গল্প জ্বিনের সংসার

পর্ব -০৬ 

#লেখক__মোঃ__নিশাদ


জান্নাতের মামা জান্নাতের জন্য একটা ছেলে দেখেন ওর বিয়ের জন্য ||


   তো কথামত, পরেরদিন সেই ছেলে জান্নাতদের বাড়িতে আসেন জান্নাতকে দেখার জন্য। 


দেখতে এসে ছেলেটা বসে আছেন, কিছুক্ষন পর জান্নাত নাস্তা হাতে রুমে আসতেই ছেলেটা জান্নাতকে দেখে চিৎকার দিয়ে উঠেন। 


চিৎকার দিয়ে ভয়ে৷ কাঁপতে থাকেন। ছেলেটার এই অবস্থা দেখে জান্নাতের বাবা বলেন। 


জান্নাতের বাবা - কিহ হইছে বাবা, ভয় পেলে কেনো, এভাবে ভয়ে কাঁপছো কেনো ঘটনা কি। 


ছেলেটা: কে ও ওইযে, ভয়ংকর দেখতে কে ও। 

জান্নাতের বাবা - ভয়ংকর মানে, ও তো জান্নাত আমার মেয়ে জাকে তুমি দেখতে আসছো। 


ছেলেটা - ওকে আমার সামন থেকে যেতে বলেন। কিহ ভয়ংকর সে। 


জান্নাতের বাবা - আরে বাবা কি বলো। কোথায় ভয়ংকর, আমার মেয়ে এত সুন্দর, তুমি বলছো ভয়ংকর। আমরা তো ঠিকি দেখছি।


জান্নাতের মামা - হ্যাঁ আমরা তো ঠিকি দেখছি কই ভয়ংকর তো লাগছেনা।  


ছেলেটা - আপনারা সবাই মিথ্যা বলছেন। আমি এখানে এক মহূর্ত থাকবোনা। 


_____এই কথাটা বলে ছেলেটা সেখান থেকে চলে গেলেন। 


  ছেলেটা চলে যাওয়ার পর জান্নাতের মা বাবা, সহ সেখানে থাকা সবাই নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলো। এটা কি হলো ছেলেটা এমন করলো কেনো,, পাগল নাকি৷


এমন অবস্থায় জান্নাতের মা বলে উঠলেন,, আচ্ছা এটা ওই জ্বিনটার কাজ নাতো। 


 জান্নাতের বাবা - জ্বিনটার কাজ মানে। 

জান্নাতের মা - জ্বিনটার কাজ মানে। ছেলেটা কেন এমন করলো জানো, আমরা তো জান্নাতকে দেখছি ভালো। হয়তো সেই ছেলে জান্নাতকে দেখছে ভয়ংকর রুপে, সেই জ্বিনটা হয়তো জান্নাতকে ভয়ংকর রুপে দেখিয়েছে সেই ছেলেটাকে যেনো ছেলেটা ভয় পায় আর জান্নাতকে অপছন্দ করে চলে যায়। 


জান্নাতের বাবা - হ্যাঁ, এটা হতে পারে।। কি ঝামেলায় পড়লাম। এভাবে ছেলে পক্ষ চলে গেলে জান্নাতের বিয়ে তো হবেনা। আমাদের হাতেও তো বেশি সময় নেই তিনমাস সময় আছে। 


জান্নাতের মামা - দুলাভাই, আপনি চিন্তা করবেন না। আমি এরপর জান্নাতের জন্য। কোন ছেলেকে নিয়ে আসলে, কবিরাজ সাথে করে নিয়ে আসবো। কবিরাজ বসে থাকবে তখন ছেলেটা দেখবে জান্নাতকে। যদি পছন্দ হয় তাহলে তারাতারি সেই ছেলের সাথে জান্নাতের বিয়ে দিবো কি বলেন। 


জান্নাতের বাবা - হ্যাঁ। ঠিক আছে। 


____ জান্নাতের বাবার কথায়, ওর মামা চলে গেলেন। 


 এভাবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধা আর সন্ধা গড়িয়ে রাত হলো। 


সেই রাতে সারফারাজ জ্বিন জান্নাতের কাছে আসলেন। এসে বললেন। 


সারফারাজ জ্বিন - জান্নাত। 

জান্নাত- আপনি। আপনি আবার কেনো আসছেন। 


সারফারাজ জ্বিন - কেনো আসতে মানা নাকি।। কেমন আছো তুমি। 

জান্নাত - জানিনা। 😒


সারফারাজ : হাহাহ " মন খারাপ কেনো৷ তোমার বিয়ে ভেঙে গেছে সে জন্য। 


জান্নাত - ওই হাঁসবেন না। আপনি তাহলে সত্যি ওই ছেলেটাকে ভয় দেখিয়েছেন। 


সারফারাজ - হ্যাঁ। দেখাবোনা৷ ও তো তোমার আসল চেহাড়া দেখলে পছন্দ করতো আর বিয়ে করতো। আমি থাকতে তোমাকে অন্য কেউ কেনো বিয়ে করবে, তাই তোমাকে ভয়ংকর রুপে দেখিয়েছি ওই ছেলেটাকে এটা আমারি কাজ। 


 জান্নাত - কেন, এমনটা করছেন কেন। 

সারফারাজ - কারণ আমি তোমাকে পছন্দ করি তাই। 


জান্নাত - ইম, বললেই হলো, আমাকে পছন্দ করবেন কেন। জান গিয়ে কোন পরীকে বিয়ে করুন আমার পিছনে ঘুরাঘুরি না করে। 


সারফারাজ - আমার কাছে তুমি পরী। আর আমাকে কি তোমার অপছন্দ। 


জান্নাত - হ্যাঁ। 

সারফারাজ - আমার দিকে তাকিয়ে বলো। আমাকে তো ভালো করে দেখইনি। 


জান্নাত - দেখতে হবেনা। আপনি জানতো। 

 সারফারাজ - তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি। এটা খাও তারপর জাবো। 


জান্নাত - না খাবোনা আমি, খিদে নেই। 

সারফারাজ - না খেলে জাবোনা৷ 


জান্নাত- না গেলেন। মা বাবাকে ডাকবো। ওরা এসে ধরে আচ্চা মতন মাইর দিবে। 


  সারফারাজ - আমি বুঝি মানুষ যে ধরবে আর মারবে। এখন খাবে নাকি সাপ হয়ে ভয় দেখাবো। 


জান্নাত - সাপের রুপ নিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলবো। 😂

সারফারাজ - আরে বাবা কি গুন্ডি মেয়েরে বাবা, যতটা বোকা ভাবছিলাম এতটাও বোকা না।


 জান্নাত - আমি বোকা না চালাক আপনার না জানলেও চলবে। এখন চলে জান। 

সারফারাজ - না জাবোনা আগে খাবারটা খাও। 


এমন অবস্থায় জান্নাতের মা পাশের রুম থেকে ডাক দিয়ে বললেন, জান্নাত কার সাথে কথা বলিস৷ 


জান্নাত - কার সাথে আবার ওই জ্বিন..... 


সারফারাজ - ওই চুপ ওকে চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আবার আসবো। 


এই বলে সারফারাজ জ্বিন চলে গেলো। ও চলে জাবার পর জান্নাতের মা জান্নাতের রুমে এসে বললেন। 


জান্নাতের মা - জান্নাত কি বললি একটু আগে। জ্বিন না কি জানি বলছিলি। 


___জান্নাতের মায়ের কথায় ও বললো। না মা আসলে ফোনে বান্ধবীর সাথে কথা বলছিলাম। 


 জান্নাতের মা - ওহহ তাই বল। আচ্ছা ঠিক আছে ঘুমা, কোন সমস্যা হলে ডাক দিস। 


এই বলে জান্নাতের মা চলে গেলেন।। জান্নাত ও ঘুমিয়ে পড়লেন ____


তারপর ____

Next___

Post a Comment

Previous Post Next Post