গল্প জ্বিনের সংসার


পর্ব - ১১

#লেখক__মোঃ__নিশাদ


কবিরাজ চলে জাবার পর। জান্নাতের মা বাবা মামা মামী সবাই কান্না করতে থাকেন। একমাত্র মেয়েকে এভাবে হাড়িয়ে ফেললেন। 


জান্নাত জ্বিনের রাজ্যে, এটা যেনো কোনভাবে মানতে পারছেনা। 


জান্নাতের বাবা ও মামা আরো কয়েকজন হুজুর কবিরাজের কাছে গিয়েছেন। সবাই ওই একি কথা বলেন, সবাই বলেন সারফারাজ জ্বিন অনেক শক্তিশালী ওর সাথে আমরা লাগতে জাবোনা। সবাই এটাও বলেন জ্বিন খারাপ না ও ভালো। আপনাদের মেয়েকে সময় হলে বাড়িতে নিয়ে আসবে। 


কি আর করার হুজুর কবিরাজের কথা শুনে জান্নাতের মা বাবা আশা ছেড়ে দেন।


তিনদিন ধরে জান্নাত জ্বিনদের রাজ্যে এদিকে জ্বিনদের রাজ্যে জান্নাতের কি অবস্থা হলো চলুন জেনে আসি। 


সারফারাজ জ্বিন - এইযে উঠুন। অনেক ঘুমিয়েছেন। 

 

জ্বিনের কথায় জান্নাত চোখ খুলে চমকে উঠে বললো। 


 জান্নাত - আপনি,, আমি কোথায় এটা কোন জায়গা।


 সারফারাজ - কোন জায়গা আবার তোমার শশুর বারির এলাকা। 


জান্নাত- মানে। বলুন আমি কোথায়। এটা কোন জায়গা। 


সারফারাজ - তুমি আমাদের রাজ্যে এটা জ্বিনের রাজ্যো। 


জান্নাত- কিহহহ, আমি জ্বিনদের রাজ্যে মা বাবা তোমরা কোথায় মা.....


 সারফারাজ - আরে ধুর চিৎকার করোনা। তোমার চিৎকার কি তোমার মা বাবা শুনবে নাকি। 


জান্নাত - আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসছেন। প্লিজ আমাকে বাড়িতে রেখে আসেন। কাল আমার বিয়ে। 


 সারফারাজ - এখনো কাল নিয়ে পড়ে আছো। তুমি আমার এখানে আছো তিনদিন হলো। তিনদিন আগে তোমাকে নিয়ে আসছি। 


  জান্নাত- কিহহহ, আমি তিনদিন আগে এখানে আসছি। কি বলেন। 


সারফারাজ - ঠিকি বলছি,, বলছিনা। তোমাকে অন্য কেউ বিয়ে করতে পারবেনা। তোমার বিয়ের আগে রাতে তোমাকে নিয়ে আসছি। 


 জান্নাত - প্লিজ আমার ভয় করছে, আমাকে বাড়িতে রেখে আসুন। 

সারফারাজ - বাড়িতে রেখে আসলে, তোমার মা বাবা আবারো তোমার বিয়ে দিতে চাইবে। তাই তোমাকে বাড়িতে রাখা জাবেনা, তুমি আমার কাছে থাকবে। 


 জান্নাত- কেউ আছো, বাঁচাও আমাকে। 

সারফারাজ - পাগলী করে কি,, কে আছে তোমাকে বাঁচাবে৷ আর আমি কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি, বা মারছি৷ 


জান্নাত - না 

সারফারাজ - তাহলে, চিৎকার করছো কেনো। আমি তোমাকে পছন্দ করি, এটা তো জানো তোমার কোন ক্ষতি করবোনা বুঝলা তাই চিৎকার না করে, আমার রাজ্যো ঘুরে দেখো ভালো লাগবে। 


জান্নাত - না পারবোনা। আমাকে বাড়িতে রেখে আসো। 

 সারফারাজ - রেখে আসবো তিনমাস পর। 


জান্নাত - কেন তিনমাস পর কে এই তিনমাস কি আমি এখানেই থাকবো। 


সারফারাজ - হ্যাঁ এখানেই থাকবে। তিনমাস পর তোমার বয়স বিশ বছর পূর্ণ হবে বিশ হলে তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবো। তাই তিনমাস এখানেই থাকতে হবে।। 


জান্নাত- দেখুন, আমার মা বাবা অনেক চিন্তা করবে। তিনমাস আমি এখানে থাকলে ওনারা তো আমাকে খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে জাবে। 


সারফারাজ - না ওনারা তোমাকে খুঁজবেনা। ওনারা জানে তুমি আমার কাছে আছো। 


জান্নাত - আমি জ্বিনদের রাজ্যে কিছু চিনিনা। সবাই জ্বিন আমি মানুষ। আমি এখানে থাকবো কিভাবে। 


সারফারাজ - আমি তোমাকে নিয়ে ঘুরবো ফিরবো কোন চিন্তা করোনা। 


সারফারাজ ও জান্নাতের কথার মাঝে সেখানে একটা ফুটফুটে সুন্দর বাচ্চা আসলেন। এসে সারফারাজকে উদ্দেশ্য করে বললেন। 


বাচ্চা টা - মামা জান, আপনি কেনো, ওনাকে নিয়ে ঘুরবেন, ওনিতো ঘুরবে আমার সাথে। 


 বাচ্চা টার মুখে কথাটা শুনে সারফারাজ মুসকি একটা হাসি দিয়ে বললো৷ ঠিক আছে মা তুমি নিয়ে ঘুরো। তুমিকি ওনাকে চিনো। 


বাচ্চাটা - হুম বাবা বলেছে, ওনার নাম জান্নাত। আর ওনি মানুষ জাতি। 


 জান্নাত - কে ও বাচ্চা টা কে। 

সারফারাজ - আমার বোনের মেয়ে, তোমাদের সর্ম্পকে যেটাকে ভাগনি বলে ও আমার ভাগনি।। 


জান্নাত - ওহহ, মামনি তোমার নাম কি। 

বাচ্চাটা - আমার নাম, ইকরা। 


সারফারাজ - জান্নাত, আমিতো সব সময় তোমার সাথে থাকতে পারবোনা। ইকরা তোমার সাথে থাকবে গল্প করবে, তুমি চাইলে ওর সাথে আমাদের জ্বিনের রাজ্যো ঘুরে দেখতে পারো। 


____এখন আমি, আসছি তুমি খাবারটা খেয়ে নাও। 


জান্নাত- না খাবোনা, আমাকে বাড়িতে রেখে আসেন, নইলে খাবোনা। 


সারফারাজ - না খেলে তোমারি কষ্ট হবে। খেয়ে নাও পাগলামী করোনা। 


 ইকরা- মামনি খেয়ে নাও। এগুলা খাবার অনেক সুস্বাদু। 


সারফারাজ - দেখছো, ইকরা মা সবি জানে, খেয়ে নাও। আমি কাজে একটু বাইরে যাচ্ছে। একটু পর আসবো। 


এই বলে৷ সারফারাজ সেখান থেকে চলে গেলেন। 


তারপর _____

Next____

Post a Comment

Previous Post Next Post