~পিচ্চি চাচাতো বোন যখন অভিমানি বউ~
পার্টঃ-০৩
★ ১ম ও ২য় পার্ট যারা মিস করেছেন তারা আমার ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে দেখবেন
-----রাফিঃ- তুই বলবি?--(রেগে)
-----নীলাঃ- ওকে বলছি. ও হলো আপনার জানে জিগার, আমার চাচাতো বোন ঝুমুর।
-----রাফিঃ-What???
-----নীলাঃ- yeap bro. আশা করো নি বুঝি। ভাইয়া সত্যি তুমি ওকে চিনতে পারো নাই।
-----রাফিঃ- তোর কি মনে হয় আমি তোকে মিথ্যা কথা বলচি।
-----নীলাঃ- না একদমই না। আমার মাঝে মাঝে বিশ্বাস হয় না যে ওটা ঝুমু। কারন আগের কার ঝুমুর মধ্যে এখনকার ঝুমুর আকাস পাতাল তফাৎ।
ও এখন সারা কলেজ এর crush এমনকি আমাদের মামাতো ফুফাতো ভাই রাও ওর পিছনে পরে আছে। But আর্শ্চযের বিষয় এটা যে ও আজ পর্যন্ত কোনো ছেলেকেই পাত্তাই দেয় নাই। কথা বলা তো দুরের কথা।
-----রাফিঃ- কাউকে পাত্তা দিলে তো ওকে আমি মেরেই ফেলবো।
-----নীলাঃ- কি বললে ভাইয়া--(অবাগ হয়ে)
-----রাফিঃ--(কি না কি বলে ফেলেছি নিজেও জানি না)--কোই কি কিছু না তো।
----নীলাঃ- ওহহ,,আচ্ছা তাই বলো। ওকে আমি এখন যাই তুমি নিচে এসে নাস্তা করে নিও আম্মু তোমাকে ডাকতাছে।
-----রাফিঃ- ওকে তুই যা আমি আসতাছি।
-----নীলাঃ- আচ্ছা ভাইয়া।
-----রাফিঃ--নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি ও পিচ্চিটাকে নিয়ে এখনো খেলা করতাছে। ওই তাহলে আমার ঝুমুর? কত বড় হয়ে গেছে। ধুর কিসব ভাবছি আমি। ও আমার হতে যাবে কেন? কোন দুঃখে। আমি তো ওকে ঘৃনা করি। আর ও আমাকে। তাহলে কোন টানে ওর কথা বারবার মনে হয় আমার? এমনকি লন্ডন গিয়েও শান্তি পেলাম না। প্রতিটা মুহুর্তে বারবার ঝুমুর চেহারাটা ভেসে উঠতো। এসব কেন হচ্ছে? why??
3rd person:- ওদিকে ঝুমুর কি মনে করে জানি উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে রাফি ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
-----ঝুমুঃ- কি ব্যাপার। ওই লুচু ব্যাটা আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে আছে কেন?--(মনে মনে)
3rd person:- ঝুমুর উপরে তাকাতেই রাফির ঘোর ভেঙে যায় আর নিচে চলে আসে নাস্তা করতে। আস্তে আস্তে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠলো। আর একসাথে নাস্তা করে আড্ডা দিতে বসলো। ওদিকে ঝুমু ঝুমাকে কোলে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখে যে সবাই একসাথে বসে খুব হাসাহাসিতে মেতে গেছে ড্রয়িং রুমে। আর রিয়া জিনিয়া মিলি ওরা তো পুরাই রাফির গা ঘেসে বসে আহ্লাদী ভাবে গল্প করতাছে। এই দৃশ্য দেখে ঝুমুর মন খারাপ হয়ে গেলো ও ঝুমাকে নিচে নামিয়ে দিয়ে রুমে চলে যেতে নিলে ইশিতা ওকে ডাক দেয়।
-----ইশিতাঃ- এই যে মহারানি? কোথায় থাকেন আপনি? কালকে থেকে আপনার কোনো খোজ খবরই দেখচি না।
-----ঝুমুঃ- আমাক বলছো?
-----ইশিতাঃ- না তোর আত্মাকে বলছি গর্দভ।
-----মিলিঃ- এই ঝুমুর এখানে এসে বস না। আমাদের সাথে গল্প কর।
-----ঝুমুর আব্বুঃ- আমার ঝুমু আম্মু তুমি কই থাকো। আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি। আর তোমাকে কাল থেকে পাওয়াই যাচ্ছে না।
-----ঝুমুঃ- আসলে আব্বু কালকে আমার মাথা ব্যাথা করছিলো তো তাই নিচে আসি নাই--(মিথ্যা)
-----ঝুমুর আব্বুঃ- ওহহ আচ্ছা তাই বলো। তুমি হয়তো তোমার রাফি ভাইয়ার সাথে সে আসার পর কথা বলো নাই। যাও তার সাথে কথা বলো।
-----ঝুমুঃ- না মানে আব্বু হ্যা বলতাছি।--(রাফির দিকে তাকিয়ে) --আসসালামুআলাইকুম ভাইয়া কেমন আছো?
-----রাফিঃ- ওয়ালাইকুম আসসলাম। ভালো আছি তুমি কেমন আছো?
-----ঝুমুঃ-(( বাবা তুই থেকে তুমি এতোটা পরিবর্তন))-- হ্যা হ্যা ভাইয়া আমিও ভালো আছি।---( আর কিছু বললাম না। আব্বু উঠে চলে গেলো। একটু পরে জিনিয়া আপু রাফি ভাইয়াকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে আহ্লাদী সুরে বললো)
-----জিনিয়াঃ- ভাইয়া চলো না আজকে কোথাও বেড়াতে যাই।
-----রাফিঃ- ওকে আইডিয়াটা খারাপ দাও নাই। ওকে আমরা বিকেলে পার্কে যাবো। তৈরি থেকো।
-----জিনিয়াঃ-Thank you ভাইয়া।--( খুশিতো কিস করে)
---ঝুমুঃ- ( জিনিয়া আপৃ রাফিকে কিস করা দেখে আমার আর সহ্য হলো না দৌড়ে সেখান থেকে রুমে৷ চলে গেলাম)
-----রাফিঃ-welcome বনু।--( যা বাবা এর আবার কি হলো এভাবে দৌড়ে চলে গেলো কেন?)
3rd person:- এদিকে ঝুমু দৌড়ে রুমে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্লোরে বসে পরলো। চোখ থেকে ঝুমুর আজশ্র পানি পরতাছে
-----ঝুমুঃ- কেন আমি ওর সাথে অন্য কাউকে দেখতে পারি না। কেন আমার jealous feel হয়?? ওর সাথে কাউকে দেখলে আমার এতো কষ্ট হয় কেন?
----ওদিকে--
-----রাফিঃ- এ টুকুতেই হাপিয়ে গেলি ঝুমু? ইসসস so sad ৫ বছর আগে আমার সাথে যে behave টাই না তুই করেছিলি তার শোধ এখন থেকে আমি নিবো। ও গুলার শাস্তি তো তোকে পেতেই হবে। এইটুকুতেই যদি jealous feel করিস এমন। তাহলে বাকি দৃশ্য দেখে না জানি কি করে বসিস। দেখবি আর জলবি। আর লুচির মতো ফুলবি। হাহাহা--(মনে মনে)
3rd person:- পরেরদির বিকেল বেলা সব কাজিন রা পার্কে ঘুরতে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে ঝুমু নিশার সাথে chat করতে ব্যস্ত।
-----রাফিঃ- কিরে সবাই রেডি হয়েছিস তো? না কি আরো সময় লাগবে তোদের।
-----নীলাঃ- আমার হয়ে গেছে ভাইয়া।
-----মিলিঃ- আমারো হয়ে গেছে।
( তারপরে বাকি সবাই তৈরি হয়ে নিচে এসে দাড়ালো)
-----নীলাঃ- আমরা তৈরি ভাইয়া এবার চলো।
-----রাফিঃ- wait wait কে জানি missing মনে হচ্ছে।
-----ইশিতাঃ- কাকে আবার missing মনে হবে। আমরা তো এখানেই।
-----নীলাঃ- ভাইয়া তুমি ঠিক বলেছো। ঝুমু আমাদের মাঝ থেকে missing আছে।
-----রাফিঃ- ও কি যাবে না?
-----নীলাঃ- মাএ ৫ মিনিট সময় দাও আমি এখনি জেনে আসতাছি।
-----রাফিঃ- হুমম তাড়াতাড়ি যা।
( নীলা দৌড়ে ঝুমুর রুমে চলে গেলো। গিয়ে দেখে ঝুমু কানে হেডফোন লাগিয়ে ফোন টিপচ্ছে)
-----নীলাঃ- ঝুমুর, ঝুমুর।
-----ঝুমুঃ--নিশ্চুপ--
-----নীলাঃ- ওই ঝুমুর--(ধাক্কা দিয়ে)
-----ঝুমুঃ- উফফ distarb, কি হয়েছে?
-----নীলাঃ- তুই বয়রা না কি কতক্ষণ যাবোৎ তোকে ডাকতাছি।
-----ঝুমুঃ- দেখছিস না গান শুনছি আর ফোন গুতাচ্ছি। তাহলে তোর কথা কি করে শুনবো বল। আচ্ছা বল কি জন্য এসেছিস।
-----নীলাঃ- Only 5 minte সময় দিলাম তৈরি হয়ে নে। নিচে তোর জন্য সবাই অপেক্ষা করতাছে।
-----ঝুমুঃ- কেন রে কোথায় যাবো?
-----নীলাঃ- আমরা ভাইয়াকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছি। প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে না বনু।
-----ঝুমুঃ- আমি যাবো না রে। তোরা যা
আমার ভালো লাগছে না।
-----নীলাঃ- তুই না গেলে কসম আমিও যাবো না।
-----ঝুমুঃ- মহা মুশকিল তো। ওকে ওকে ফুলতে হবে না। আমি রেডি হচ্ছি।
-----নীলাঃ- লক্ষি বোন আমার একটু তাড়াতাড়ি কর।
3rd person:- নীলা চলে যাবার পর ঝুমু রেডি হতে লাগলো। ঝুমুর একটা কামিজ পরে নিলো তার উপরে বেশি ঘের এর একটা কালো বোরকা পরে নিলো। আর তার সাথে ইরানি স্টাইলে কালো হিজাব পরে নিলো। ঠোটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক। আর হাতে একটা কালো পার্স। ৫ মিনিটও লাগে নাই ঝুমুর এর রেডি হতে। তবুও আয়নায় একবার নিজকে দেখে নিলো।
-----রাফিঃ- আর কতকাল লাগবে রেডি হতে?
-----নীলাঃ- ওই তো এসে গেছে।
-----রাফিঃ---( উপরে তাকাতেই আমার Heart bit miss হতে লাগলো। এই মেয়েটা মনে হয় আমাকে পাগল করেই ছেড়ে দিবে। ওর চোখ গুলা দেখে ওর মায়ায় আরো জরিয়ে যাচ্ছি। ফর্সা দেহে কালো বোরকা কালো হিজাবে যেন ওর সৌন্দর্য হাজার গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। মনে হচ্ছে একটা কিউট ইরানি ব্যাবি ডল আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি কখনো কোনো মেয়েকে দেখে ক্রাস খাই নাই। কিন্তু ওকে দেখে একদম ফিদা হয়ে গিয়েছি। নাহহ নাহহ আমাকে আরো strange হতে হবে। তোমার রুপ দেখে আমি তোমার প্রতি দুর্বল হচ্ছি না ঝুমুরানি।
-----রাফির আম্মুঃ- তোরা এখনই যাস নাই?
-----রাফিঃ- এই তো আম্মু এখনি বের হচ্ছি।
-----রাফির আম্মুঃ- আচ্ছা তাড়াতাড়ি বাসায় আসি বাবা।
-----রাফিঃ- ওকে আম্মু তুমি চিন্তা করো না।---এই চলো তোমরা।
----ঝুমুঃ- দুইটি কারে করে যাবো। একটি drive করবে রাফি আর একটা আঙ্কেল ড্রাইভ করে যাবে। আমি কিছু না ভেবে প্রথম কারে উঠতে যাবো তখনই রাফি আমাকে থামিয়ে দিয়ে
-----রাফিঃ- এখানে মিলি বসবে। তুই গিয়ে পিছনের গাড়িতে বস।
-----ঝুমুঃ--( অপমানিত বোধ করলাম। চোখে পানি টলমল করছে। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে পিছনের কারে গিয়ে বসলাম।)
-3rd person:- ১ম কারে রাফি মিলি ইশিতা রিয়া বসলো। আর ২ য় কারে ঝুমুর নীলা জিনিয়া বসলো। গাড়ি চলতে শুরু করলো। আধাঘন্টা পরে সবাই মিলে একটা পার্কে এসে পৌছালো পার্কিং লটে গিয়ে গাড়ি সাইট করে পার্কে ডোকার জন্য টিকিট কেনার পরে সবাই আস্তে আস্তে করে পার্কের ভিতরে ডুকে পরলো। সবাই যে যার মতো enjoy করতাছে। ঝুমুর বাদে সবাই বিভিন্ন ধরনের পোজ দিয়ে সেলফি তুলতাছে। সাথে রাফিও ব্যস্ত ওদের সাথে। আর ঝুমুর ওদের থেকে কিছুটা দুরে দাড়িয়ে আছে। শুধুমাএ নীলার কথায় ঝুমুর এখানে এসেছে। নাইলে ওর আসার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না। নীলা এসে ঝুমুর এর সাথে কিছু সেলফি তুললো। বাকিরা সবাই নিজেদেরকে নিয়ে busy. আর রিয়া আর জিনিয়া একটু বেশিই রাফির সাথে ঘা ঘেসে আহ্লাদী হওয়ার চেষ্টা করছে। রাফিও ওদের সাথে হাসাহাসি করছে। ঝুমুর এর এসব মোটেও ভালো লাগছে না। তাই সে অারেকদিকে আনমনে হাটতে লাগলো। আশেপাশের অনেক ছেলেরা ঝুমুর এর দিকে তাকিয়ে আছে। যেটা রাফির চোখ এড়ায় নাই।
-----রাফিঃ- সব ছেলেরা ওর দিকে তাকিয়ে আছে কেমন করে। কেন যে আল্লাহ ওর মাঝে এতো কিউটনেস দিলেন। আচ্ছা ওর দিকে কে তাকালো না তাকালো তাতে আমার কি যায় আসে। আজব তো আমার এতো জ্বলে কেন? কিন্তু আর যাই হোক না কেন ওকে কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দিবো না।--(মনে মনে)
রাফি ঝুমুর এর কাছে চলে গেলো।
-----রাফিঃ- ওই ঝুমুর।
-----ঝুমুঃ- হঠাৎ করে কেউ আমার নাম ধরে ডাকায় পিছনে ফিরে দেখি রাফি)--কিছু বলবে?
-----রাফিঃ- তুই এখানে কি করিস? একা।
-----ঝুমুঃ- আসলে ওদিকেটায় আমার ভালো লাগছিলো না তাই এখানে এসে হাটতাছি।
-----রাফিঃ- ওহহ ওকে,কিন্তু একটা কথা,, অচেনা কারো সাথে i mean কোনো ছেলের সাথে যেন তোকে কথা বলতে দেখি না mind it.
-----ঝুমুঃ- তুমি হয়তো জানো না আমি কোনো ছেলের সাথে কথা বলি না। কিন্তু হঠাৎ করে এই কথা কেন?
-----রাফিঃ- আমি এসব দেখতে পারি না। তাই আগে ভাগে সতর্ক করে দিলাম।
-----ঝুমুঃ- ওহহ ওকে।
3rd person:- তারপরে রাফি সেখান থেকে বাকি সবার কাছে চলে গেলো। সবাই অনেক enjoy করছে। শুধু মাএ ঝুমু বাদে। ঝুমু এমনিতেই শান্ত শিষ্ট একটা মেয়ে। রাফি গাড়ির ড্রাইভারদের বাসায় পাঠাই দিলো কারন যাওয়ার সময় সবাই রিকশা করে যাবে। তাই।
🌺চলবে🌺
Post a Comment