গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ২১


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


অফিস থেকে বাসায় চলে গেলাম,বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাড়িতে ফোন দিলাম


মাঃ- কেমন আছিস বাবা


শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো,তুমি


মাঃ- তোকে ছাড়া কীভাবে ভালো থাকবো বল


শিশিরঃ- এভাবে বলো না মা,তাহলে আমিও থাকতে পারবো না


মাঃ- আচ্ছা বাবা,চাকরির পেয়েছিস? 


শিশিরঃ- হুম পেয়েছি,অনেক বড় কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছি


মাঃ- তাহলে ভালোভাবে কাজ করবি,যেন কোনো ভুল না হয়


শিশিরঃ- হুম,আচ্ছা মা ভালো থেকো আমি ঘুমাবো


মাঃ- আচ্ছা বাবা, সাবধানে থাকিস


এরপর ফোনটা রেখে দিয়ে, কিছু বাজার করে নিয়ে এলাম,জীবনে প্রথম বারের মতো রান্না করেছি,জানি না কেমন হয়েছে, রান্না শেষ করতে করতে প্রায় রাত ৮ টা বেজে গেলো,আমারও রান্না শেষ হঠাৎ করে মায়ার আগমন 


মায়াঃ- এতো সুগন্ধ আসছে কীসের 


শিশিরঃ- আমি রান্না করেছি


মায়াঃ- কী বলছো!! 😱 তুমি রান্না করতে পারো


শিশিরঃ- পারি না,কিন্তু করতে তো হবে,তাই করে নিলাম


মায়াঃ- তাহলে আমি আজ তোমার সাথে খাবো


শিশিরঃ- হুম অবশ্যই,কিন্তু আমাকে বকা দিতে পারবে না


মায়াঃ- বকা দিবো কেন


শিশিরঃ- রান্না তো ভালো হয় নি,তাই


মায়াঃ- যেভাবে সুগন্ধ আসতেছে, ভালো না হয়ে তো পারে না


শিশিরঃ- আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি,তুমিও ফ্রেশ হয়ে নাও একসাথে খাবো


মায়াঃ- ওকে,আমি আসতেছি


এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে এসেছি, একটু পর মায়াও চলে এসেছে দু'জনে একসাথে খাওয়া শেষ করলাম


মায়াঃ- সত্যি শিশির, তুমি তো অসাধারণ রান্না করতে পারো


শিশিরঃ- জানি না,আজকেই তো জীবন প্রথম বার করেছি


মায়াঃ- তুমি মিথ্যা বলছো, প্রথম রান্না করলে এতো ভালো হয় কী করে


শিশিরঃ- আরে আমি মিথ্যা বলছো কেন? তাছাড়া আমি এই প্রথম বাহিরে আছি মা-বাবাকে ছাড়া তাই রান্না করতে হয়েছে 


মায়াঃ- সে যায় হোক,কিন্তু তোমার রান্না খেয়ে মনে তুমি অনেক আগে থেকেই এই কাজ করো


শিশিরঃ- না, আজকেই প্রথম


মায়াঃ- কোথায় ঘুরতে যাবে


শিশিরঃ- কখন


মায়াঃ- এখন যাবো


শিশিরঃ- রাতে কোথায় ঘুরবে,তুমি বরং দিনের বেলায় ঘুরতে যেও


মায়াঃ- তেমাকেও আমার সাথে যেতে হবে


শিশিরঃ- আমি তো সময় পাবো না,তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরবে


মায়াঃ- হা হা হা


শিশিরঃ- হাসো কেন?


মায়াঃ- তোমার কথা শুনে


শিশিরঃ- কেন? আমি হাসির কী বলেছি


মায়াঃ- আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই


শিশিরঃ- বিশ্বাস হচ্ছে না


মায়াঃ- তো কী করবে বিশ্বাস করবে


শিশিরঃ- কিছু করতে হবে না


মায়াঃ- ওহ ভালো,তাহলে কাল যাচ্ছো আমার সাথে 


শিশিরঃ- সরি কাল হবে না,অফিসে বন্ধ থাকলে যেতে পারবো 


মায়াঃ- তাহলে তো শক্রবার ছাড়া হবে না


শিশিরঃ- হুম তাই


মায়াঃ- আচ্ছা আমি অপেক্ষা করবো


শিশিরঃ- ওকে, এখন যাও আমি ঘুমাবো


মায়াঃ- এতো তাড়াতাড়ি 


শিশিরঃ- হুম,সকালে দেরি হলে সমস্যা হবে


মায়াঃ- ওকে, শুভ রাত্রি 


শিশিরঃ- হুম শুভ রাত্রি 


এরপর মায়া চলে গেলো,আমিও ঘুমিয়ে গেলাম,পরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে অফিসের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম


বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছি,তখন দেখি তিশা আসতেছে রিক্সায় করে


তিশাঃ- কেমন আছো


শিশিরঃ- হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তুমি 


তিশাঃ- আমিও ভালো,রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতেছো


শিশিরঃ- হুম


তিশাঃ- চলে আমরা একসাথে যায়


শিশিরঃ- না থাক,তুমি যাও আমি একটু পরে আসতেছি


তিশাঃ- আরে পরে আসবে কেন এখন আসো চলো


শিশিরঃ- আচ্ছা চলো


আমি আর তিশা রিক্সায় করে অফিসে চলে গেলাম,গিয়ে দেখি আমাদের সাথে সাথে মেঘনাকেও এসেছে, দেখলাম গাড়িতে থেকে মেঘনার সাথে একটা ছেলেও নেমেছে


শিশিরঃ- আচ্ছা ম্যাডামের সাথে ছেলেটা কে? ম্যাডামের স্বামী তাই না


তিশাঃ- আরে না,ম্যাডামের তো এখনও বিয়ে হয় নি,ওটা ম্যাডামের মামাতো ভাই 


শিশিরঃ- কী বলো,ম্যাডাম এখনও বিয়ে করে নি


তিশাঃ- আচ্ছা তুমি কী ম্যাডামকে আগে থেকে চিনো


শিশিরঃ- কই না তো


তিশাঃ- না,তোমার কথা শুনে মনে হলো,তুমি ম্যাডামকে আগে থেকেই চিনো


শিশিরঃ- আরে না,আমি তো কয়েকদিন আগে শহরে এসেছি কীভাবে চিনবো


তিশাঃ- আচ্ছা চলো দেরি হয়ে যাবে 


শিশিরঃ- হুম চলো


এরপর আমরা অফিসের ভিতরে গেলাম,আমি আমার কেবিন কাজ করেতেছি,তখন পিয়ন এসে বললো 


চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post