#ভ্যাম্পায়ারের_প্রেমকথন
#পর্বঃ৪
#লেখিকাঃমেহের_আফরোজ
"নিহান গম্ভীর কন্ঠে বললো,'আজ ক্লাস মিস করলে কেনো নীলাঞ্জনা?"
"নীলাদ্রি কথা বলার আগেই ইরা বলে উঠলো,'আমরা ক্লাস মিস করলে আপনার কি?আমরা আপনার কাছে কোনো কৈফিয়ত দিবো না।"
"ইরার কথা শুনে নিহান বাকা হেসে বললো,'ইয়াশ সত্যি বলেছে।তুমি একটা টকটকি।তোমার মুখ দিয়ে কি মিষ্টি কথা বের হয় না?এনিওয়ে তোমার মুখ থেকে কথা শোনার আগ্রহ আমার নেই।আমি নীলাঞ্জনার কাছে উত্তর জানতে চাইছি।'বলেই নীলাদ্রির দিকে তাকিয়ে বললো,'কি হলো উত্তর দিচ্ছো না কেনো?"
"নীলাদ্রি কপট রাগ দেখিয়ে বললো,'আমি আপনার কাছে প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নেই।আর হ্যা, কথায় কথায় এভাবে আমার গায়ে হাত দিবেন না।"
"নিহান মুচকি হেসে বললো,'ওহ মাই সুইটহার্ট তোমার গায়ে আমি ছাড়া আর কে হাত দিবে?তোমার শরীরে শুধু একবার না হাজার বার হাত দেওয়ার অধিকার আমার আছে।কারণ তুমি আমার...
"নিহানের কথা শেষ করতে না দিয়েই, ইরা কটাক্ষ করে বললো,'এই যে আশিক এইসব নাটক অন্য কোথাও গিয়ে করুন।আমাদের নীলাদ্রি ওইরকম মেয়ে নয়;যে আপনি সিনেমার কয়টা মিষ্টি মিষ্টি ডায়লগ ছাড়বেন,আর আমার বান্ধবী পটে যাবে।'এখন আমাদের পথ ছাড়ুন,আমরা বাসায় যাবো।"
"নিহান ইরার দিকে তাকিয়ে ডেভিল হেসে বললো,'আমার নীলাঞ্জনা কে আমার থেকে ভালো কেউ চেনে না।ওর মনে কখন কি চায় সব আমার জানা আছে।আর তোমাকে লাস্ট টাইম ওয়ার্নিং দিচ্ছি, আমার আর নীলাঞ্জনার মধ্যে কাবাব মে হাড্ডি হতে আসবে না।নীলাঞ্জনা আমার সাধনা,আমার জীবন,আমার রাজ্যের রানী।"
"নিহানের কথাগুলো শুনে ইরা এইবার হেসে কুটিকুটি হয়ে গেলো।তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো,'মাত্র দুই দিনের পরিচয়ে এতো অধিকার দেখাচ্ছেন?শুনুন নীলাদ্রি আমার ছোটবেলার বান্ধবী। আমরা একসাথে বড় হয়েছি;এমনকি স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটিতেও একসাথেই পড়েছি।আর আপনি কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে বলছেন আমার থেকে নীলাদ্রি কে আপনি বেশি চেনেন?সত্যি আজকের দিনের সেরা জোকস ছিলো এটা।আর আপনার মতো ছাতাওয়ালা লোককে আমার বান্ধবী বিয়েও করবে না।আপনি কেমন মানুষ যে রোদ নেই,বৃষ্টি নেই তবুও ছাতা মাথায় দিয়ে হাটেন!"
"ইরার কথা শুনে নিহানের ইচ্ছে করছে ওর ঘাড়ে বাইট করে সব র**ক্ত শুষে নিতে।কিন্তুু এইসব করলে নীলাঞ্জনা খুব কষ্ট পাবে।আর এখনও নীলাঞ্জনা কে বাস্তবের মুখোমুখি করার সময় আসে নি।'নিহান ওর চোখজোড়া বন্ধ করে, আবার খুলে ইরার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললো,'তুমি কি জানো তোমার বান্ধবীর প্রিয় ফুল কি?"
"ইরা অট্টহাসি দিয়ে বললো,'অবশ্যই জানি।ওর প্রিয় ফুল হলো সূর্যমুখী ফুল।"
'উহুমম ওর আরেকটি প্রিয় ফুল আছে সেটা তুমি জানো না।'
"নীলাদ্রির মুখ থেকে এতক্ষণে কথা বের হলো।ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,'কি ফুল?'
'নিহান বাঁকা হেসে বললো,'কাঠগোলাপ।"
"নীলাদ্রি এইবার অবাকের শীর্ষে পৌছালো।কারণ, ওর এই ফুলটিও বেশ পছন্দের;তবে কাউকে এই বিষয়ে কখনো বলা হয় নি।এমন কি ইরাকে ও না।তাহলে এই লোকটি কিভাবে জানলো?"
"নীলাদ্রি কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,'আপনি কিভাবে জানলেন?"
"নিহান প্রশ্ন টি শুনে বেশ মজা পেলো।মুচকি হেসে বললো,'তোমার আপাদমস্তক সবকিছু আমার মুখস্থ নীলাঞ্জনা। সময় হলে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।'বলেই সেখান থেকে সিটি বাজাতে বাজাতে চলে গেলো।"
" নীলাদ্রি এবং ইরা দু'জনেই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে রইলো নিহানের যাওয়ার পানে।সেদিন আর ওরা কিছুই আলোচনা করলো না।দু'জনেই নিহান কে নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুব দিয়েছে।"
-------------------
"রাত সাড়ে ১০টা।আহমেদ ভিলাতে ভাঙ**চুরের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো ইমতিয়াজ আহমেদ এবং তার স্ত্রী শায়লা বেগমের।"
"তারা লক্ষ্য করলো ডাইনিং রুম থেকে ভা**ঙচুরের আওয়াজ আসছে।তারা বিছানা থেকে নেমে ডাইনিং রুমে প্রবেশ করতেই দেখলো, নিহান ডাইনিং টেবিলে থাকা গ্লাসগুলো ভেঙে ফেলেছে।আর ভয়ং**কর ভাবে গ**র্জন করছে।ওকে দেখে মনে হচ্ছে এখুনি ও ভ্যাম্পায়ারের রূপ ধারণ করবে।ইমতিয়াজ আহমেদ এবং শায়লা বেগম উভয়েই বেশ ভ**য় পেয়ে গেলেন।তারা দু'জনেই তড়িঘড়ি করে নিহানের কাছে আসলেন।শায়লা বেগম বললেন,'কি হয়েছে নিহান বাবা?এভাবে ভা**ঙচুর করছিস কেনো?"
"নিহান র**ক্তিম দৃষ্টিতে শায়লা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো,'আমি আমার নীলাঞ্জনা কে খুজে পেয়েছি মা।"
"নিহানের কথা শুনে ইমতিয়াজ আহমেদ এবং শায়লা বেগম দু'জনেই বেশ অবাক হয়ে গেলেন।ইমতিয়াজ আহমেদ উত্তেজিত কন্ঠে বললেন,'কি বলো?কিভাবে খুঁজে পেয়েছো তাকে?"
"নিহান ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠলো,' আমি এক বছর যাবৎ যে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি;সেখানেই।"
"নিহানের কথা শুনে ওর বাবা-মায়ের মুখমন্ডল যেনো খুশিতে চকচক করে উঠলো।শায়লা বেগম হাসি মুখে বললেন,'এতো খুশির সংবাদ। অবশেষে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে।কিন্তুু,তুমি হঠাৎ ভা**ঙচুর করছো কেনো?"
"নিহান কন্ঠে তেজি ভাব নিয়ে বললো,'সে আমাকে চেনে না।এমনকি, আমার সাথে ভালোভাবে কথাও বলতে চায় না।সে অন্য পুরুষদের দেখে চোখের তৃষ্ণা মেটায়।এটা আমার মোটেও সহ্য হচ্ছে না।আমি তাকে খুব শীঘ্রই এ বাড়িতে বিয়ে করে নিয়ে আসতে চাই।"
"নিহানের কথা শুনে ইমতিয়াজ আহমেদ বললেন,'সেতো ভালো কথা।ওর বর্তমান বাসার ঠিকানা আমাকে দাও।আমি আগামীকাল ওদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো।"
"নিহান ওর বাবার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললো, 'সে আমাকে বিয়ে করতে কিছুতেই রাজি হবে না।কিন্তুু, তাকে ছাড়া আমি আর একমুহূর্তও থাকতে পারছি না।তাই আমি একটা প্ল্যান করেছি;সে অনুয়ায়ী তোমরা কাজ করবে।তাহলেই আমরা আমাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবো।'বলেই নিহান ওর বাবা-মাকে প্ল্যানের ব্যাপারে সবকিছু বললো।নিহানের কথা শেষ হতেই ইমতিয়াজ আহমেদ এবং শায়লা বেগমের মুখে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠলো।"
---------------
"ভোর সাড়ে ৫টায় ঘাড়ের কাছে ঠান্ডা কিছুর অনুভব হতেই চোখ মেলে তাকালো ইরা।শোয়া থেকে উঠে বসে চারিদিকে তাকালো।দেখলো রুমে কেউ নেই।ভাবলো,'আমার ঘাড়ে ঠান্ডা কিছুর অনুভব হলো কেনো?'ভেবেই ঘাড়ে হাত দিয়ে তরল কিছু অনুভব করলো।ইরা হাত সামনে আনতেই দেখলো হাতে র**ক্ত লেগে আছে।এটা দেখেতো ইরার প্রায় বেহুশ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো।দ্রুত বিছানা থেকে নেমে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই দেখলো, ওর ঘাড়ে দু'টো দাঁতের দা**গ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।ইরা এই দা**গ দেখে বেশ অবাক হয়ে গেলো।জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট জোড়া ভেজাতেই কেমন যেনো নোনতা স্বাদ পেলো।আয়নার দিকে তাকিয়ে জিহ্বা বের করে দেখলো, জিহ্বায় সাদা কিছু লেগে আছে।"
"ইরা ভাবলো,'আমি তো গতকাল রাতে ব্রাশ করে ঘুমিয়েছিলাম;তাহলে মুখে এইরকম স্বাদ অনুভব হচ্ছে কেনো?আর এতো নোনতা লাগছে কেনো?আর আমার ঘাড়ে এই দাঁতের দা**গ কিভাবে এলো?"
"ইরা রুমের চারিদিকে আবারও ভালো করে তাকিয়ে দেখলো, রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা।বেলকনির দরজা সহ জানালাও ভেতর থেকে লক করা।তাহলে কিভাবে কি হলো?কিছুই ওর মাথায় আসছে না।ইরা ওর বাবার সাথে এতোটা ফ্রি না। ওর মা বেঁচে থাকলে হয়তো কথাগুলো তার সাথে শেয়ার করতো।'ভেবেই ইরা মোবাইল হাতে নিয়ে নীলাদ্রির নাম্বারে ডায়াল করলো।দুইবার রিং হতেই নীলাদ্রি ওর ফোন রিসিভ করে ঘুমঘুম কন্ঠে বললো,'কিরে ইরা এতো সকালে ফোন করলি কেনো?"
"ইরা কন্ঠে আ**তংক নিয়ে নীলাদ্রি কে সবকিছু বললো।ইরার মুখে এহেন কথা শুনে নীলাদ্রির ঘুম পাখিরা উড়ে গেলো।ভ্রু কুচকে বললো,'কি বলছিস এসব?আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না।আচ্ছা শোন আজ তুই হিজাব পড়ে ইউনিভার্সিটিতে আসবি,নইলে তোকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।আর আজ ১০টায় তো আমাদের কবিরাজের কাছে যাওয়ার কথা।তাই প্রথম দু’টো ক্লাস মিস দিতে হবে।তারপর ওরা আরও কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দিলো।"
" সকাল ১০টায় নীলাদ্রি এবং ইরা কবিরাজের বাসার সামনে হাজির হতেই দেখলো, সেখানে অনেক মানুষের ভিড়।ওরা সেখানে গিয়ে দেখলো, কিছু মানুষ কবিরাজের নাম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গা**লাগা**লি করছে।কেউ কেউ কান্নাকাটি শুরু করেছে।নীলাদ্রি কবিরাজের রুমের দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো, সেখানে বড় একটা তালা ঝুলছে।নীলাদ্রি এবং ইরা এতক্ষণে বুঝতে পারলো ঘটনা কি ঘটেছে।"
"নীলাদ্রি ইরার দিকে তাকিয়ে কটমটিয়ে বললো,'নে তোর ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল কবিরাজ সবার টাকা নিয়ে পালিয়েছে।কতো কষ্ট করে টিউশনি করে ৩হাজার টাকা দিয়েছি।শেষমেশ কাজের কাজ কিছুই হলো না।'ইরা ভীতু দৃষ্টিতে নীলাদ্রির দিকে তাকিয়ে বললো,'সরি দোস্ত আমি বুঝতে পারিনি যে সে এমন ব**জ্জাত ভন্ড কবিরাজ।"
"নীলাদ্রি ম্লান হেসে বললো,'কি আর করার! এই মাসে মায়ের জন্য ১৫দিনের ওষুধ কিনতে হবে।আর বাকি টাকা ছাত্রীর মায়ের কাছ থেকে অ্যাডভান্স চেয়ে নেবো।'বলেই ক্ষুদ্র নিঃশ্বাস ছাড়লো।"
"ইরার মনের ভেতর খুব অপরাধবোধ কাজ করছে।আজ যদি ইরা এই কবিরাজের কাছে ওকে না নিয়ে আসতো,তাহলে এই দিন দেখতে হতো না।মনে মনে কবিরাজকে ইচ্ছেমতো গা**লি দিয়ে নীলাদ্রিকে বললো,'আমাদের ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে,নইলে আজকের ক্লাস টা মিস হবে।' তারপর নীলাদ্রি এবং ইরা
ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।ওরা ক্লাসে গিয়ে দেখলো আজ নিহান,এহতিশাম এবং ইয়াশ ক্লাসে নেই।ইরা বেশ অবাক হয়ে বললো,'ওই তিন ভাইয়ের দল আজ ক্লাসে আসে নি,স্ট্রেঞ্জ!"
"এদিকে গতকাল রাত থেকে কবিরাজ মন্টু মোল্লা কে হাত-পা বেঁধে একটি রুমের মধ্যে ফ্লোরে ফেলে রাখা হয়েছে।মন্টু মোল্লা অনেকক্ষণ চিৎকার করেছে।কিন্তুু বাহির থেকে কোনো আওয়াজ আসেনি।একসময় কবিরাজ ক্লান্ত হয়ে গেলো।তখনই দরজায় ক্যাচক্যাচ শব্দ হতেই মন্টু মোল্লা সেদিকে তাকিয়ে দেখলো, নিহান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।নিহান বড় বড় পা ফেলে রুমে প্রবেশ করলো।নিহানের পেছনে এহতিশাম এবং ইয়াশও এলো।নিহান একটি চেয়ারে বসে ইয়াশ কে বললো,'ইয়াশ এই ভ**ন্ড কবিরাজের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দে।"
"ইয়াশ নিহানের কথামতো কবিরাজের কাছে গিয়ে তার হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিলো।মন্টু মোল্লা ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।নিহান তার দিকে একটু ঝুঁকে তেজি কন্ঠে বললো,'নীরিহ মানুষগুলো কতো কষ্ট করে টাকা জমিয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করতে তোর কাছে আসে।আর তুই তার সুযোগ নিয়ে তাদের টাকা নিয়ে পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াস।আর তোর সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো,তুই আমার নীলাঞ্জনাকে মিথ্যা কথা বলে ওর থেকে টাকা নিয়েছিস। আজ তোকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।'বলেই নিহান ধীরে ধীরে তার ভ্যাম্পায়ারের রূপ ধারণ করতে থাকলো।নিহানের লাল চোখজোড়া,বাদুড়ের মতো মুখমন্ডল,নেকড়ের মতো শরীর, আর সামনে বের হয়ে আসা দু'টো বড় দাঁত দেখেই মন্টু মোল্লা অজ্ঞান হয়ে যেতে নিলে, নিহান তার ঘাড়ে বাইট করে দেয়।এতোটা জোরে বাইট করে যে মন্টু মোল্লার ঘাড় থেকে অনবরত র**ক্ত ঝরতে থাকে।"
"সেটা দেখে এহতিশাম আর ইয়াশ লোভ সামলাতে পারে না।ইয়াশ নিহানের কাছে এসে বলে,'ভাইয়া তুমি তো A+ পজিটিভ র**ক্ত পান করো না।আমি আর এহতিশাম ভাইয়া করি।তাই ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দাও।রাতে তোমাকে পশুর B+ পজিটিভ রক্ত এনে দেবো।' ইয়াশের কথা শুনে নিহান তার ঠোঁটের নিচে লেগে থাকা র**ক্ত হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুছে, সেখান থেকে হনহন করে চলে গেলো।"
#চলবে...
(আচ্ছা আমার পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে কাদের র**ক্তের গ্রুপ B+ পজিটিভ?আমার নিষ্পাপ মন খুব করে জানতে চাইছে।হ্যাপি রিডার্স।)
Post a Comment