গল্প জ্বিনের সংসার

পর্ব - ১৩

#লেখক__মোঃ__নিশাদ


সারফারাজ জান্নাতকে নিয়ে প্রসাদের ভিতরে গেলেন। সেখানে যাবার পর জান্নাত সারফারাজকে বললেন। 


 জান্নাত - আচ্ছা একটা কথা বলি। 

সারফারাজ - কি কথা বলো। 

জান্নাত - ইকরা খুব মিষ্টি দেখতে, ও কি আর আসবেনা আমার কাছে,, ওর মা তো ওকে নিয়ে চলে গেলো।


সারফারাজ - হ্যাঁ আসবে। ওর মায়ের সাথে গেছে তাঁতে কি হইছে,, তোমার কি ওকে ভালোলাগে। 


 জান্নাত - ভালো লাগবেনা, কত কিউট সুন্দর একটা মেয়ে, ইকরা বড় হলে সুন্দর পরী হবে। 


____বলছিলাম, আমিতো একাই থাকি। ইকরা যদি আমার সাথে থাকতো ভালো হত, ওকে নিয়ে থাকতাম৷ 


সারফারাজ - ওহহ, ওকে ঠিক আছে,, তুমি ইকরার সাথে থাকবে। একটু পর ইকরা চলে আসবে। 


এই কথাটা বলে সারফারাজ বাইরে গেলেন। 


সারফারাজ বাইরে যাওয়ার কিছুক্ষন পর ছোট ইকরা সেখানে চলে আসলেন ইকরাকে দেখে জান্নাত দৌড়ে গিয়ে ইকরাকে কোলে নিয়ে বললেন। 


 জান্নাত - কেমন আছো মা। তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যেওনা আমার সাথে সাথে সব সময় থাকবা। 


ইকরা- ঠিক আছে, মামনি সব সময় থাকবো।। এখন তুমি খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। তোমার তো ঘুমের দরকার। 


ইকরার কথায়, জান্নাত নিজে খাবার খেলেন, ইকরাকেও খাবার খাইয়ে দিলেন। 


খাওয়া শেষে, জান্নাত ঘুমিয়ে পড়লেন, ঘুমের মাঝে জান্নাত স্বপ্নে তার মা বাবাকে দেখলেন, জান্নাত দেখলেন, তার মা বাবা তার জন্য কান্না করছে৷ জান্নাতকে ডাকছে.... 


 এই দৃশ্য দেখে জান্নাত, চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে৷ চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠায়, সারফারাজ জান্নাতকে বলেন। 


সারফারাজ - জান্নাত, কি হলো চিৎকার দিলা কেনো। ভয় পেয়েছো নাকি। 


 জান্নাত - না মা বাবাকে স্বপ্নে দেখছি৷ মা বাবা আমাকে ডাকছে, আমার জন্য কান্না করছে। 


আমি আপনাকে একটা অনুরোধ করবো শুনবেন। 


সারফারাজ - অনুরোধ করতে হবেনা এমনি বলো কি বলবে,, মা বাবার কাছে যেতে চাও। 


 জান্নাত - হ্যাঁ। 

সারফারাজ _ কিন্তু তোমার তো এখনো একমাস বাকি আরো একমাস থাকতে হবে। 


জান্নাত _ আমি বাড়িতে থাকবোনা, আপনাকে কথা দিলাম৷ বাড়িতে গিয়ে মা বাবাকে দেখে একটু কথা বলে চলে আসবো। 


 সারফারাজ - সত্যি তো। 

জান্নাত - হ্যাঁ সত্যি। 🥺

সারফারাজ - ওকে, নিজের কথা রেখো। মনে রেখো পরে কথা ঘুরাবানা, কোথাও পালাবানা, পালিয়ে বা লুকিয়ে কোন লাভ নেই, আমি জ্বিন তোমাকে ঠিকি খুঁজে বের করবো। 


 জান্নাত - হুম আমি জানি, আমি কোথাও জাবোনা। কথা দিলাম। আর একটা কথা আমিকি ইকরাকে সাথে নিয়ে যেতে পারি,, আমি মা বাবা ছাড়া কাউকে বলবোনা। ইকরাকে কোথাও যেতে দিবোনা। 


সারফারাজ _ ঠিক আছে, তবে সাবধানে থেকো। মনে রেখো ইকরা এখনো ছোট বাচ্চা,, তোমাদের সমাজে ইকরা এখনো তিন চার বছরি বাচ্চা। জ্বিনদের হিসাব একটু আলাদা।। ইকরাকে দেখে রেখো। 


জান্নাত - ওকে ঠিক আছে৷ 

সারফারাজ - তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। ঘুম থেকে উঠে দেখবা তুমি তোমার রুমে শুয়ে আছো, বাড়িতে গিয়ে মা বাবার সাথে কথা বলে, আবার ঘুমিয়ে পড়বা তখন আবার তোমাকে জ্বিনদের রাজ্যে নিয়ে আসবো। 


 সারফারাজ জ্বিনের কথা শুনে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়লেন। 


____একটু পর হঠাৎ জান্নাতের ঘুম ভেঙে গেলো।ঘুম ভাঙতেই জান্নাত বুঝতে পারলেন সে তার বাড়িতে চলে আসছে, সে তার রুমে। পাশে ছোট ইকরা দাঁড়িয়ে আছে।  


নিজেকে রুমে দেখে। জান্নাত চিৎকার দিয়ে ওর মা বাবাকে ডাকতে থাকে। 


 হঠাৎ এতদিন পর, মেয়ের ডাক শুয়ে জান্নাতের মা বাবা দৌড়ে রুমে আসেন। রুমে এসে জান্নাতকে দেখে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন। 


এদিকে জান্নাত ও কান্না করেন। এতদিন পর মেয়েকে ফিরে পেয়ে নানা প্রশ্ন করে বসেন জান্নাতের মা বাবা। 


জান্নাতের মা জান্নাতকে বলেন। 


জান্নাতের মা : জান্নাত, এতদিন কোথায় ছিলি মা ওই জ্বিনটা তোর কোন ক্ষতি করেনি তো। 


জান্নাত - না মা ও আমার কিছু করেনি। তোমরা আমাকে নিয়ে চিন্তা করোনা সময় হলে আমি ঠিকি একিবারে ফিরে আসবো। 


 জান্নাতের বাবা - একবারে মানে, তাহলে এখন আসছিস যে এখন কোথায় জাবি। 


জান্নাত - আমাকে আবার জ্বিনের রাজ্যে ফিরে যেতে হবে। আমি সারফারাজকে কথা দিছি। ও বলছে আর একমাস পর আমার বয়স বিশ বছর হবে তখন আমাকে রেখে জাবে। 


জান্নাতের মা - জান্নাত,, বাচ্চাটা কে। 

জান্নাত - মা ভয় পেওনা, ও আসলে একটা জ্বিন ওর নাম ইকরা। 


জান্নাতের কথা শুনে, ওর মা বাবা ছোট ইকরার সাথে কথা বললেন। 


এদিকে বেশ কিছুক্ষন পর জান্নাত বললো। মা বাবা আমাকে এখন ফিরতে হবে তোমরা আমার জন্য চিন্তা করোনা একমাস পর আমি ফিরে আসবো। 


জান্নাতের কথায় ওর মা বাবা জান্নাতকে যেতে দিতে রাজি হচ্ছিলো না। জান্নাতের বাবা জান্নাতকে বলেন না তোকে যেতে দিবোনা। আমি দেখি ওই জ্বিন তোকে কিভাবে নিয়ে যায়। 


জান্নাত - না বাবা পাগলামি করোনা আমার ভালো চাইলে, যেতে দাও। তোমরা এখন বাইরে যাও আবার একমাস পর দেখা হবে। 


 জান্নাতের কথায় ওর মা বাবা বাইরে গেলেন। 


তারপর ___

Next___

Post a Comment

Previous Post Next Post