গল্প জ্বিনের সংসার
পর্ব - ০৭
#লেখক__মোঃ__নিশাদ
জান্নাত ঘুমিয়ে পড়লেন। পরেরদিন জান্নাতের ঘুম ভাংলো ওর মায়ের ডাকে।
____মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙতেই জান্নাত বললো। মা কি হইছে ডাকছো কেনো।
জান্নাতের মা - উঠ,, তোর নানা বাড়ি যেতে হবে। তোর মামা ফোন করে ডাকছে।
জান্নাত- হঠাৎ নানা বাড়িতে কেন। কোন সমস্যা কি।
জান্নাতের মা - সেটা গেলেই দেখতে পাবি।। নে উঠ এবার ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নে।
মায়ের কথায় জান্নাত উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলেন।
রেডি হয়ে বেশ কিছুক্ষন পর জান্নাতের মা বাবা সহ জান্নাত রওনা করলেন নানা বাড়ির দিকে।
পথে জান্নাত ওর মা কে বললেন, আচ্ছা মা, এখন বলোতো হঠাৎ নানা বাড়িতে যাচ্ছি কেন।
জান্নাতের মা - তোর মামা ভালো একটা সমন্ধ নিয়ে আসছে, ছেলেটা খুব ভালো তোকে দেখতে চেয়েছে পছন্দ হলে এখানেই বিয়েটা হবে।
জান্নাত - মা, কি শুরু করলা। এসব করে কোন লাভ হবেনা মা, ওই জ্বিনটা কোন না কোন ভাবে ভেঙে দিবে।
জান্নাতের বাবা - তোর বিয়ে যেনো ভেঙে দিতে না পারে সেই জন্য বাড়ি ছেড়ে তোর নানা বাড়িতে আসলাম। এখানে আশা করি কোন সমস্যা হবেনা।
জান্নাত - ওকে যা ভালো মনে হয় করো।
কথা বলতে বলতে জান্নাত ও ওর মা বাবা নানা বাড়িতে চলে আসলেন। সেখানে আসার পর সেই বিকেলে জান্নাতকে দেখার জন্য একটা ছেলে আসলেন।
আগেরবারের মত যেনো সারফারাজ জ্বিন কোন সমস্যা করতে না পারে সেই জন্য জান্নাতের মামা ও বাবা মিলে একজন কবিরাজকে বসিয়ে রেখেছেন।
কবিরাজ পাশে বসা। ছেলেটা ও তার সাথে আসা সবাই জান্নাতকে দেখলেন আর পছন্দ করলেন।
জান্নাতকে পছন্দ হওয়ায় সবাই মিলে, তাদের বিয়ে ঠিক করলেন। দুদিন পর তাদের বিয়ে। 😮
যাইহোক জান্নাতের বিয়ে পাকাপোক্ত করে সবাই চলে গেলেন।
বিয়েটা নানা বাড়িতেই হবে তাই এই দু তিনদিন এখানেই থাকতে হবে।
যাইহোক,, রাতে সবাই খাওয়া দাওয়া শেষে মামাতো বেনের সাথে শুয়ে পড়েন জান্নাত। শুয়ে পরার জন্য মামাতো বোন জান্নাতকে বললেন।
মামাতো বোন - আচ্ছা আপু,, শুনলাম তোকে নাকি একটা জ্বিন পছন্দ করে।
জান্নাত - হ্যাঁ তো।
মামাতো বোন- তো মানে। তাহলে ওকে কেন বিয়ে করছোনা। আমি হলে তো আনন্দে জ্বিনটাকে বিয়ে করতাম। আহহ জ্বিন কত সুন্দর।
জান্নাত - তাই না। তুই দেখছিস জ্বিনকে,, যখন ধরে ঘ্যাড় মটকাবে তখন বুঝবি।
মামাতো বোন - ঘ্যাড় মটকালে মটকাবে,, আপু শোনোনা। ওই জ্বিনটার সাথে আমাকে কথা বলিয়ে দাওনা। আমি জ্বিনের সাথে প্রেম করবো।
জান্নাত - খুব বার বেরে গেছিস,, ঘুমাবি নাকি মামিকে ডাকবো।
মামাতো বোন - ওকে ঘুমালাম, শুভ রাএী।
এই বলে মামাতো বোন ঘুমিয়ে গেলেন।। জান্নাত ও ঘুমাবে এরকম একটা অবস্থায় সারফারাজ জ্বিন জান্নাতের কাছে আসলেন, জ্বিনকে দেখে জান্নাত বললেন।
জান্নাত - আরে আপনি,, এখানেও আসছেন। প্লিজ চলে জান, দেখুন মামাতো বোন পাশে ঘুমাচ্ছে ও জেগে গেলে সমস্যা হবে।
সারফারাজ ....... 😐
জান্নাত - কিহ হলো, এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো। কিছু বলুন৷
সারফারাজ - তুমি বিয়েতে রাজি হলে কেনো।
জান্নাত- রাজি হবো নাতো কি করবো। মা বাবা বিয়ে দিতে চাইলে না করবো নাকি।
সারফারাজ - তোমার বিয়ে হলে আমার কি হবে।
জান্নাত- আমি কি জানি।
সারফারাজ - জান্নাত আর কতবার বলবো, আমি তোমাকে পছন্দ করি। আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
জান্নাত- কিন্তু আপনি একটা জ্বিন। আপনাকে কিভাবে বিয়ে করবো। কেউ কি মেনে নিবে নাকি।
সারফারাজ - তুমি রাজি হলে মেনে নিবে। একবার বলো রাজি।
জান্নাত- এখন বলে লাভ নেই। আমার বিয়ে ঠিক হইছে,, দুদিন পর আমার বিয়ে।
সারফারাজ - তোমার কি মনে হয়। আমি এত সহজে তোমার বিয়ে হতে দিবো।
জান্নাত - কেন হতে দিবেন না কেন।। বাবা আর মামা মিলে কবিরাজ নিয়ে আসছে। কবিরাজ থাকলে আপনি কি করবেন শুনি।
সারফারাজ - কবিরাজকে তুলে আচার মারবো বুঝলা। এসব বাদদাও তুমি বাড়িতে বলে দাও বিয়ে করবেনা।
জান্নাত - না পারবোনা।
সারফারাজ - ঠিক আছে,, করো দেখি কিভাবে বিয়ে করবা।
জান্নাত - হুম দেখেন। এখন চলে জান। মামাতো বোন জেগে জাবে।
সারফারাজ - চলে জাবো তাইনা। ঠিক আছে যাচ্ছি। তবে আবারো বলি বিয়ে করোনা। উল্টো পাল্টা কিছু হবার আগে এসব বন্ধ করো।
এই বলে সারফারাজ জ্বিন জান্নাতের মামাতো বোনের পা ধরে এক টান দিয়ে বিছানা থেকে ফালাই দিয়ে চলে গেলেন। 😂
বিছানা থেকে আচমকা ধপাস করে পড়ে, মামাতো বোন জান্নাতকে বললো, এটা কি হলো আমি নিচে পড়লাম কি ভাবে, তুই কি আমাকে ধাক্কা দিলি নাকি।
জান্নাত- আমি,, না আমি না। তুই স্বপ্ন দেখে একা একা পড়লি,, এখন আমাকে দোস দিস কেন।
মামাতো বোন - কিহহ,, স্বপ্ন দেখে একা একা পড়লাম। কি জানি হতে পারে।
জান্নাত - হুম এবার ঘুমা।।
জান্নাতের কথায় মামাতো বোন আবার ঘুমালেন এদিকে জান্নাত ও কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে পড়লেন।।
এভাবে কেঁটে গেলো। একটা দিন। আর একদিন পর জান্নাতের বিয়ে......
নতুন গল্প পেতে আইডিটা ফলো করুন,, আর আমার এই আইডিতে আগের অনেক গল্প আছে পরুন।
তারপর ____
Next____
Post a Comment