গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন... 

পর্বঃ- ১১


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir


বাহিরে এসে নাস্তা করে নিলাম, দেখছি মর্জিনা রেড়ি হয়ে বসে আছে 


শিশিরঃ- মা,আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি 


মাঃ- মর্জিনা চলে যাবে,ওর সাথে যাবি না


শিশিরঃ- না,আমার কাজ আছে


মর্জিনাঃ- থাক কাউকে যেতে হবে না,আমি একাই চলে যেতে পারবো (রাগ করে)


মাঃ- না,এতদুর একা যাওয়া ঠিক হবে না,শিশির তুই তৈরি হয়ে নে


শিশিরঃ- মা,কিন্তু 


মাঃ- কোনো কিন্তু নয়,আমি বলছি যেতে হবে


শিশিরঃ- ওকে একটু দাঁড়ান 


মর্জিনাঃ- থাক আপনাকে এতো কষ্ট করতে হবে না


ভাবিঃ- এই তোর এতো দেমাক কেন? ওর না হয় কাজ ছিলো,এজন্যই যাবে না বলেছে (মর্জিনাকে উদ্দেশ্য করে)


কিছুক্ষণ পর আমি তৈরি হয়ে এসে,দু'জনই বেরিয়ে গেলাম, একটা রিক্সা নিয়ে যাচ্ছি 


মর্জিনাঃ- তোমার এতো অহংকার কেন? 😠


শিশিরঃ- কী বলছো এসব,আমি অহংকার করলাম কখন


মর্জিনাঃ- কেমন এমন করছো আমার সাথে, কেন এতো অবহেলা করতেছো,কী দোষ করেছি আমি


শিশিরঃ- কী বলছো এসব,কে তোমাকে অবহেলা করে


মর্জিনাঃ- তুমি


শিশিরঃ- শুধু শুধু আমাকে মিথ্যা দোষ দিচ্ছো, আমি কেন তোমাকে অবহেলা করবো,আমি তোমার কে??


মর্জিনাঃ- কী বললে,তুমি আমার কেউ না


শিশিরঃ- তা বলছি না,আমি তোমার বেয়ায় হি আর কি


মর্জিনাঃ- কেন? তুমি আমাকে ভালোবাসো না


শিশিরঃ- এর মধ্যে আবার ভালোবাসা আসলো কোথায় থেকে


মর্জিনাঃ- কথা ঘুরাবে না,যা বলছি তার উত্তর দাও


শিশিরঃ- কিসের উত্তর? কি বলছো কিছুই তো বুঝি না


মর্জিনাঃ- মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু


শিশিরঃ- বাড়িতে এসে গেছি,এবার নামো রিক্সা থেকে


মর্জিনাঃ- চলুন ভিতরে,আজ দেখাবো মজা শয়তান ছেলে কোথাকার 


আমি রিকসাওয়ালার পাওনাটা দিয়ে ভিতরে গেলাম


শিশিরঃ- আসসালামু আলাইকুম 


আন্টিঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম


শিশিরঃ- কেমন আছেন আন্টি 


আন্টিঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো,এসো বাবা,ভিতরে এসো


ভিতরে গিয়ে বসলাম, নাস্তা করে কিছুক্ষণ সবাই মিলে গল্প করলাম, এর দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি চলে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি


আন্টিঃ- তুমি চলে যাবে নাকি


শিশিরঃ- হ্যা আন্টি 


আন্টিঃ- না,আজ থেকে যাও, কাল যেও


শিশিরঃ- না আন্টি,আমার একটু কাজ আছে


মর্জিনাঃ- (চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)  


আন্টিঃ- সমস্যা নেই,কাজ কালও করতে পারবে,এতোদিন পর এসেছো একদিন থেকে গেলে কিছু হবে না


শিশিরঃ- আচ্ছা 


আন্টিঃ- মর্জিনা, তুই শিশিরকে রুমে নিয়ে যা


মর্জিনাঃ- আসুন মিস্টার শিশির 


শিশিরঃ- 😳😳😳


রুমে গেলাম, যাওয়ার পর মর্জিনা দরজা বন্ধ করে দিলো


শিশিরঃ- এই দরজা বন্ধ করলে কেন


মর্জিনাঃ- সোনা,তুমি সকাল থেকে আমাকে অনেক জ্বালানিছো,এবার আমার পালা


শিশিরঃ- এই আমি তোমাকে কী করেছে


মর্জিনাঃ- এবার আমি একটা ছোট করে চিৎকার করবো,আর তোমার সব অহংকার শেষ হয়ে যাবে,হি হি 


শিশিরঃ- মানেটা কী, আমি কী করেছি


মর্জিনাঃ- কিছুই তো করো নি


শিশিরঃ- তাহলে এসব কী বলছো


মর্জিনাঃ- বলবো না,তাহলে বলো আমাকে বিয়ে করবে 


শিশিরঃ- তুমি কী পাগলি হয়ে গেছো


মর্জিনাঃ- কেন


শিশিরঃ- আমি তোমাকে বিয়ে করবো কেন,তাছাড়া আমার তো এখন বিয়ে করার সময়ও হয় নি


মর্জিনাঃ- এখন করতে হবে না,যখন সময় হবে তখম করবে,আর ততদিন আমার সাথে প্রেম করবে


শিশিরঃ- আমি তোমাকে বিয়ে করবো কেন? দেশে কী মেয়ের অভাব পড়েছে 


মর্জিনা'- না তা পড়ে নি,কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমি আমাকে বিয়ে করবে 


শিশিরঃ- আমাকে ৩ হাজার পাগলা কুত্তায় কামড়ালেও তোমাকে বিয়ে করবো না


মর্জিনাঃ- ও তাই নাকি


শিশিরঃ- হুম তাই,তুমি যা পারো করো


মর্জিনাঃ- তাহলে তো আমাকে চিৎকার করতে হচ্ছে 


শিশিরঃ- চিৎকার করলে কী হবে


মর্জিনাঃ- বলবো তুমি আমাকে, তুমি নিশ্চয় বুঝতে পারছো আমি কি বলতে চেয়েছি


শিশিরঃ- কেউ তা বিশ্বাস করবে না,কারণ আমি তো তোমাকে কিছুই করি নি


মর্জিনাঃ- সেটা তুমি আর আমি জানি,অন্যরা তো জানে না


শিশিরঃ- কিন্তু তুমি এমনটা করতে পারবে 


মর্জিনাঃ- তোমাকে পাওয়ার জন্য এরচেয়ে বড় করতে হলেও রাজী


শিশিরঃ- প্লিজ,পাগলামি করো,এখন যাও


মর্জিনাঃ- তাহলে বলো,আমাকে ভালোবাসো


শিশিরঃ- না বলবো না


মর্জিনাঃ- মা মা (ছোট করে চিৎকার দিয়ে)


শিশিরঃ- এই কী করছো, বলছি বলছি (মুখ চেপে ধরে) 


মর্জিনাঃ- হুম লক্ষী ছেলের মতো বলো


শিশিরঃ- I love u 


মর্জিনাঃ- আমি ইলিশ-তিলিশ বুঝি না,বাংলায় ভালো সোনা


শিশিরঃ- আমি তোমাকে ভালোবাসি 


মর্জিনাঃ- আবার বলো


শিশিরঃ- আমি তোমাকে ভালোবাসি 


মর্জিনাঃ- আবার বলো


শিশিরঃ- আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমাকে ভালোবাসি, আর বলতে হবে


মর্জিনাঃ- এবার আমাকে বুকে নাও


শিশিরঃ- এই না না,তা পারবো না


মর্জিনাঃ- তাহলে চিৎকার করি


শিশিরঃ- ওফ, কেন যে এখানে আসলাম,এসো চাপ দিয়ে মেরে ফেলেবো


মর্জিনাঃ- তোমার বুকে মরতেও রাজী 


মর্জিনা আমাকে জড়িয়ে ধরে কয়েকটা কিস দিলো


মর্জিনাঃ- তুই কেন বুঝিস না,আমি তোকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি


শিশিরঃ- হয়েছে এবার যাও


মর্জিনাঃ- ওকে যাচ্ছি,তবে আবার আসবো একটু পর বাকি পাওনা গুলো নেওয়া জন্য 


শিশিরঃ- বাকি পাওনা মানে


মর্জিনাঃ- আহা রে সোনা,তুমি কী মনে করেছো আমি তোমাকে এতো সহজে ছেড়ে দিবো,তা কখনো মনে করো না,তোমাকে জ্বালানোর জন্য মাকে বলে আজ তোমাকে রেখে দিয়েছি


শিশিরঃ- তবে রে,দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা


মর্জিনাঃ- তা দেখাও


শিশিরঃ- পরে দেখাবো


এরপর মর্জিনা চলে গেলে,আমি একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুয়ে আছি 


চলবে....


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 

Post a Comment

Previous Post Next Post