পর্বঃ- ৩১
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
আমার কেবিনে গিয়ে কাজ করতেছি,এমন সময় তিশা বললো...
তিশাঃ- কী হলো ভিতরে
শিশিরঃ- অনেক কিছু
তিশাঃ- থাকবে নাকি চলে যাবে
শিশিরঃ- দুই মাস পর চলে যাবো
তিশাঃ- ভালোই
শিশিরঃ- হুম,কাজ করো মন দিয়ে
তিশাঃ- হুম
কাজ করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে গেলো,প্রতিদিনের মতো আমি আর তিশা লাঞ্চ করতে গেলাম, খাওয়া দাওয়া শেষ করে অফিসে ফিরে গেলাম,তখন পিয়ন এসে বললো
পিয়নঃ- শিশির তোমাকে ম্যাডাম ডেকেছে
তিশাঃ- এই সময়ে ম্যাডামের কী হলো
শিশিরঃ- তা তো বুঝতেছি না
তিশাঃ- গিয়ে দেখো
শিশিরঃ- হুম
এরপর আমি ম্যাডামের কেবিনে গেলাম...
শিশিরঃ- আসতে পারি ম্যাম
মেঘনাঃ- এসো
আমি ভিতরে গেলাম,মেঘনা তুমি করে বলায় একটু অবাক হলাম
শিশিরঃ- জ্বি বলেন
মেঘনাঃ- আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে
শিশিরঃ- তো আমি কী করতে পারি
মেঘনাঃ- আমাকে খাইয়ে দিবে
শিশিরঃ- সরি ম্যাম,আমি কেন আপনাকে খাইয়ে দিবো
মেঘনাঃ- প্লিজ দাও না
শিশিরঃ- আমার পক্ষে সম্ভব না
মেঘনাঃ- এই হাতে তোমাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম না,দেখো এর শাস্তি দিয়ে দিয়েছি
মেঘনা আমাকে ওর হাতটা দেখেলা,দেখছি হাতে ব্যান্ডেস করা,তবুও রক্তাক্ত, মেঘনার এই অবস্থা দেখে কী করবো বুঝতে পারছি না, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম
এরপর ওর পাশে গেলাম...
শিশিরঃ- আপনার খাবার কই
মেঘনাঃ- ঐ বক্সে (পাশের একটি বক্স দেখিয়ে দিলো,সেখান থেকে ওর জন্য খাবার গুলো বের করে নিলাম)
শিশিরঃ- আপনি একটু অপেক্ষা করুন,আমি তিশাকে পাঠাচ্ছি সে আপনাকে খাইয়ে দিবে
মেঘনাঃ- না,তুমিই খাইয়ে দাও
শিশিরঃ- আমি পারবো না
মেঘনাঃ- তুমি না দিলে আমি খাবো না
শিশিরঃ- কেন এমন করছেন,আমি আপনার কে হই যে আপনাকে খাইয়ে দিতে হবে
মেঘনাঃ- আমি এতো কিছু না,তুমি খাইয়ে না দিলে আমি খাবো না
আর বেশি কথা বলি নাই, কেননা ওর মায়াবী মুখের দিকে তাকালে আমার সব রাগ অভিমান মুহুর্তেই হারিয়ে যায়, বড্ড বেশি ভালোবাসি পাগলীটাকে
তাড়াতাড়ি করে ওরে খাইয়ে দিলাম,খাওয়া শেষ করে হাত করে আমি আমার কেবিনে গেলাম...
তিশাঃ- কী হলো এতোক্ষণ
শিশিরঃ- ও কিছু না
তিশাঃ- আমাকে মিথ্যা বলবে না
শিশিরঃ- যা হওয়ার তাই তো হয়েছে, বল আর কী হবে
তিশাঃ- হয়েছে আর বলতে হবে না
শিশিরঃ- সেটাই ভালো
তিশাঃ- হুম কাজ করো
শিশিরঃ- হুম
এরপর কাজে মন দিলাম, কাজ শেষ করে বিকালে বাসায় যাওয়ার জন্য বের হলাম এমন সময় ম্যাডাম এসে বললো
মেঘনাঃ- কই যাবে এখন
শিশিরঃ- বাসায় যাবো কেন?
মেঘনাঃ- তোমার নম্বরটা দাও
শিশিরঃ- আমার নম্বর দিয়ে কী করবেন
মেঘনাঃ- বেশি কথা বলো কেন? নম্বর চেয়েছি দিয়ে দিলেই হয়
তিশাঃ- ম্যাম আমার কাছে আছে ওর নম্বর (পিছন থেকে)
মেঘনাঃ- তাই নাকি,আমাকে নম্বর দিতে চায় না আর তোমার কাছে আগে থেকেই আছে
তিশাঃ- চাইতে জানলে আপনার কাছেও থাকতো
মেঘনাঃ- থাক লাগবে না নম্বর
তিশাঃ- রাগ করবেন না ম্যাম,আমি বলছি আপনি নিন
মেঘনাঃ- ওকে দাও
শিশিরঃ- তিশা 😡
তিশাঃ- 016××××××××
মেঘনাঃ- ধন্যবাদ
আমি আর কিছু বললাম না,সেখান থেকে হাটতে শুরু করেছি,অফিস থেকে বের হয়ে বরাবরের মতো রিক্সা নিয়ে বাসায় পৌঁছে গেলাম, বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো, তাকিয়ে দেখি অপরিচিত নম্বর, ফোনটা রিসিভ করে দেখি....
চলবে....
Post a Comment