গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র আপু যখন হবু বউ
লেখক: শাহাদাৎ নুসু
পর্ব ০৪
যেইনা আমি মিলিকে বলছি যে রুপা আপু হচ্ছে আমার চাচাতো বোন অমনি রুপা আপু রাগে সাপের মতো ফসফস করতে লাগলো তবে আমাকে তেমন কিছু বলল না ।
আমি মিলির উদ্দেশ্য করে বললাম,, ফুচকা খাবি? ফুচকা দিতে বলব মামাকে ।
না এখন আর কিছু খাব না তুই কালকে কলেজে এসে আমার সাথে দেখা করিস তোর সাথে কিছু কথা আছে ।
ঠিক আছে ।
এই বলে মিলি সেখান থেকে চলে গেল এবং আমি আর রুপা- আপু বেশ অনেক সময় ঘোরাঘুরি করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম । ঘোরাঘুরি করার সময় রুপা আপু আমার সাথে তেমন কথা বলেননি কেন কথা বলেননি তা আমি বুঝতে পারলাম না অবশেষে বাড়ির ফেরার সময় দুইজনেই রিক্সা পাশাপাশি বসে ছিলাম হঠাৎ করে রুপা আপু আমার উদ্দেশ্য করে বললেন
মিলির সাথে কি তোর কিছু চলতেছে ।
আমি অবাক হয়ে রুপা আপুকে বললাম কি বলতেছ তুমি তোমার মাথা ঠিক আছে মিলির সাথে আমার কি থাকবে আমার ভালো একটা ফ্রেন্ড এইটুকুই ।
আমার তো তা মনে হচ্ছে না আমার তো মনে হইতেছে মিলির সাথে তোর কিছু একটা আছে ।
বিশ্বাস কর মিলির সাথে আমার তেমন কিছুই নাই ও আমার জাস্ট ভালো একজন বন্ধু এইটুকুই ।
যাইহোক মিলির কাছ থেকে তুই যত টুকু সম্ভব দূরে থাকবি ওর হাবভাব আমার কেমন জানি লাগে ।
মিলি আমার একটা ভালো বন্ধু কলেজে গেলে ওর সাথে দেখা হবে তখন যদি কথা না বলি বা কলেজে গিয়েও ওর সাথে দেখা না করি তাহলে বিষয়টা কেমন খারাপ দেখায় না ।
বিষয়টা যেমন দেখাক না কেন তুই ওর সাথে তেমন মিসবি না মিলির থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবি বুঝছিস আমি কি বললাম ।
ঠিক আছে বুঝছি তবে তুমি এই বিষয়টা নিয়ে এত মাথা ঘামাইতেছ কেন আমি বুঝলাম না ।
আমার কষ্ট তুই কখনো বুঝবি না তুই একবার জানার চেষ্টা করবি না কেন আমি এগুলা করতেছি ।
কে বলছে আমি তোমার কষ্ট বুঝিনা এটা কি তুমি ঠিক বললা আমি আমার মা বাবার পর সব চাইতে যদি কাউকে আপন ভেবে থাকি সেটা হচ্ছো তুমি ।
তা আমি জানি ।
তাহলে বললা কেন যে আমি তোমার কষ্ট বুঝিনা ।
ঠিক আছে আমার ভুল হইছে আর বলবো না তুই আমার সব কষ্ট বুঝিস এবার হইছে ।
মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে উচ্চস্বরে কথাটি বলে উঠলেন রুপা আপু,, তার সাথে এভাবেই গল্প করতে করতে বাসার সামনে চলে আসলাম ।
বাসার সামনে এসে রিক্সাওয়ালা মামাকে ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে সরাসরি আমার রুমে চলে আসলাম ,,, রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু ফেসবুক চালাতে লাগলাম ।
বেশ অনেক সময় ফেসবুক চালানোর পর আম্মু রাতের খাবারের জন্য ডাকতেছিল তাই মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে নিচে চলে গেলাম,,, রুপা আপু আমি বাবা-মা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার রুমে চলে আসলাম এবং শুয়ে পড়লাম ।
সকালবেলা কারো নিঃশ্বাসের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল । ঘুম ঘুম চোখে চোখ মিলতেই দেখতে পেলাম রুপা আপু আমার পাশে শুয়ে আছে .. আমি রুপা আপুকে দেখা মাত্রই লাফ মেরে ঘুম থেকে উঠে গেলাম । ওঠার সাথে সাথে রুপা আপু আমার মুখ চেপে ধরলেন এবং বলতে লাগলেন
কিরে এইভাবে চিল্লাচিল্লি করতেছিস কেন ।
আমি রুপা আপুকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললাম আগে আমার মুখ ছাড়ো তারপর বলতেছি, রুপা আপু আমার মুখ ছেড়ে দিলেন এবং আমি বললাম
এত সকাল সকাল তুমি আমার রুমে কি কর আর কখন আসছো । যদি কেউ দেখে ফেলে বলোতো তাহলে কি হবে ।
ছোট আম্মু কিচেনের রান্না করতেছে আর ছোট আব্বু শুয়ে আছে তাহলে কে জানবে যে আমি এখানে আছি ।
তারপরও যদি দেখে ফেলে তাহলে কি হতো বুঝতে পারতেছো ।
কথাটি সোনা মাত্র রুপা আপু ভাব নিয়ে বলতে লাগলেন কি আর হবে আমি আমার বর রুমে এসেছি এতে কার কি ।
যত সহজে কথাগুলো বলে ফেলা যায় আসলে বিষয়টা এতটা সহজ না ।
বিষয়টা খুবই সহজ তুই শুধু শুধু জটিল করতেছিস একবার সহজ ভাবে ভাব দেখবি আসলেই সহজ ।
ঠিক আছে সহজ ভাবে পরে ভাববো এখন যাও আমি ফ্রেশ হব ।
এত কষ্ট করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তোর রুমে আসছি, চলে যাওয়ার জন্য নাকি ।
তাহলে কেন আসছো শুনি ।
কেন আবার আসবো তোকে আদর করতে আসছি ।
কথাটি সোনা মাত্রই আমার কি রকম যেন লজ্জা লজ্জা লাগতেছিল আমি লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে রুপা আপুকে বললাম ।
তুমি কি সব বলো না যেন লজ্জা শরমের বালাই নাই ।
বউ তার বর কে আদর করবে এখানে লজ্জার কি আছে এখন আমাকে আদর করো তারপর যাব।
আমি পারবো না ।
রুপা বেশ বিরক্তি ভরা মুখ নিয়ে বলতে লাগলেন ঠিক আছে আমার হক কিভাবে আদায় করতে হয় তা আমি ভালো করে জানি ।
কথা টি বলার সাথে সাথে রুপা আপু আমার উপর ঝাপিয়ে পরল এবং আমার ঠোঁট দুটো তার নিজের দখলে নিয়ে নিল। আমার সারা শরীর যেন শিহরণ বয়ে গেল । এক অন্যরকম অনুভূতি ফিল করতে লাগলাম । আমিও নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে রুপা আপু র সাথে তাকে শায় দিতে লাগলাম ।
প্রায় তিন মিনিট এভাবে থাকার পর হঠাৎ করে আমার ঠোঁট দুটো মুক্ত করে দিলেন , লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে দৌড়ে আমার রুম থেকে বের হয়ে গেল আমিও বসা থেকে আবার শুয়ে পড়লাম এবং ভাবতে লাগলাম এতক্ষণ আমার সাথে কি হয়ে গেল ।
চলবে
Post a Comment