গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন...
পর্বঃ- ১২
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
অনেকক্ষণ পর ঘুমটা ভেঙে গেলো,জেগে দেখি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, বিছানা থেকে উঠে একটু বাহিরে গেলাম,দেখছি মর্জিনা তার কিছু বান্ধবী নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে
কাজল(মর্জিনার বান্ধবী)ঃ- দুলাভাই কেমন আছেন
শিশিরঃ- সরি,আপনার ভুল হচ্ছে
কাজলঃ- কেন ভুল হবে কেন
শিশিরঃ- আমি (আমাকে থামিয়ে দিয়ে)
বৃষ্টি(মর্জিনার বান্ধবী)ঃ- দুলাভাই লজ্জা পাচ্ছে
শিশিরঃ- এই যে,কারা আপনারা, আমি আপনাদের দুলাভাই হতে যাবো কেন
কাজলঃ- কেন
শিশিরঃ- কারণ আপনাদের দুলাভাই হচ্ছে আমার বড় ভাই,আমি নই
বৃষ্টিঃ- আপনার বড় যে আমাদের দুলাভাই তা তো জানি
শিশিরঃ- তাহলে আমাকে দুলাভাই ডাকছেন কেন
কাজলঃ- কেন আপনি মর্জিনাকে বিয়ে করবেন না
শিশিরঃ- আমি মর্জিনাকে বিয়ে করতে যাবো কেন
মর্জিনাঃ- এই কী বললে 😡😡, আবার বলো তো
শিশিরঃ- না মানে
মর্জিনাঃ- হুম বলো,আবার বলো তো (রেগে)
শিশিরঃ- করবো
মর্জিনাঃ- কী করবে
শিশিরঃ- বিয়ে
মর্জিনাঃ- কাকে
শিশিরঃ- এতো কথা বলো কেন
বৃষ্টিঃ- এই থাম(মর্জিনাকে উদ্দেশ্য করে) দুলাভাই লজ্জা পাচ্ছে তো
কাজলঃ- হুম,দুলাভাই এবার বলেন আপনি কেমন আছেন
শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো
বৃষ্টিঃ- এমন মিষ্টি একটা বউ পেলে, সবাই ভালো থাকে
মর্জিনাঃ- আর কোনোদিন যদি বলো যে,আমাকে বিয়ে করবে না,তাহলে মাথা ফাটিয়ে ফেলব
শিশিরঃ- ওকে, আর বলবো না
আন্টিঃ- কী বলবে না বাবা (পিছন থেকে)
শিশিরঃ- না আন্টি কিছু না
আন্টিঃ- আমাকে বলতে পারো,কোনো সমস্যা
শিশিরঃ- তা কিছু না আন্টি, আপনি শুধু শুধু চিন্তা করছেন
আন্টিঃ- মর্জিনা তোর বান্ধবীদের নিয়ে আয় আমি নাস্তা দিচ্ছি, শিশির তুমিও এসো বাবা
শিশিরঃ- হ্যা আন্টি,যাচ্ছি
আন্টি চলে গেলো নাস্তা রেডি করতে
কাজলঃ- আহা রে!! মেয়ে জামাইয়ের জন্য কী দরদ
শিশিরঃ- এই যে, আপনারা কী যাতা বকে যাচ্ছেন, আমি ওনার মেয়ে জামাই হতে যাবো কেন
মর্জিনাঃ- কী বললে
শিশিরঃ- কিছু না তো
বৃষ্টিঃ- এই মর্জিনা, তুই সব সময় জামাই বাবুকে বকা দিস কেন
মর্জিনাঃ- বকা দেয় কী আর স্বাদে, দেখিস না কী সব উল্টা-পাল্টা কথা বলে
এরপর আন্টির ডাক, সবাি নাস্তা করে নিলাম,নাস্তা শেষ করে সবাই মিলে অনেকক্ষণ গল্প করলাম,রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি চলে আসতে চাইলে আন্টি আসতে দিলো না
রাতে আমাকে শুয়ে থাকার জন্য একটা রুমে নিয়ে গেলো,আমি সেখানেই শুয়ে আছি
প্রায় রাত ১১ টা বাজে আমার চোখ একটু একটু ঘুম আসতেছে এমন সময় কে যেন দরজা খুলে ভিতরে এলো
আমি চোর চোর বলে ডাক দিলাম, এমন সময় দেখি মর্জিনা, আমার আওয়াজ শোনে আন্টি ও আংকেল ছুটে এসেছে,তখনই বিপদে পড়ে গেছি,তাড়াতাড়ি করে মর্জিনাকে কম্বল দিয়ে লুকিয়ে রেখেছি
আন্টিঃ- কোথায় চোর
শিশিরঃ- না, মানে
আংকেলঃ- কী স্বপ্ন দেখেছিলে
শিশিরঃ- হ্যা হ্যা,স্বপ্ন দেখি
আন্টিঃ- ও তাই বলো,আমাদের এলাকায় তো কোনো চোর নেই,এজন্যই আমি তো অবাক হয়ে গিয়ে ছিলাম
আংকেলঃ- আচ্ছা বাবা,এখন ঘুমাও
শিশিরঃ- আচ্ছা, আপনারা যান,আমি ঘুমাচ্ছি
আংকেল ও আন্টি চলে গেলো, তখনই মর্জিনাকে বের করলাম
শিশিরঃ- এই যে,তোমার কী কোনো কাজ নাই,এতো রাতে এখানে কী
মর্জিনাঃ- ঘুম আসছে না,শুধু তোমার কথা মনে পড়ছে
শিশিরঃ- তাই বলে এখানে আসতে হবে,যদি কেউ দেখে পেলতো
মর্জিনাঃ- দেখলে কিছুই হতো না,আমাদের বিয়ে দিয়ে দিতো,তাহলে আরও ভালো হতো
শিশিরঃ- সব সময় ফাইজলামি, যাও এখন আমি ঘুমাবো
মর্জিনাঃ- যেতে পারি,কিন্তু একটা শর্তে
শিশিরঃ- আবার শর্ত কিসের
মর্জিনাঃ- একটা কিস দাও
শিশিরঃ- এতো রাতে,ফাইজলামি করো
মর্জিনাঃ- তাহলে আমি যাবো না,এখানেই ঘুমাবো
শিশিরঃ- যাও না
মর্জিনাঃ- দাও না
শিশিরঃ- ওফ,তোমাকে নিয়ে পারা যায় না, উমমমমা (কিস দিয়)
মর্জিনাঃ- এবার যাচ্ছি,এখন ঘুমা আসবে
শিশিরঃ- ওকে যাও
চলবে....
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment