গল্প জ্বিনের সংসার
পর্ব - ১২
#লেখক__মোঃ__নিশাদ
সারফারাজ সেখান থেকে চলে গেলেন। ও চলে জাবার পর জান্নাত ইকরাকে জিজ্ঞেস করলো।
জান্নাত - তোমার বয়স কত মামনি।
ইকরা- আমার বয়স পঁচিশ বছর।
জান্নাত - কিহহ,, মজা করছো তাইনা। তুমিতো এখনো ছোট বাবু পিচ্চি।
ইকরা - তাতে কি, আপনি কি জানেন না আমি জ্বিন জাতী আর জ্বিন জাতীর বাচ্চাদের বয়স এরকমি।
জান্নাত - তোমাকে পিচ্চি বলছি, এদিকে বয়সে তুমি আমার থেকে বড়৷ 😁
ইকরা- 😅
জান্নাত - আচ্ছা তোমার মামা, ওইযে সারফারাজ জ্বিন ওনি কোথায় গেলো।
ইকরা- মামা মনে হয় বিচার করতে গেছে। কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি দেন মামা।
জান্নাত - ওহহ।
ইকরা - মামনি, চলেন এখন আমরা বাইরে যাই। আপনি তো জ্বিনদের রাজ্যো কখনও ঘুরে দেখেননি। চলে আমার সাথে চলেন।
জান্নাত - না মা আমার ভয় করে। আমি জাবোনা।
ইকরা - হেহেহে, কেনো ভয় করবে, আমি আছিনা আপনার সাথে। আর আপনাকে জ্বিনদের রাজ্যে কম বেশি অনেকে চেনে। কেউ আপনার কিছু করবেনা, চলুনতো আমার সাথে চলুন৷
____এই বলে ছোট ইকরা, জান্নাতের হাত ধরে জান্নাতকে নিয়ে বাইরে গেলেন।
বাইরে বেড়িয়ে জান্নাত পিছন ফিরে অবাক হলেন, কারণ এতক্ষন সে যেখানে ছিলো সেটা বাড়ি মনে করছিলো কিন্তু এটা বাড়ি না খুব সুন্দর বিশাল একটা প্রসাদ।
জান্নাত অবাক হয়ে ইকরাকে জিজ্ঞেস করে, এতক্ষন কি আমি এটার ভিতরে ছিলাম।
জবাবে ইকরা বলে, হ্যাঁ মামনি এটাতো মামার প্রসাদ।। এখন চলো আমরা ওই বাগানের দিকে যাই।
ইকরার কথায় জান্নাত, ওর সাথে বাগানে গেলেন, সেখানে গিয়ে জান্নাত দেখলেন, নানা রকমের ফল মূল, ও চারিদিকে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ৷
সেই গাছ গুলো দেখাশোনার জন্য কিছু জ্বিন রাখা, জ্বিন গুলো ফল ফুলের গাছ গুলো দেখাশোনা করে।
এদিকে জান্নাত সেখানে দেখে, ওখানে থাকা জ্বিন গুলো জান্নাতের সাথে কথা বলেন।
শুরুতে জান্নাতের ভয় করলেও। পরে আস্তে আস্তে জান্নাত ও তাদের সাথে কথা বলেন গল্প করেন। _____
গল্প করার এক ফাঁকে সেখানে থাকা জ্বিন গুলো জান্নাতকে কিছু ফল এনে খেতে বলেন।
প্রথম প্রথম ভয় করলেও জান্নাত পরে ফল গুলো খাঁন।
এদিকে কিছুক্ষন পর সারফারাজ জ্বিন সেখানে চলে আসেন।
সারফারাজকে দেখে সেখানে থাকা জ্বিন গুলো যে যার মত কাজে চলে জান।
এদিকে জান্নাত দেখেন, সারফারাজের সাথে একটা সুন্দরী পরী দাঁড়িয়ে আছে।
জান্নাত কিছু বলার আগেই, ছোট ইকরা মা মা বলে সেই পরীটার দিকে এগিয়ে গেলেন।
এদিকে পরীটা এগিয়ে এসে, ইকরাকে কোলে নিয়ে। জান্নাতকে উদ্দেশ্য করে বললেন।
কেমন আছো জান্নাত, আমি ইকরার মা, সারফারাজ আমার ভাই।
পরীর কথায় জান্নাত, উওর দিলেন, তাদের মাঝে কিছুক্ষন কথোপকথন হলো। কথা শেষে পরী ইকরাকে নিয়ে চলে গেলেন।
এদিকে ওরা চলে জাবার পর সারফারাজ জান্নাতকে বললেন।
সারফারাজ - কিহ, কেমন লাগছে আমাদের জ্বিনদের রাজ্যো।
জান্নাত - আপনাকে বলবো কেনো গুন্ডা কোথাকার।
সারফারাজ - গুন্ডা, কে গুন্ডা। আমি আবার কি করলাম।
জান্নাত - গুন্ডা নয়তো কি। কার বিচার করতে গিয়েছিলেন শুনি।
সারফারাজ - ওহহ, এই কথা বিচার করলে বুঝি গুন্ডা হয়।
জান্নাত - তা নয়তো কি।
সারফারাজ - এই বোকা, আমার সর্ম্পকে এখনো কিছু জানেনা। আমি এই জ্বিনদের রাজ্যে সকল জ্বিনের সর্দার। 😮
কেউ কোন অপরাধ করলে, তাকে আমাদের নিয়ম মোতাবেক শাস্তি দেয়া হয়।
জান্নাত - ওহহ,, আমি ভাবছি অন্যায় ভাবে কারো বিচার করলেন।
সারফারাজ - সব সময় তো সুধু ভুল বুঝে গেলা। কখনও কি আমাকে নিয়ে ভেবেছো, জ্বিন বলে কি আমাকে ভালোবাসতে পারোনা।
আচ্ছা বাদদাও, চলো প্রসাদে চলো।
এই বলে সারফারাজ জান্নাতকে নিয়ে, প্রসাদের দিকে যেতে থাকেন,, তখন জান্নাত সারফারাজকে বলেন। আচ্ছা একটা কথা বলি ______
সারফারাজ - কিহ কথা বলো।
জান্নাত - আমি আজকে জ্বিনদের রাজ্যে আসলাম, কিন্তু আমার কেনো জানি মনে হয়, আমি এর আগেও এখানে আসছি, এই সব জায়গা কেন জানি চেনা চেনা লাগে।
সারফারাজ - তাই নাকি,, চেনা চেনা লাগতেই পারে। কারণ আছে, সময় হলে সব জানতে পারবা এখন চলো।
জান্নাত - আমি বাড়ি জাবো কবে, কখন।
সারফারাজ : আর দুইমাস বাকি দুইমাস পর জাবে।
এই কথাটা বলে সারফারাজ জান্নাতকে নিয়ে প্রসাদের ভিতরে চলে গেলেন ____
তারপর ____
Next____
Post a Comment