গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন...
পর্বঃ- ৬
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
ভাবি আমাকে নাস্তা দিলো,আমি নাস্তা করতেছি, আর ভাবির আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতেছে,আমি দেখে তো অবাক, হঠাৎ ভাবির কী হলো,হাসতেছে কেন,নাকি আমি কোনো ভুল করে বসে আছি,কিন্তু না কিছুই তো হয় নি,তাহলে ভাবি কী পাগল হয়ে গেছে নাকি
অনেকক্ষণ ধরে হাসতেছে,তাই জিজ্ঞেস করলাম
শিশিরঃ- ভাবি,কী হয়েছে হাসতেছো কেন
ভাবিঃ- আমি হাসলে তোর সমস্যা কী,তোর জন্য কী হাসতেও পারবো না
শিশিরঃ- আমি তো তা বলি নি,কিন্তু হাসার তো একটা কারণ থাকতে হবে
ভাবিঃ- কারণ আছে,এজন্যই তো হাসতেছি
শিশিরঃ- তা কী কারণ,আমি কী জানতে পারি
ভাবিঃ- তোর জানতে হবে না,তুই খাওয়া শেষ করে,এখান থেকে যা
শিশিরঃ- ওকে যাচ্ছি যাচ্ছি
আমি আমার রুমে গেলাম,ভাবিও আমার পিছনে পিছনে আসতেছে,ব্যাপার কী কিছুই তো বুঝি না,(আসলে ভাবি আমাকে ফলো করতেছে,কারণ আমার কোনো মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে কিনা তা জানার জন্য)
আমি ফোনটা রেখে ওয়াস রুমে গেলাম,তখনই তিশা ফোন দিলো,ভাবি ফোনটা রিসিভ করলো
তিশাঃ- হাই,কেমন আছো তুমি?
ভাবিঃ- কে তুই?
তিশাঃ- আপনি কে?শিশির কোথায়
ভাবিঃ- শিশিরকে কী দরকার? তুই কে
তিশাঃ- আগে বলেন আপনি কে?শিশিরের ফোন আপনার কাছে কেন
ভাবিঃ- আমি শিশিরের বউ
তিশাঃ- কী!! (অবাক হয়ে) শিশির বিয়ে করেছে
ভাবিঃ- হুম করেছে,এবার বল তুই কে
তিশাঃ- আমি তিশা শিশিরের বন্ধু
ভাবিঃ- শিশিরের কোনো মেয়ে বন্ধুর দরকার নেই,আর কোনোদিন শিশিরকে ফোন দিবি না,কথাটা মনে রাখিস
ভাবি ফোনটা কেটে দিলো,আমি বাহিরে আসতেই ভাবি রাগি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
শিশিরঃ- তোমার আবার কী হলো
ভাবিঃ- তিশা নামে মেয়েটা কে?
শিশিরঃ- ওহ,আমার বন্ধু
ভাবিঃ- আর কোনোদিন মেয়েটার সাথে কথা বলবি না
শিশিরঃ- কিন্তু কেন
ভাবিঃ- তোর সাহস তো কম না,তুই আমাকে প্রশ্ন করিস,দাড়া আমি মাকে বলতেছি
শিশিরঃ- না না,মাকে বলার দরকার নাই
ভাবিঃ- মনে থাকে যেন,আজ থেকে কোনো মেয়ের সাথে তোর কথা বলা নিষেধ
শিশিরঃ- কিন্তু কে তা তো বলো
ভাবিঃ- ঐ মেয়েদের সাথে কথা বলতে বেশি ভালো লাগে তাই না,কী মনে করিস বেশি বড় হয়ে গেছিস তাই না,মেয়েদের সাথে কিসের কথা (রেগে)
শিশিরঃ- আচ্ছা বাবা আচ্ছা, কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবো না,এবার খুশি তো
ভাবিঃ- আমার লক্ষী ভাই (মাথায় হাত বুলিয়ে) আগে ভালো ভাবে লেখাপড়াটা শেষ কর,তারপর তোর জন্য একটা পরীর মতো বউ নিয়ে আসবো
শিশিরঃ- আচ্ছা ভাবি,তুমি আমার জন্য এতো চিন্তা করো কেন বলো তো
ভাবিঃ- তুই তো বলে ছিলি,আমি তোর বড় বোন,ভাবি নয়
শিশিরঃ- হুম বলেছি তো,তুমি আমার ভাবি নও,আমার বড় বোন,আমার মায়ের মতো,আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডও
ভাবিঃ- এজন্যই তো তোর জন্য চিন্তা করি
শিশিরঃ- আচ্ছা ভাবি, আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি,ফিরতে রাত হবে
ভাবিঃ- ওকে,তবে তাড়াতাড়ি আসবি,তুই বাহিরে থাকলে আমার খুব ভয় হয়,যদি কিছু হয়ে যায়,তাহলে মা মেরে যাবে,আর তোর ভাইয়া সাথে আমিও
শিশিরঃ- ভাবি,তুমি চিন্তা করো না,আমার কিছু হবে না
★★[ এই গল্পের লেখক Md Monir Uddin Shisir কিছু লোক এই গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়, তাদের এড়িয়ে চলুন]★★
আমি বাহিরে যাচ্ছি, এমন সময় ভাইয়া অফিস থেকে ফিরেছে
ভাইয়াঃ- কোথায় যাচ্ছিস
শিশিরঃ- একটু বাহিরে (ভয়ে ভয়ে)
ভাইয়াঃ- বাহিরে যেতে হবে না,গিয়ে পড়তে বস
ভাবিঃ- তুমি সব সময় ওকে এমন করো কেন বলো তো,তুই যা ভাই
ভাইয়াঃ- তুমি আর মা,এই দুজনেই ওকে মাথায় তুলে রেখেছো
ভাবিঃ- রাখবো না,আমার একটা মাত্র ভাই
ভাইয়া আর ভাবি আমার জন্য ঝগড়া করতেছে,সেই সুযোগে আমি পালিয়ে গেলাম বন্ধুূদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য
রিয়াদঃ- শালা,এতো দেরি করলি কেন
শিশিরঃ- আর বলিস না,আসার পথে ভাইয়া এসে পড়েছিলো
রাকিবঃ- তো আসলি কী ভাবে
শিশিরঃ- আমার ভাবি আছে তো,সব সামলে নিছে
রিয়াদঃ- তোর ভাগ্য অনেক ভালো,এরকম একটা ভাবি পেয়েছিস
শিশিরঃ- হুম
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো, হাতে নিয়ে দেখি অপরিচিত নম্বর
শিশিরঃ- কে?
নিলাঃ- আমি নিলা,কেমনে আছো
শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো,রাখতেছি
নিলাঃ- কেন কী হয়েছে?
শিশিরঃ- ভাবির আদেশ কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা যাবে না,বললে আমাকে পিটাবে
নিলাঃ- ভাবিকে এতো ভয় পাওয়া কী আছে
শিশিরঃ- এই শুনো,ওনাকে যদি আমি শুধু ভাবি মনে করতাম তাহলে ভয় পেতাম না,কিন্তু ওনি আমার বড় বোন এজন্য ভয় পায়
এরপর ফোনটা কেটে দিলাম,আমার কথা শুনে নিলা রেগে ভাবিকে ফোন দিয়েছে
নিলাঃ- আপু তোর কী হয়েছে
ভাবিঃ- কেন,আমার আবার কী হবে
নিলাঃ- তুই শিশিরকে আমার সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছিস কেন
ভাবিঃ- কই না তো,আমি তো বলেছি কোনো মেয়ের সাথে যেন কথা না বলে
নিলাঃ- হু,এজন্যই আমি ফোন দেওয়াতে আমার সাথে কথা বলে নি
ভাবিঃ- আচ্ছা আমি বলে দিবো,তোর সাথে কথা বলতে
নিলাঃ- তোর সাথে আমার কোনো কথা নাই (কান্না কান্না ভাব)
ভাবিঃ- আরে পাগলী একটা,তুই চিন্তা করিস না,শিশির বাসায় আসলে আমি তোর সাথে কথা বলতে বলবো
এদিকে আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরে,বাসায় যাওয়ার পর ভাবি বললো...
চবলে...
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment