনাঃ- তোমাকে হারানোর ভয়


শিশিরঃ- দুর তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো, আমি তোমার আছি,তোমার ছিলাম, তোমারই থাকবে সোনা


মর্জিনাঃ- আল্লাহ যেন তাই করে 


কথা বলতে বলতে আমরা ঝুলন্ত সেতুতে গেছি


মর্জিনাঃ- এই খুব ভয় লাগছে


শিশিরঃ- কেন


মর্জিনাঃ- যদি পড়ে যায় 


শিশিরঃ- তাহলে আসলে কেন


মর্জিনাঃ- তুমি আছো তাই,আমার বিশ্বাস আছে, তুমি আমাকে পড়তে দিবে না


শিশিরঃ- কে বলেছে আমি তো তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবে


মর্জিনাঃ- তুমি কোনোদিনও পারবে না


শিশিরঃ-আমি পারবে,দেখবে


মর্জিনাঃ- হুম দেখাও 


শিশিরঃ- ওকে কাছে এসো


মর্জিনাঃ- হুম এসেছি (কাছ এসে)


শিশিরঃ- উমমমা উমমমা, আমার লক্ষী বউ (জড়িয়ে ধরে)


মর্জিনাঃ- তুমি আমাকে বউ বললে কেন? আমি তোমার বউ নাকি


শিশিরঃ- এখম না,কিন্তু হবে তো


মর্জিনাঃ- আর তুমি তো আমাকে পেলে দিবে বলেছো,জড়িয়ে ধরলে কেন


শিশিরঃ- আহা!! শখ কত,আমার বউটা নাকি পেলে দিবো


মর্জিনাঃ- এই তো আমি জিতে গেছি


শিশিরঃ- হুম,তোমাকে জিতাতে আমি হেরে যায়


মর্জিনাঃ- চলো ঐদিকে আমি ফুসকা খাবো


শিশিরঃ- হুম এসো


এরপর আমরা সেতু পার হয়ে দুজনেই ফুসকার দোকানে গেলাম


দোকানদারঃ- আসুন ভাইয়া ভিতরে আসুন


আমরা ভিতরে গিয়ে বসলাম 


মর্জিনাঃ- ভাইয়া এক প্লেট ফুসকা দাও


শিশিরঃ- এক প্লেট কেন


মর্জিনাঃ- শুধু আমার জন্য 


শিশিরঃ- ওরে বাটপার 😋 আমি খাবো না


মর্জিনাঃ- না তুমি শুধু দেখবে


শিশিরঃ- ওকে মহারানী 


এরপর দোকানদার ফুসকা দিয়ে চলে গেলো,মর্জিনা প্রথমেই নিজে না খেয়ে আমাকে খাইয়ে দিলো কিন্তু প্রছন্ড ঝাল


শিশিরঃ- ওফ কী ঝাল,ভাইয়া পানি দাও


দোকানদারঃ- পানি তো শেষ হয়ে গেছে 


মর্জিনাঃ- এতোদিন ঝাল করেছেন, আবার পানিও নাই


শিশিরঃ- ওফ কী যে করি


মর্জিনা হঠাৎ করে আমাকে অবাক করে দিয়ে,ওর ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলো,আশেপাশে যে লোকজন আছে মর্জিনা তাও খেয়াল করে নি,একটু পর আমাকে ছেড়ে দিয়ে লজ্জা পেয়ে দৌড়ে বাহিরে চলে গেলো,আমিও বিলটা দিয়ে চলে গেলাম বাহিরে


চলবে...


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post