গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে...
পর্বঃ- ১৫
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
নিলাকে নিয়ে ছাঁদে যেতে লাগলাম, আর নিলা আমার কলা জড়িয়ে ধরে অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আমি প্রথমে খেয়াল করি না,ছাঁদে গিয়ে দেখলাম
শিশিরঃ- এভাবে কী দেখছেন
নিলাঃ- তোমাকে
শিশিরঃ- আজ প্রথম দেখছেন বুঝি
নিলাঃ- না,কিন্তু তোমাকে যতই দেখি, ততই নতুন লাগে
শিশিরঃ- তাই
নিলাঃ- হুম,আচ্ছা একটা কথা বলি
শিশিরঃ- বলেন
নিলাঃ- এই আমি তোমার বউ,আর তুমি এখনো আপনি করে কথা বলছো কেন 😡😡 (রেগে)
শিশিরঃ-....
নিলাঃ- কী হলো চুপ করে আছো কেন
শিশিরঃ- বলো
নিলাঃ- আচ্ছা তোমার চেহারাটা এতো মায়াবী কেন,যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই
শিশিরঃ-.... (লজ্জা পেয়ে)
নিলাঃ- কিছু বলবে না
শিশিরঃ- কি বলবো,তুমি যেভাবে পাম দিচ্ছো
নিলাঃ- আমি পাম দিচ্ছে না,সত্যি বলছি আমার জানটা অনেক সুন্দর
শিশিরঃ- হয়েছে আর বলতে হবে না
এরপর দুজনেই একটু সামনে গিয়ে দোলনায় উঠে বসলাম,নিলা আমার বুকে মাথা রেখে চাঁদ দেখছে,চাঁদার আলোতে নিলাকে সত্যি দারুণ লাগছে,বলে বুঝাতে পারবো না
কেননা জানি না,এই রকম সুন্দরী একটা মেয়ে আমার মতো ছেলের জন্য পাগল হয়ে গেছে,আমার তেমন কোনো গুন নেই যেটা দেখে সে আমাকে ভালোবাসবে,কিন্তু জানি না কেন সে আমার জন্য এতো পাগলামি করে
নিলাঃ- চুপ করে আছো কেন,কিছু বলবে না
শিশিরঃ- তুমিই তো চুপ করে আছো
নিলাঃ- ঐ যে আকাশে চাঁদ দেখছো
শিশিরঃ- হুম,দেখছি তো
নিলাঃ- আমার চাঁদর উপর রাগ হচ্ছে
শিশিরঃ- কেন
নিলাঃ- ঐ চাঁদটা নির্লজ্জের মতো,তার জোছনা দিয়ে আমার জানটাকে ছুয়ে দিচ্ছে
শিশিরঃ- ও তাই (নিলার কথাটা শুনে একটাু লজ্জা পেলাম)
নিলাঃ- হুম
এরপর আমি নিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম,অনেকক্ষণ হলো এভাবে।
নিলাঃ- চলো রুমে যায়
শিশিরঃ- কেন তোমার ভালো লাগছে না
নিলাঃ- না তা নয়,সারারাত এখানে থাকলে ঘুমাবো কখন
শিশিরঃ- ওকে চলো
এবার দেখছি নিলার আমাকে কোলে নিতে বললো না,নিজে হেঁটে যাচ্ছে, আর কি যেন চিন্তা করেছে,আমি পিছন থেকে গিয়ে নিলাকে কোলে তুলে নিলাম
শিশিরঃ- কি চিন্তা করছো এভাবে
নিলাঃ- কিছু না
শিশিরঃ- তোমার কী হয়েছে বলবে তো
নিলাঃ- আমার কিছু হয় নি
শিশিরঃ- তাহলে হঠাৎ এমন চিন্তিত হয়ে গেলে কেন
নিলাঃ- ও কিছু না
এরপর রুমে চলে গেলাম, নিলা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো
নিলাঃ- শিশির আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো না,এখম যা করছো সব তোমার দেওয়া কথা রাখার জন্য বাধ্য হয়ে করতেছো,জানি তুমি আমাকে মেতে নিতে পারছো না,কিন্তু আমি কী করবো বলো অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়,চোখের সামনে তুমি অন্য কারো হয়ে যাবে তা আমি কোনোদিন সহ্য করতে পারবো না, তাই ফাঁদে ফেলে জোর করে হলেও তোমাকে বিয়ে করে নিলাম,জানি তোমার মন, তোমার ভালোবাসা কোনোদিন পাবো না,তবুও তোমায় সব সময় চোখের সামনে তো দেখবো
আমি কিছু বলছি না,চুপ করে নিলার কথাগুলো শুনতেছি
নিলাঃ- তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ, প্লিজ কোনোদিন আমাকে ডিভোর্স দিও না
শিশিরঃ- এই পাগলী কী বলছো এসব
নিলাঃ- যা বলছি সব সত্যি
শিশিরঃ- দিবো একটা, (হাত নেড়ে)
এরপর নিলাকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম,আমি নিজে নিলাকে জড়িয়ে ধরেছি,এতে নিলা পুরায় অবাক
শিশিরঃ- আমার সিনিয়র আপুটাকে আজ অনেক কিউট লাগছে
নিলাঃ-.... (লজ্জা পেয়ে)
আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার চার ঠোঁট এক করে দিলাম,আমাদের দুজনের শ্বাস-প্রশ্বাস এক হয়ে গেলো
এভাবে অনেকক্ষণ পর ছেড়ে দিলাম,নিলা লজ্জা পেয়ে মুখটা আমার বুকে লুকিয়ে রেখেছে, তারপর আমি ওকে সামনে ধরলাম
নিলাঃ- আমার লজ্জা লাগছে
শিশিরঃ- কেন,ভার্সিটিতে যখন সবার সামনে আমাকে..... তখন তোমার লজ্জা কোথায় ছিলো
নিলাঃ- যা দুষ্টু
শিশিরঃ- আজ তোমাকে ছাড়াবো না,সব হিসাব আজকে নিবো
নিলাঃ- আজকে না নিলে হয় না
শিশিরঃ- না হয় না
নিলা মাথাটা আমার বুকে রাখলো,আমিও একের পর এক কিস দিতে লাগলাম
নিলাঃ- এই আমার লজ্জা লাগছে, প্লিজ লাইট অফ করো
শিশিরঃ- না করবো না
নিলাঃ- কেন
শিশিরঃ- তুমি তো দিনের আলোতে সকলের সামনে আমাকে কিস করেছো,তখন তোমার লজ্জা কোথায় ছিলো
নিলাঃ- প্লিজ
এরপর লাইট অফ করে দিয়ে,দুজনেই ভালোবাসার সাগরে ডুব দিলাম
সকালে নিলা ডাকে ঘুম ভাঙলো,তাকিয়ে দেখি নিলা স্রান করে এসেছে ভেজা চুলে নিলাকে কি যে সুন্দরী লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না
নিলাঃ- ঐ এভাবে কী দেখছো
শিশিরঃ- তোমাকে
নিলাঃ- আজ প্রথম দেখছো বুঝি
শিশিরঃ- কাছে এসো বলছি
নিলাঃ- হুম বলো (কাছে এসে)
নিলা কাছে আসার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম
নিলাঃ- সকালে আবার কী শুরু করলে ছাড়ো
শিশিরঃ- না ছাড়তে ইচ্ছে করতেছে
নিলাঃ- এই কেউ দেখে ফেলবে,আর জানো এখন কয়টা বাজে উঠো তাড়াতাড়ি
শিশিরঃ- উঠতে পারবো না,আরও ঘুমাতে হবে
নিলাঃ- কেন,সারারাত কী চুরি করতে গিয়েছিলে
শিশিরঃ- না চুরি করতে যাবো কেন
নিলাঃ- তাহলে
শিশিরঃ- তোমার জন্যই তো ঘুমাতে পারি নি
নিলাঃ- কী বললে,তুমিই তো আমাকে ঘুমাতে দাও
শিশিরঃ- যা হোক দুজনের জন্য তো জেগে ছিলাম
নিলাঃ- হয়েছে, এখন ছাড়ো,আর গিয়ে স্রান করে নিচে আসো, আমি নাস্তা রেডি করি
শিশিরঃ- এখন না আর একটু,আর একটু থাকো না
নিলাঃ- না, মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে হবে
শিশিরঃ- ওকে যাও
এরপর আমি স্রান করতে চলে গেলাম,নিলা গেলো মাকে সাহায্য করতে রান্না ঘরে
মাঃ- কীরে মা তুই এখানে কেন
নিলাঃ- তো কী হয়েছে
মাঃ- নতুন বউ,এতো তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে আসতে হবে না
নিলাঃ- মা,এটা আমার ঘর,আমি রান্না করবো,তুমি যাও
মাঃ- না রে মা,তুই পারবি না
নিলাঃ- মা,আজ থেকে বাড়ির সব কাজ আমি করবো
মাঃ- তাহলে কী করবো
নিলাঃ- তুমি শুধু আমার জন্য দোয়া করবে,যেন আমাদের সংসারটা সুখী হয়
মাঃ- মারে,তোরা ছাড়া আমার আর কেউ নেই,এতোদিন আমার এক ছেলে ছিলো,এখন আমার এক ছেলে এক মেয়ে
নিলাঃ- হ্যা মা
মাঃ- তুই গিয়ে খাবার টেবিলে বস আমি খাবার নিয়ে আসতেছি
নিলাঃ- না মা,আমি রান্না করবো
মাঃ- না মা,তুই পারবি না,বরং তুই শিশিরকে নিয়ে বস আমি আসতেছি
মায়ের জোরাজোরিতে নিলার আর পারলো না,খাবার টেবিলে বসে আছে,একটু পর আমিও চলে আসলাম,দেখি মা খাবার নিয়ে এসেছে
নিলাঃ- মা তুমিও বসো না
মাঃ- না আগে তোরা খেয়ে নে,আমি পরে খাবো
শিশিরঃ- মা এটা তুমি কী বলছো, আমাদের সাথে খেতে পারবে না
মাঃ- নারে পাগল, এটা কী বলছিস, দে আমিও খাচ্ছি
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে, আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি,সাথ নিলাও
চলবে....
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment