গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন 

পর্বঃ- ১৩


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে এসে উঠানে বসে আছি হালকা ঠান্ডা লাগছে এমন সময় হঠাৎ কে যেন ফিছন থেকে একটি চাদর পড়িয়ে দিলো,ফিছনে ঘুরে দেখি মর্জিনা


শিশিরঃ- তুমি


মর্জিনাঃ- কেন? অন্য কাউকে আশা করে ছিলে নাকি


শিশিরঃ- তা না,এমনি


মর্জিনাঃ- ভিতরে চলো মা ডাকছে নাস্তা করার জন্য 


শিশিরঃ- তুমি যাও আমি একটু পর আসতেছি


মর্জিনাঃ- একটু পর কেন? কেউ আসবে নাকি


শিশিরঃ- হ্যা, এজন্যই তো এখানে অপেক্ষা করতেছি


মর্জিনাঃ- ও তাই নাকি 


শিশিরঃ- হুম


মর্জিনাঃ- থাপ্পড় দিবো একটা ফালতু ছেলে 😡


শিশিরঃ- এই কী বললে তুমি 😡


মর্জিনাঃ- কানে কী কম শুনতে পাও


শিশিরঃ- মুখ সামলে কথা বলো


মর্জিনাঃ- কেন, অন্য মেয়ের জন্য অপেক্ষা করো মানে কী??


শিশিরঃ- সেটা আমার ইচ্ছে 


বৃষ্টিঃ- এই যে তোরা সকাল সকাল আবারও শুরু করে দিয়েছিস


মর্জিনাঃ- করবো না,কী বলে শুনেছিস


বৃষ্টিঃ- আচ্ছা হয়েছে, এখন চল,তোদের সাথে কথা বলতে বলতে খাবো বলে আমিও নাস্তা না করে চলে এসেছি


আন্টিঃ- কী হয়েছে মর্জিনা, এতো দেরি করছিস কেন


শিশিরঃ- কিছু না আন্টি, আমরা এসে গেছি


আন্টিঃ- বৃষ্টি তুইও এসেছিস


বৃষ্টিঃ- হ্যা আন্টি 


আন্টিঃ- খুব ভালো করেছিস, সবাই মিলে একসাথে খেতে পারবি


মর্জিনাঃ- আমি খাবো না


আন্টিঃ- কেন? তোর আবার কী হয়েছে 


মর্জিনাঃ- কিছু আমার খেতে ইচ্ছে করছে না


বৃষ্টিঃ- আন্টি আপনি যান,মর্জিনা খাবে এমনি দুষ্টামি করতেছে


শিশিরঃ- কী হয়েছে (মর্জিনাকে উদ্দেশ্য করে)


মর্জিনাঃ- কিছু না, আমি খাবো না


শিশিরঃ- তুমি কী বলেছো, একবার ভেবে দেখেছো


মর্জিনাঃ- এতো কিছু জানি না,তুমি অন্য মেয়ের নাম মুখে আনলে কেন?


বৃষ্টিঃ- আচ্ছা আপনি একবার সরি বলে দেন (আমাকে উদ্দেশ্য করে)


শিশিরঃ- আচ্ছা সরি,আর বলবো না


মর্জিনাঃ- মনে থাকে যেন


শিশিরঃ- ওকে, সারাজীবন মনে থাকবে


এরপর নাস্তা করে সবাই কিছুক্ষণ গল্প করলাম,দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে চলে আসলাম


★★[ এই গল্পের লেখক Md Monir Uddin Shisir কিছু লোক এই গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়, তাদের এড়িয়ে চলুন]★★


মাঃ- তুই এসেছিস, বেয়াই-বেয়াইন সবাই কেমন আছে


শিশিরঃ- সবাই ভালো


ভাবিঃ- শিশির এদিকে এসো তো


শিশিরঃ- হুম ভাবি বলো


ভাবিঃ- তুমি ভালো আছো?? 


শিশিরঃ- হুম,আলহামদুলিল্লাহ 


ভাবিঃ- মর্জিনা কেমন আছে 


শিশিরঃ- হুম ভালো


ভাবিঃ- আচ্ছা এখন যাও


আমি সেখান থেকে চলে এসে ফ্রেশ হলাম, এরপর বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম


রিয়াদঃ- কিরে শালা,তুই দেখি আমাদের ভুলেই গেছিস 


শিশিরঃ- কী বলিস,তোরা তো আমার কলিজা তোদের ভুলবো কী ভাবে 


রাকিবঃ- হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না, বেয়াইন পেয়ে আমাদের ভুলে গেছিস 


শিশিরঃ- এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে 


রিয়াদঃ- আচ্ছা থাম,এবার চল নাস্তা করি


শিশিরঃ- ওকে চল,আমার কাছে টাকা নাই কিন্তু 🤣


রাকিবঃ- সব টাকা তুই শালা দিবি (আমাকে উদ্দেশ্য করে)


এরপর সবাই মিলে নাস্তা করলাম,আমি বিল দিতে চাইলাম কিন্তু রিয়াদ দিয়ে দিলো


এরপর আরও অনেকক্ষণ গল্প করতে করতে রাত হয়ে গেলো


শিশিরঃ- আমি এবার যায়,কাল কলেজে যাবি তোরা


রিয়াদঃ- যাবো মানে, আবার জিগায়,এতোদিন তুই ছিলি না এজন্য আমরাও যায় নি


শিশিরঃ- বলিস কী 😱


রাকিবঃ- হ,তোকে ছাড়া কলেজে কেমন যেন আলু ছাড়া বিরিয়ানির মতো লাগে


শিশিরঃ- তবে রে,শালা 


তাদের সাথে একটু পর বাসায় চলে গেলাম,বাসায় গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ২০+ মিসড্ কল


আমি তো অবাক, এতো ফোন কে দিলো,দেখলাম সবগুলো মর্জিনার ফোন,তাড়াতাড়ি কল ব্যাক করলাম


ফোন রিসিভ করেই গালাগালি শুরু


মর্জিনাঃ- এই কুত্তা এতোক্ষণ কোথায় ছিলি,আমার ফোন রিসিভ করলি না কেন?? কোন ম্যাইয়ার সাথে ঘুরতে গিয়ে ছিলি


শিশিরঃ- আরে তুমি শান্ত হও,আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম


মর্জিনাঃ- তুই আমার ফোন রিসিভ করলি না কেন?? 


শিশিরঃ- সরি,আসলে আমি ফোন বাড়িতে ফেলে চলে গিয়েছিলাম, মনে ছিলো না


মর্জিনাঃ- আমি তোকে মেরে ফেলবো কুত্তা 


শিশিরঃ- আচ্ছা তোমার যা ইচ্ছে করো,এখন ফোন রাখছি,আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে 


মর্জিনাঃ- যা,তলর সাথে আমার কোনো কথা নাই


শিশিরঃ- ওকে,আল্লাহ হাফেজ


এরপর খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম,পরদিন সকালে নাস্তা করে রেডি হয়ে কলেজে গেলাম


চলবে...


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 

Post a Comment

Previous Post Next Post