ভাবির ছোট বোন পর্ব ২১

 গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন... 

পর্বঃ-২১

লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, নামাজ পড়ে নাস্তা করেছি এমন সময় রিয়াদের ফোন এলো

রিয়াদঃ- শিশির কোথায় তুই 

শিশিরঃ- এতো সকালে মানুষ কোথায় থাকে 

রিয়াদঃ- ফাইজলামি করিস না,তাড়াতাড়ি বল

শিশিরঃ- আরে আমি বাড়িতে আছি,কী হয়েছে বল

রিয়াদঃ- সরি রে,কাল তোকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম,আজ আমার ছোট বোনকে দেখতে আসবে

শিশিরঃ- এতে সমস্যা কী,তুই এতো টেনশন করছিস কেন

রিয়াদঃ- তুই এখনই আমাদের বাড়িতে আয়,কথা আছে

শিশিরঃ- আচ্ছা কিছুক্ষণ পর যাচ্ছি

রিয়াদঃ- ওকে

মাঃ- কী হয়েছে 

শিশিরঃ- কিছু না,রিয়াদ বললো আজ নাকি ওর বোনকে দেখতে আসবে, এজন্য আমাকে যেতে হবে

মাঃ- সে তো ভালো কথা, তুই যা

মর্জিনাঃ- আমিও যাবো

শিশিরঃ- তুমি গিয়ে কী করবে

মাঃ- ও যখন যেতে চায় নিয়ে যা

শিশিরঃ- ওকে চলো

এরপর আমি আর মর্জিনা রিয়াদের বাড়িতে চলে গেলাম 

রিয়াদঃ- ওমা, তুই দেখি সাথে আমার হবু ভাবিকেও নিয়ে এসেছিস

শিশিরঃ- উপায় নেই,ফেভিকলের মতো লেগে থাকে

রিয়াদঃ- হুম সেটাই ভালে তাই না ভাবি

মর্জিনাঃ- হুম

রিয়াদঃ- চল ভিতরে

আমরা ভিতরে গেলাম 

রিয়াদের মাঃ- শিশির এসেছো বাবা 

শিশিরঃ- হুম আন্টি

রিয়াদের মাঃ- এই মেয়েটা?

রিয়াদঃ- মা,ঐটা শিশির হবু

রিয়াদের মাঃ- হয়েছে আর বলতে হবে না,মাশাআল্লাহ খুব মিষ্টি মেয়ে তো

মর্জিনাঃ- আসসালামু আলাইকুম আন্টি

রিয়াদের মাঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম,কেমন আছো মা

মর্জিনাঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো 

রিয়াদের মাঃ- তোমরা গল্প করো,আমি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আছি

রিয়াদের মা নাস্তা আনতে গেলো

রিয়াদঃ- এখন দিনকাল কেমন চলছে 

শিশিরঃ- ভালো

রিয়াদঃ- তো ভাবি বিয়ে করছেন কবে

মর্জিনাঃ- কিছুদিনের মধ্যেই

রিয়াদঃ- এতো তাড়াতাড়ি কেন

মর্জিনাঃ- আর বলো না ভাই,মেয়েদের কী আর কোনো ছেলে চোখে পড়ে না,শুধু আমার বরটার দিকে নজর দেয়

রিয়াদঃ- ওহ,বুঝেছি এহ সমস্যা, চিন্তা করবেন না ভাবি,আমি জানি শিশির আপনাকে অনেক ভালোবাসে,সে কোনোদিন অন্য কাউকে পাত্তা দিবে না

মর্জিনাঃ- আমিও জানি

শিশিরঃ- তোমার যখন এতোই চিন্তা, তাহলে চলো আমীা আজই বিয়ে করে নিবো

মর্জিনাঃ- আমার খেয়ে কোনো কাজ নেই 

একটু পর রিয়াদের মা নাস্তা নিয়ে এলো, আমরা নাস্তা করে নিলাম, এর কিছুক্ষণ পর দেখি রিয়াদের বোনকে দেখতে চলে এসেছে 

সবাই কথা বার্তা বলছে,এমন সময় আমি খেয়াল করে দেখি একটা ছেলে অনেকক্ষণ থেকে মর্জিনার পিছে ঘুর ঘুর করতেছে,রিয়াদকে ডেকে বললাম

শিশিরঃ- ঐছেলেটা কে

রিয়াদঃ- আমার বোনের হবু স্বামীর বন্ধু, কেন কী হয়েছে 

শিশিরঃ- ছেলেটা অনেকক্ষণ ধরে মর্জিনার পিছে ঘুর ঘুর করতেছে 

রিয়াদঃ- আচ্ছা আমি দেখছি,বিষয়টা

শিশিরঃ- না থাক, আগে দেখি কী হয়

একটু পর ছেলেটা মর্জিনার কাছে গিয়ে বললো

রাতুল(ছেলেটার নাম)ঃ- Hi

মর্জিনাঃ- কে আপনি?

রাতুলঃ- আমি রাতুল

মর্জিনাঃ- কী চাই

রাতুলঃ- আপনার নাম

মর্জিনাঃ- মর্জিনা 

রাতুলঃ- Wow!! খুব সুন্দর নাম একদম আপনার মতো

মর্জিনাঃ- এই যে,কে আপনি?? আপনাকে কে বললো আমার তারিফ করতে

রাতুলঃ- না মানে

মর্জিনাঃ- কীসের মানে মানে করছেন হে 😡😡

রাতুলঃ- বলছিলাম আপনার বন্ধু হতে পারি

মর্জিনাঃ- ওহ তাই

রাতুলঃ- হুম

মর্জিনাঃ- একটা থাপ্পড় দিবো 😡 মেয়ে দেখলেই পিছু ঘুর ঘুর করেন লজ্জা করে না

রাতুলঃ- না আপনি ভুল বুঝছেন 

মর্জিনাঃ- কীসের ভুল? ফালতু ছেলে,এই শুনছো (আমাকে উদ্দেশ্য করে)

শিশিরঃ- হুম বলো

মর্জিনাঃ- এদিকে এসো না

শিশিরঃ- হুম বলো (সেখানে গিয়ে)

মর্জিনাঃ- এই ভদ্রলোক আমার বন্ধু হতে চায়,আমি কী হতে পারি (রাতুলকে উদ্দেশ্য করে)

রাতুলঃ- আপনি বন্ধু হতে, এনাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন

মর্জিনাঃ- কেননা ইনি আমার স্বামী 

রাতুলঃ- সরি, আমি বুঝতে পারি নি

মর্জিনাঃ- কেন? মেয়ে দেখলেই পিছু ঘুরতে ভালো লাগে না আপনার 

রাতুলঃ- আসলে আমি জানতাম না আপনি বিবাহিত 

মর্জিনাঃ- আজকের পর থেকে কোনোদিন কোনো মেয়ের পিছু করার আগে জেনে নিবেন মেয়েটা কেমন,আমি ছেড়ে দিয়েছি,অন্য মেশে হয়তে ছাড়া দিবে না জায়গায় থাপ্পড় দিবে

রাতুলঃ- সরি,আমি আসছি

এই বলে রাতুল সেখান থেকে দৌড়ে চলে গেলো

রিয়াদঃ- ভাবি আপনি আসলেই অনেক রাগী, শিশির ঠিকই বলে

মর্জিনাঃ- শিশির আপনাকে কী বলেছে

শিশিরঃ- এই তোর আর কোনো কাজ নেই 

মর্জিনাঃ- তুমি বলো,শিশির কী বলেছে তোমাকে

রিয়াদঃ- না তেমন কিছু না, শিশির বলে যে আপনি খুব রাগী কথায় কথায় রেগে যান

মর্জিনাঃ- আজ তোমাকে আমি দেখি নিবো, আমার কথা অন্য লোককে বলো (আমাকে উদ্দেশ্য করে)

এরপর রিয়াদের বোনকে দেখে সবাই চলে গেলো,আমরাও চলে যাচ্ছি 

রিয়াদের মাঃ- আবার বেড়াতে এসো মা

মর্জিনাঃ- হ্যা আন্টি আসবো

রিয়াদঃ- ভাবি শিশিরকে কিছু বলো না

মর্জিনাঃ- আগে বাড়ি যায় তারপর হবে

রিয়াদের মাঃ- শিশির সাবধানে যেও বাবা

শিশিরঃ- হুম আন্টি 

এরপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। 

চলবে...

বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন