গল্প জ্বিনের সংসার

চমক পর্ব - ১০

#লেখক__মোঃ__নিশাদ


___জান্নাতের মামা ও বাবা চিন্তায় চিন্তায় ঘুমিয়ে পড়লেন। 


পরেরদিন সকলে জান্নাত ও তার বর নাস্তা করার সময় জান্নাতের বাবা জান্নাতের বরকে উদ্দেশ্য করে বললেন। 


 জান্নাতের বাবা- জামাই তোমাকে একটা কথা বলি।? 

জান্নাতের বর - কি কথা বাবা, বলেন।


জান্নাতের বাবা- গত কাল রাতে তুমি কি কোথাও গিয়েছিলে। 

  জান্নাতের বর - না বাবা, কোথাও তো যাইনি। আমিতো ঘরেই ছিলাম। 


জান্নাত - হ্যাঁ বাবা ও তো আমার সাথেই ছিলো কোথাও যায়নি। 

  জান্নাতের মামা- আসলে, কাল রাতে আমি ও দুলাভাই জামাইকে বাঁশ ঝাড়ের দিকে যেতে দেখছি। 


জান্নাতের বর - মামা, জানিনা আপনারা কাকে দেখছেন। আমিতো রুমে ছিলাম আপনাদের হয়তো ভুল হচ্ছে কোথাও। 


জান্নাতের বাবা- হ্যাঁ হতে পারে। তোমরা খাও বাবা। 


 ____এই বলে আর কথা না বাড়িয়ে জান্নাতের মামা ও বাবা নাস্তার টেবিল থেকে উঠে বাইরে গেলেন। 


বাইরে গিয়ে জান্নাতের মামা বললেন,, দুলাভাই জামাইকে তো জিজ্ঞেস করলাম। কাল রাতে জামাই বাইরে যায়নি তাহলে আমরা কাকে দেখলাম। 


জান্নাতের বাবা- শোন আমার কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে। 

জান্নাতের মামা- হ্যাঁ দুলাভাই, আমারো কেমন কেমন লাগছে,, দুলাভাই বলছিলাম একটা কাজ করি। আমার পরিচিত একটা কবিরাজ আছে৷ চলো ওনাকে গিয়ে নিয়ে আসি, ওই কবিরাজের সাথে জ্বিন থাকে। কবিরাজ জ্বিনের মাধ্যমে সংবাদ নিয়ে সব বলতে পারে। 


জান্নাতের বাবা - ঠিক আছে তাই করি চল এখনি গিয়ে নিয়ে আসি। 


____এই কথাটা বলে, বাড়িতে আর দেরি না করে, দুজনে সেই কবিরাজকে নিয়ে আসলেন। 


কবিরাজ বাড়িতে আসায় জান্নাতের মা, মামি, ও জান্নাত এরা সবাই জিজ্ঞেস করতে লাগলো হঠাৎ কবিরাজ কেনো। 


ওদের কথায় জান্নাতের বাবা বললেন, কবিরাজ নিয়ে আসছি দরকার আছে, মা জান্নাত তুই জামাইকে নিয়ে ঘরে যা। 


জান্নাতের বাবার কথায় জান্নাত ওর বরকে নিয়ে রুমে গেলেন। 


এদিকে কবিরাজ জান্নাতের মামা ও বাবার মুখে আগের সব ঘটনা শুনলেন,, সব শুনে কবিরাজ তাদের বাড়ির চারিদিকে ঘুরে দেখলেন। 


বাড়ির চারিদিকে ঘুরে কবিরাজ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। এদিকে কবিরাজকে অবাক দেখে জান্নাতের মামা বললেন,, কবিরাজ সাহেব আপনাকে অবাক লাগছে কিছু হইছে কি বলুন কোন সমস্যা হলে। 


কবিরাজ - সমস্যা মানে অনেক বড় সমস্যা। আমি ভাবছি আসল রহস্য যানার পর আপনারা সহ্য করবেন কিভাবে,, মেনে নিতে পারবেন তো। 


জান্নাতের বাবা- কিহহ এমন কথা, কবিরাজ সাহেব সব খুঁলে বলুন তো। 


কবিরাজ - আচ্ছা একটু আগে, আপনি যে মেয়েটার সাথে কথা বললেন ও কে যাকে রুমে যেতে বললেন। 


জান্নাতের বাবা - ও আমার মেয়ে জান্নাত, আর ওর পাশেরটা ওর বর। 


 কবিরাজ - আপনাদের সবাইকে বোকা বানিয়েছে ওই সারফারাজ জ্বিন। কারণ আপনারা যাকে জান্নাত ভাবছেন সে আসলে জান্নাত না। জান্নাতের রুপে একটা জ্বিন আপনাদের সাথে বসবাস করছে, সুধু জান্নাত না জান্নাতের বর আপনারা যাকে জামাই বলছেন, সে ও একটা জ্বিন। 😲


জান্নাতের বাবা- কিহহহ, কবিরাজ সাহেব কি বলছেন টা কি ____ 😱


এই বলে কবিরাজের কথায় জান্নাতের বাবা দৌড় দিয়ে রুমে গিয়ে দেখলেন, জান্নাত ও তার বর রুমে নেই, রুমে কেন বাড়িতে কোথাও নেই। জান্নাতকে না পেয়ে ওর বাবা আবার কবিরাজের কাছে ফিরে আসলেন এসে বললেন। 


জান্নাতের বাবা - কবিরাজ সাহেব, আপনার কথায় ঠিক, তাহলে আমার মেয়ে কোথায়। 


 কবিরাজ - জান্নাত এখন জ্বিনদের রাজ্যে। সারফারাজ জ্বিনের কাছে,, আপনারা ভাবছেন অন্য ছেলের সাথে জান্নাতের বিয়ে দিছেন, কিন্তু না জান্নাতের বিয়ের আগের রাতেই সেই সারফারাজ জ্বিন জান্নাতকে তার রাজ্যে নিয়ে গেছে। জান্নাতের কোন বিয়ে হয়নি সব সারফারাজ জ্বিনের সাজানো নাটক। 


জান্নাতের মামা- কবিরাজ সাহেব, জান্নাতের কিছু হয়নি তো। ওকে ফিরে আনতে পারবেন। 


কবিরাজ - জান্নাত জ্বিনদের রাজ্যে আছে। ভালো আছে,, আর আমি ওকে ফিরিয়ে আনতে পারবোনা কারণ সারফারাজ জ্বিন অনেক শক্তিশালী। ও নিজে থেকে জান্নাতকে ফিরিয়ে দিলে দিবে না দিলে নাই। 


এই বলে কবিরাজ সেখান থেকে চলে জান।। ____


তারপর ____

Next____

Post a Comment

Previous Post Next Post