গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন...
পর্বঃ- ৫
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,ঈদের কাজের জন্য এতোদিন গল্প দিতে পারি নি,সরি।
বাড়ির যাওয়ার পর...
মাঃ- তুই এসেছিস
শিশিরঃ- হুম
মাঃ- খেতে আয়
শিশিরঃ- আমি খেয়ে এসেছি
ভাবিঃ- আমাদের গ্রাম কেমন লেগেছে তোর
শিশিরঃ- খুব ভালো
ভাবিঃ- কোথাও কোনো সমস্যা হয় নি তো
শিশিরঃ- না, সবাই আমার অনেক যত্ন নিয়েছে
এরপর রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম, পর সকালে ঘুম থেকে উঠে, নাস্তা করে কলেজ গেলাম
রিয়াদঃ- কেমন আছিস দোস্ত
শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো,তুই
রিয়াদঃ- আমিও ভালো
রাকিবঃ- তুই কখন এলি (পিছন থেকে)
শিশিরঃ- তোর সাথে কোনো কথা নাই
রাকিবঃ- রাখ করিস না ভাই,বলছি তো প্রচুর কাজ ছিলো
রিয়াদঃ- ওকে এবারের মতো মাপ করে দে
শিশিরঃ- ওকে,চল ক্লাসে
ক্লাসে গেলাম,অনেক দিন পর ক্লাস খুব ভালো লাগলো দুপুরে বাহিরে হাঁটাহাঁটি করতেছি এমন সময় একটি মেয়ে এসে বললো
মেয়েঃ- Hi
শিশিরঃ- Hello
মেয়েঃ- কেমন আছেন
শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো,আপনি?
মেয়েঃ- আমিও ভালো
শিশিরঃ- ওকে,বাই
মেয়েঃ- আরে আরে,যাচ্ছেন কোথান
শিশিরঃ- কোথাও না,এমনি হাঁটতেছি
মেয়েঃ- আপনার নাম কী?
শিশিরঃ- শিশির, আপনার?
মেয়েঃ- তিশা
শিশিরঃ- ওহ,ভালো
তিশাঃ- আচ্ছা আমরা কী বন্ধু হতে পারি?
শিশিরঃ- শুধু বন্ধু, ওকে (একটু ভাবে)
তিশাঃ- হুম (মাথা নেড়ে)
শিশিরঃ- ওকে,এখন আসি
তিশাঃ- কই যাবেন
শিশিরঃ- ক্লাসে
★★[ এই গল্পের লেখক Md Monir Uddin Shisir কিছু লোক এই গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়, তাদের এড়িয়ে চলুন]★★
তিশাঃ- চলেন না, আমরা ঐদিকে গিয়ে বসি
শিশিরঃ- আজ না,অন্যদিন
তিশাঃ- প্লিজ চলেন না,একটু বসি
শিশিরঃ- ওকে চলেন
আমরা গিয়ে কলেজের মাঠের এক কোনে গাছের নিচে বসলাম
তিশাঃ- আপনার বাড়িতে কে কে আছে?
শিশিরঃ- বাবা-মা,ভাইয়া-ভাবি
তিশাঃ- আপনি কী সবার ছোট
শিশিরঃ- হুম
তিশাঃ- ওহ,আচ্ছা আমরা তো বন্ধু, তুমি করে বলি
শিশিরঃ- ওকে,সমস্যা নেই
তিশাঃ- তোমার ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেছে, তার মানে এখন তোমার পালা
শিশিরঃ- তাই তো মনে হয় (একটু লজ্জা ভাব)
তিশাঃ- তাহলে তো আমার লাইন ক্লিয়ার (ছোট করে)
শিশিরঃ- কিছু বললে
তিশাঃ- না কিছু না
শিশিরঃ- ও
তিশাঃ- আচ্ছা তুমি কাউকে পছন্দ করো
শিশিরঃ- হ্যা
তিশাঃ- কাকে
শিশিরঃ- আমার মা ও ভাবিকে
তিশাঃ- আরে, আমি ঐটা বলছি, আই মিং লাভ
শিশিরঃ- না,সে রকম কেউ নেই
তিশাঃ- কী বলছো 😱😱 (অবাক হয়ে) তোমার মতো হ্যান্ডসাম ছেলের গালফ্রেন্ড নেই,আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না
শিশিরঃ- না হলে আমার কিছু করার নেই
তিশাঃ- তাই
শিশিরঃ- হুম তাই,চলেন এবার উঠি,বাসায় যেতে হবে
তিশাঃ- ওকে,তোমার নম্বরটা..(মাথায় হাত দিয়ে)
শিশিরঃ- 018××××××××
তিশাঃ- thank you
শিশিরঃ- Welcome
বাসা চলে গেলাম, এমন সময় ভাবি কার সাথে যেন ফোনে কথা বলতেছে
ভাবিঃ- তুই এসেছিস, যা ফ্রেশ হয়ে বস,আমি একটু কথা বলে এসে নাস্তা দিচ্ছি
শিশিরঃ- ওকে
আমি ফ্রেশ হতে গেলাম, আর ভাবি কথা বলতেছে
নিলাঃ- দিদি, শিশিরকে ভালোবেসে ফেলছি
ভাবিঃ- আমি আগেই বুঝেছি, তোর ঢং দেখে
নিলাঃ- দিদি,তুই যে ভাবেই হোক শিশিরকে রাজি করবি
ভাবিঃ- আমি পারবো না
নিলাঃ- কেন,সে তোর সব কথা রাখে,তাই তুই বললে সে শুনবে
ভাবিঃ- দেখ বনু,আমি জানি সে আমার কথা রাখবে,কিন্তু আমি তো তার নিজের জীবনের উপর হাত দিতে পারি না,সে যদি অন্য কাউকে পছন্দ করে
নিলাঃ- দিদি,আমি শিশিরকে ছাড়া বাঁচবো না,তুই যে ভাবেই হোক, শিশির রাজি করবি (কান্না কান্না ভাব)
ভাবিঃ- আচ্ছা তুই কাদিস না,শিশির তোকে ভালোবাসে কিনা বলতে পারবো না,তবে বিয়ে করার সময়, তোকে করতে হবে
নিলাঃ- আমার লক্ষী দিদি,এখন ভালোবাসতে হবে না,বিয়ের পর হলেও চলবে
ভাবিঃ- আচ্ছা এখন রাখি,শিশিরকে নাস্তা দিতে হবে
নিলাঃ- যা,তবে ভালো করে দিবি,ওর যেন কোনো সমস্যা না হয়
ভাবিঃ- আহা!!! বোন আমার এখনই মরে যাচ্ছে,ভালোবাসার মানুষের জন্য
নিলাঃ- বাই
এরপর ভাবি আমাকে নাস্তা দিতে এলো...
চলবে...
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment