পর্বঃ- ২২
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
পিয়ন এসে আমাকে বললো...
পিয়নঃ- শিশির তোমাকে ম্যাডাম ডাকছে
শিশিরঃ- আচ্ছা আংকেল আপনি যান,আমি যাচ্ছি
পিয়নঃ- আচ্ছা
তিশাঃ- এইমাত্রই তো আসলে,ম্যাডাম ডাকছে কেন
শিশিরঃ- গেলেই জানতে পারবো,হয়তো কোনো নতুন কাজ করতে হবে
তিশাঃ- হুম তা ঠিক,তুমি যাও দেরি করলে আবার বকা দিবে
শিশিরঃ- হুম
এরপর আমি ম্যাডামের কেবিনে গেলাম
শিশিরঃ- ম্যাম,আসতে পারি
মেঘনাঃ- আসুন
শিশিরঃ- জ্বি ধন্যবাদ (ভিতরে গিয়ে)
মেঘনাঃ- আপনাকে ডেকেছি কেন জানেন?
শিশিরঃ- না বললে কীভাবে জানবো
মেঘনাঃ- হুম সেটাই,আমার অফিসে কাজ করতে হলে নোংরামি করা যাবে না
শিশিরঃ- সরি ম্যাম,আপনার কথা বুঝতে পারি নি
মেঘনাঃ- এমন ভাব করতেছো,যেন ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারো না
শিশিরঃ- সত্যি ম্যাম,বুঝি নাই
মেঘনাঃ- তিশার সাথে রিক্সায় কী করেছো,আমি দেখি নি
শিশিরঃ- ম্যাম,আপনার ভুল হচ্ছে, আমি রিক্সা পাচ্ছিলাম না,তাই ওর সাথে এসেছি এতে খারাপ কী দেখলেন
মেঘনাঃ- আবার মুখেমুখে কথা, চাকরি নেওয়া সময় কী বলেছিলে মনে নেই
শিশিরঃ- মনে আছে বলেই,আপনার সব কথা আমাকে শুনতে হচ্ছে
মেঘনাঃ- আমার অফিসে কাজ করতে হলে এসব চলবে না
শিশিরঃ- ম্যাম,আমি কার সাথে আসবো কার সাথে যাবো তা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার এতে আপনার সমস্যা কী
মেঘনাঃ- আমার অনেক সমস্যা, মেয়েদের সাথে এসব চলবে না
শিশিরঃ- ম্যাম,আপনার কথা তো এমন যে এখানে চাকরি করলে আমি বিয়েও করতে পারবো না
মেঘনাঃ- হুম তাই,তাও পারবে না
শিশিরঃ- কিন্তু (আমাকে থামিয়ে দিয়ে)
মেঘনাঃ- কোনো কিন্তু নয়,যাও টেবিল রাখা ফাইল গুলো রেডি করে নিয়ে আসবে
শিশিরঃ- আচ্ছা
এরপর আমি ম্যাডামের কেবিন থেকে ফাইল গুলো নিয়ে আমার কেবিনে চলে গেলাম
তিশাঃ- তোমার মন খারাপ মনে হচ্ছে
শিশিরঃ- ও কিছু না
তিশাঃ- আমি তোমার বন্ধু, তুমি আমাকে বলবে না
শিশিরঃ- আসলে (সব বললাম)
তিশাঃ- এটা কী বললো ওনি,আমাদের নিজেদের মধ্যে ওনি আসছে কেন
শিশিরঃ- সেটাই তো বুঝতেছি না
মেঘনাঃ- কাজ বাদ দিয়ে কথা বলা হচ্ছে (পিছন থেকে)
শিশিরঃ-... (চুপ)
মেঘনাঃ- তোকে চাকরি দিয়েছি কাজ করার জন্য কথা বলার জন্য নয়,সেটা কী তোর মনে নেই
শিশিরঃ- সরি ম্যাম
মেঘনাঃ- কিসের সরি ঠাসসস ঠাসসস (থাপ্পড় মেরে)
তিশাঃ- ম্যাম,আপনি কী করছেন এসব
মেঘনাঃ- চুপ কোনো কথা বলবে না,আমার কথা না শুনলে এমনই হবে
এরপর সেখানে থেকে মেঘনা চলে গেলো,আমি ফাইল গুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম
তিশাঃ- ম্যাডাম তোমাকে থাপ্পড় মেরে চলে গেলো,আর তুমি কিছু বললে না
শিশিরঃ- এসব কোনো ব্যাপার না,এতে যদি ওর রাগটা একটু কমে তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই
তিশাঃ- রাগ মানে? কীসের রাগ?
শিশিরঃ- রাগ কই কিছু না তো
তিশাঃ- মিথ্যা বলবে না,আমার কেন যেন মনে তুমি আগে থেকেই ম্যাডামকে চিনো,তোমাদের মধ্যে কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে
শিশিরঃ- আরে না,আমাদের মধ্যে কী সম্পর্ক থাকবে
তিশাঃ- আমাকে সত্যিটা বলবে প্লিজ
শিশিরঃ- বলছি তো এসব কিছু না,হয়তো ওনি অফিসে কথা বলা পছন্দ করে না
তিশাঃ- না,ওনি এমনটা করো সাথে করে না,আমরা তো অনেকের সাথে কথা বলতাম,কই কখনও তো আমাদের কিছু বলে নি,আর তোমাকে তো মেরে দিলো
শিশিরঃ- সবাই তো আর এক নয়
তিশাঃ- প্লিজ বলো আমাকে সত্যিটা কী
শিশিরঃ- আচ্ছা বলবো, তবে এখন নয়
তিশাঃ- লাঞ্চের সময় বলবে?
শিশিরঃ- ওকে তখন বলবো,এখন কাজ করি
তিশাঃ- ওকে
এরপর আমি কাজগুলো করেতছি লাগলাম
চলবে...
Post a Comment