গল্প জ্বিনের সংসার
পর্ব - ০৮
#লেখক__মোঃ__নিশাদ
একদিন পর জান্নাতের বিয়ে। এদিকে সবার মাঝে একটা ভয় কাজ করছে। আগেরবারের মত এবারো জান্নাতের সাথে কিছু ঘটবে নাতো।
____ এভাবে ভয়ের মাঝে দিনটা কেঁটে গেলো। রাতের বেলা, জান্নাতকে একা না রেখে ওর মা আর মামি দুজনে জান্নাতের দুই দিকে শুয়ে পড়লো। দুজন দুইদিকে মাঝখানে জান্নাত।
এত করে খেয়ালে রেখেও লাভ হলোনা। সেই রাতে সারফারাজ জ্বিন জান্নাতের কাছে আসলো এসে বললো।
সারফারাজ - জান্নাত,, কেনো এমনটা করছো,, কাল তোমার বিয়ে। তুমি বিয়েটা করোনা।
জান্নাত - আস্তে কথা বলুন৷ মা মামি পাশে আছে ওরা জেগে জাবে।
সারফারাজ - জাগবেনা। আমি ওদের ঘুম গভীর ভাবে পারিয়ে দিছি। তুমি কথা বলো। জান্নাত একবার বলো তুমি বিয়েটা করবেনা।
জান্নাত - দেখুন৷ আমি মা বাবার মুখের উপর কথা বলতে পারবোনা।
সারফারাজ - তাহলে তোমার এটাই শেষ কথা তাইনা। তুমি বিয়েটা করবে।
জান্নাত - হ্যাঁ করবো। আমার কিছু করার নাই।
সারফারাজ - ওকে ভালো থেকো। দেখা হবে তোমার সাথে খুব তারাতারি দেখা হবে।
এই কথাটা বলে সারফারাজ জ্বিন চলে গেলেন।। এদিকে জ্বিন চলে যাওয়ার পর। চিন্তা আর ভয়ে জান্নাত সারারাত না ঘুমিয়ে জেগে ছিলেন।।
সকাল বেলা। জান্নাতের মামা ও বাবা ঘরোয়া ভাবে জান্নাতের বিয়ের আয়োজন করেন।
এদিকে জান্নাত ওর বাবা ও মামার সাথে দেখা করে গত রাতে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুঁলে বলেন৷ জান্নাত বলেন....
জান্নাত - বাবা আমার কেমন জানি ভয় করছে৷ আমি তোমাদের বলিনি। গত রাতে ওই জ্বিনটা আমার রুমে আসছে আমার সাথে কথা বলছে।
জান্নাতের বাবা- কিহ বলিস, কি বলছে ও।
জান্নাত - ও বলছে আমি যেনো বিয়ে না করি। এই বিয়ে যেনো ভেঙে দেই।
জান্নাতের বাবা- আর কি কিছু বলছে।
জান্নাত - হুম বলছে, ও এত সহজে আমার বিয়ে হতে দিবেনা। বাবা আমার কেমন জানি ভয় করছে,, কিছু হবে নাতো।
জান্নাতের মামা- মা তুই চিন্তা করিস না। তোর কিছু হবেনা। আমি কবিরাজকে খবর পাঠিয়েছি। কবিরাজ এসে আমাদের পুরো বাড়িটা বন্ধ করবে। আর ওনি দাঁড়িয়ে থেকে তোর বিয়ে দিবে। ওই জ্বিন তোর কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
জান্নাতের মা- চিন্তা করিসনা মা। চল গোসল করে রেডি হতে হবে। বরপক্ষ চলে আসবে।
এই কথাটা বলে জান্নাতের মা জান্নাতকে ভিতরে নিয়ে গেলেন।
কথামত, জান্নাতের বাবা ও মামা বিয়ের সব আয়োজন করে ফেললেন।
কবিরাজ ও এসে উপস্থিত হলেন। কবিরাজ এসে তার সব কাজ করে ফেললেন। ওনি বাড়ির চারিদিকটা ঘুরলেন আর পুরু বাড়ি বন্ধ করলেন।
কিছুক্ষন পর কয়েকজন সহ বর আসলেন।
বর আসার কিছুক্ষন পর, কাজি সাহেব বিয়ের কাজ শুরু করলেন।
____বিয়ের কাজ শুরু হতেই,, সবাই শুনতে লাগলেন, জান্নাতের মামার বাড়ির টিনের চালে অনবরত কে জানি ঢিল ছুঁড়ছে।
এরকম আচমকা, ঢিল ছুঁড়ার কারণে সবাই চমকে উঠে। বর পক্ষের সবাই বলাবলি করতে থাকে, আরে কি হচ্ছে এসব, কেউ বাইরে গিয়ে দেখুন।
সবার কথা শুনে, সেখানে থাকা কবিরাজ বলেন, আপনারা বসুন আমি দেখছি৷ কাজি সাহেব আপনি আপনার কাজ করতে থাকেন।
এই বলে কবিরাজ বাইরে গেলেন। ওনি বাইরে যাওয়ার কিছুক্ষন পর টিনের চালে ঢিল ছুঁড়ার আওয়াজ বন্ধ হলেন।
যাইহোক,, কিছুক্ষন পর সবার উপস্থিতিতে জান্নাতের অন্য একটা ছেলের সাথে বিয়ে হলো। 😢
বিয়ে শেষে, কবিরাজ জান্নাতের বাবা ও মামাকে অন্য কোথাও ডেকে বললেন।
কবিরাজ - বিয়ে তো হলো। এখন একটা কাজ করতে হবে৷
জান্নাতের বাবা- কিহহ কাজ।
____কবিরাজ- জান্নাতের যে ছেলের সাথে বিয়ে হলো, ওই ছেলে সহ জান্নাতকে এই বাড়িতে কম হলেও তিনদিন রাখতে হবে। ছেলেকে মেয়ের থেকে আলাদা করা জাবেনা। ছেলেটা জান্নাতের সাথে সাথে থাকলে ওই জ্বিনটা আর আসতে পারবেনা জান্নাতের কাছে।
জান্নাতের মামা - তাই নাকি,, তাহলে ঠিক আছে৷ আমি ওদের সাথে কথা বলে ছেলেটা এখানে দু তিনদিন রাখার ব্যাবস্তা করি।
এই কথাটা বলে৷ জান্নাতের বাবা ও মামা ছেলের বাবার সাথে কথা বলে। রাজি করান।
ছেলেটা জান্নাতের সাথে এই বাড়িতে দু তিনদিন থাকবে।
যাইহোক,, ছেলেকে রেখে বাকি সবাই চলে গেলেন।
এদিকে জান্নাতের বর ও জান্নাত , জান্নাতের মামা বাড়িতে থাকেন। তাদের জন্য আলাদা একটা রুমের ব্যাবস্তা করা হয়।
জান্নাতের বিয়ে হলো। সবার মাঝে আনন্দ। সবাই খুশি সবাই ভাবলো, সারফারাজ জ্বিন আর জান্নাতের কিছু করবেনা ও আর আসবেনা। কিন্তু সবার ধারণা ভুল ছিলো। কারণ সেই রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। মাঝ রাতে সবাই হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় সবাই একটা কান্নার আওয়াজ পান।
তারপর____
Next____
Post a Comment