ভাবির ছোট বোন পর্ব ১৮

 গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন... 

পর্বঃ- ১৮

লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 

ইতি আপু কান্না করতে করতে বললো

ইতিঃ- আমি এখন কী করবো

কাজলঃ- এই তোর কী হয়েছে বলতো,কালই তো তুই শিশিরকে দেখেছিস

রিয়াঃ- হে তাই তো,একদিনে তোর এতো ভালোবাসা আসলো কোথায় থেকে   

ইতিঃ- না না,শিশিরকে ছোট বেলা থেকে চিনি,সে আমার প্রাইমারি স্কুলের বন্ধু 

রিয়াঃ- কী বলছিস তুই,কিন্তু কাল তো তুই ওকে চিনতেও পারিস নি

ইতিঃ- অনেকদিন পর দেখেছি তাই, চিনতে পারি নি

কাজলঃ- তাহলে এখন কী ভাবে চিনেছিস

ইতিঃ- আজ যখন আমি আর শিশির লাঞ্চ করে ফিরছিলাম তখন আমার প্রাইমারি স্কুলের বান্ধবী কেয়ার সাথে দেখা হয়

রিয়াঃ- তো হয়েছেটা কী 

ইতিঃ- কেয়া বললো..

কেয়াঃ- এই তুমি ইতি তাই না

ইতিঃ- হে কিন্তু তুমি কে

কেয়াঃ- আমি কেয়া, আমাকে চিনতে পারছো না আমরা প্রাইমারি স্কুলে ক্লাসমেট ছিলাম

ইতিঃ- ওহ,কেয়া তোমাকে তো চেনায় যাচ্ছে না

কেয়াঃ- তোমরা দেখছি এখনোও একসাথে 

ইতিঃ- আমরা মানে

কেয়াঃ- তুমি একটু আগে শিশিরের সাথ ঐরেস্টুরেন্টে থেকে বের হয়েছে তাই না

ইতিঃ- হে,কিন্তু শিশিরকে তুমি চিনো কী ভাবে 

কেয়াঃ- আরে শিশিরকে চিনবো না,আমরা সবাই প্রাইমারি স্কুলের ক্লাসমেট ছিলাম তাই না

ইতিঃ- তাহলে এটা আমার বন্ধু শিশির 😱 

কেয়াঃ- হে,কেন তুমি জানো না

ইতিঃ- না,আমার তো ওর সাথে মাত্র কাল কলেজ পরিচয় হলো

কেয়াঃ- কী বলছো তুমি ইতি,মাত্র কয়কটি বছর না দেখে তোমার ছোট বেলার বন্ধুকে তুমি চিনতে পারো নি

ইতিঃ- সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে, আমহ আজই শিশিরকে নিয়ে ঘুরতে যাবো, সেখানেই ওকে সব বলবো,যে আমিই তার ছোট বেলার বন্ধু( এরপর আমি বাসায় চলে আসি)

কাজলঃ- আচ্ছা এই কাহিনী,তাহলে তুই শিশিরকে সব খুলে বল

রিয়াঃ- হুম তাই কর,তাহলে হয়তো শিশির তোকে চিনবে

ইতিঃ- না তা আর সম্ভব না,সব শেষ হয়ে গেছে 😥😥

কাজলঃ- কী শেষ হয়ে গেছে 

ইতিঃ- শিশির আমাকে ভালোবাসে না

রিয়াঃ- আরে তোরা তো ছোট বেলায় বন্ধু ছিলি,এর কত বছর তোদের দেখা হয় নি,তাহলে ভালেবাসা আসবে কোথায় থেকে

কাজলঃ- একদম ঠিক,তোকে এখন বলতে হবে যে শিশিরে আমি তোকে ভালোবাসি 

ইতিঃ- হুম আমি তাই করবো

ওরা এভাবে কথা বলছে,এদিকে আমি মর্জিনাকে শান্ত করার চেষ্টা করতেছি

শিশিরঃ- প্লিজ সোনা আমার,তুমি শান্ত হও 

মর্জিনাঃ- আমি কী ভাবে শান্ত হবে,আমার সব স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে 

শিশিরঃ- তোমার কোনো স্বপ্ন ভেঙে যাবে না,আমি তে তোমারই আছি 

মর্জিনাঃ- কথা দাও কোনোদিন আমায় ছেড়ে যাবে না

শিশিরঃ- কথা দিলাম,এখন তুমি রেডি হও আজ অনেকক্ষণ ঘুরবো তোমায় নিয়ে

এরপর মর্জিনা গিয়ে রেডি হয়ে আসলো,আমরা ঘুরতে যাবো এমন সময় ভাবি বললো

ভাবিঃ- তোরা কোথায় যাচ্ছিস

শিশিরঃ- ভাবি মর্জিনাকে নিয়ে একটু আমাদের পাশের পার্কটা ঘুরে দেখাতে যাচ্ছি 

মাঃ- ওমা তোরা দু'জনকে তো খুব সুন্দর মানিয়ে

ভাইয়াঃ- হ্যা মা,একদম ঠিক বলেছো,মা তুমি যদি চাও ওদের দু'জনকে এক করে দিবো

মাঃ- হুম তাই ভালো হবে

তার এমন কথা বলাতে আমি আর মর্জিনা লজ্জা পেয়ে দৌড়ে বাহিয়ে চলে গেলাম 

মর্জিনাঃ- দুলাভাই কিন্তু সত্যি কথাই বলেছে তাই না

শিশিরঃ- যেমন

মর্জিনাঃ- আমাদের দু'জনকে এক হতে

শিশিরঃ- না এক হবো না

মর্জিনাঃ- কি বললে,কুত্তা,বিড়াল,ইদুর

শিশিরঃ- এই এই শান্ত হও 

মর্জিনাঃ- না আজ তোমাকে মেরেই ফেলবো

শিশিরঃ- আ!!! (শুয়ে পড়ছি মর্জিনার কোলে)

মর্জিনাঃ- এই এই কী হয়েছে তোমার, প্লিজ কথা বলো, আমি খেয়াল করে নি,এই শিশির প্লিজ কথা বলো (কান্না করে)

শিশিরঃ- এই পাগলী, আমার কিছুই হয় নি দেখো আমি ঠিক আছি

মর্জিনাঃ- শয়তান, আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,যাও তোমার সাথে কথা বলবো না

শিশিরঃ- আমার মিষ্টি পাখি উমমমমা (কিস দিয়ে)

মর্জিনাঃ- তবুও হবে না

শিশিরঃ- আমার মিষ্টি পাখি,রাগ করো না এখন চলো

এরপর আমরা একটি রিক্সা নিয়ে ঘুরতে গেলাম

মর্জিনাঃ- আজ আমার কথা ভালো লাগছে 

শিশিরঃ- কেন

মর্জিনাঃ- আজ আমার স্বপ্ন গুলোর মধ্যে থেকে একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে 

শিশিরঃ- কী স্বপ্ন 

মর্জিনাঃ- আমার স্বপ্ন ছিলো,তোমায় কাঁদে মাথা রেখে রিক্সায় ঘুরে বেড়াবো

শিশিরঃ- তুই, তাহলে বলো তোমার আর কী কী স্বপ্ন আছে,আমি চেষ্টা করবো বাকি গুলোও যাতে সত্যি হয়

মর্জিনাঃ- আমার শুধু একটাই স্বপ্ন তোমাকে আপন করে পাও

আমরা কথা বলতে বলতে পার্কে গেলাম

চলবে....

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন..