গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র আপু যখন হবু বউ
লেখক: শাহাদাৎ নুসু
পর্ব ০৫
সকালের নাস্তা শেষ করে মোবাইল নিয়ে বসে পড়লাম এবং কিছুক্ষণ ফেসবুক চালানোর পর রেডি হয়ে কলেজ দিকে রওনা দিলাম । কলেজে পৌঁছানোর পর বন্ধুরা সবাইকে দেখতে পেলাম ক্যাম্পাসে বসে বসে আড্ডা দিতেছে তো আমিও সরাসরি কোন দিকে না তাকিয়ে বাইক রেখে বন্ধুদের সামনে চলে আসলাম এবং সবার সাথে কুশল বিনিময় করে বসলাম হঠাৎ রিশাদ বলে উঠলো
কিরে এত লেট করে আসলি কেন
আমি বেশ অবাক হয়ে বললাম কই লেট করে আসলাম তোরা বুঝি আমার অনেক আগে চলে আসছিস ।
আগেই তো আসছি তুই তো মাত্র আসলি জানবি কিভাবে আমরা কখন আসছি ।
অপর পাশ থেকে জয় বলে উঠল কিরে তোরা আসার সাথে সাথে ই ঝগড়া শুরু করে দিয়েছিস ।
জয়ের কথা শোনার সাথে সাথে রিসাদ বলে উঠলো ঝগড়া কখন করলাম ওরে শুধু জিজ্ঞেস করতেছিলাম ও এত লেট করে কেন আসলো এটুকুই এখানে ঝগড়া করার কি আছে ।
সে যাই হোক শাহাদাত তোকে মিলি কি কারনে যেন খুজতে ছিল ।
আমি বেশ অবাক হয়ে বললাম কে বলল তোকে মিলি আমাকে খুজতেছে পকেট থেকে ফোনটা বের করে ফোন হতে নিয়ে দেখলাম কোন কল অথবা মেসেজ আসছে কিনা কিন্তু কোনো এসএমএস বা ফোন আসে নাই । মিলি আমাকে খুঁজলে অবশ্যই ফোন দিত অথবা মেসেজ দিত ।
তা আমি কিভাবে বলবো ফোন কেন দেয় নাই,, আমাকে এসে জিজ্ঞেস করল তুই কলেজে আসছিস কিনা তাই আমি তোকে বললাম ।
ঠিক আছে, তোরা এখানেই থাক আমি একটু মিলির সাথে দেখা করে আসতেছি ।
আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে মিলি আমাকে কালকে বলেছিল যে কলেজে এসে দেখা করতে তো বেশি কিছু না ভেবে পকেট থেকে ফোনটা বের করে মিলির নাম্বারে কল দিলাম এবং কলটি কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর কল রিসিভ হওয়ার সাথে সাথে আমি মিলিকে কিছু বলতে না দিয়ে বলতে লাগলাম
কিরে তুই নাকি আমাকে খুজতে ছিলি ।
কই না তো আমি আবার তোকে কখন খুঁজতে গেলাম ।
আমি বেশ অবাক হয়ে বললাম এই মাত্রই তো জয় আমাকে বলল যে তুই নাকি আমার কথা জয় কে জিজ্ঞেস করেছিস যে আমি কলেজে আসছি কিনা ।
আমার কথাটি শোনার পর মিলি স্বাভাবিক কণ্ঠে বলে উঠলো, তা জিজ্ঞেস করেছিলাম ক্যাম্পাসের সবাই ছিল তোকে দেখতে ছিলাম না তাই আর কি ।
ও আচ্ছা ।
তুই এখন কোথায় আছিস ।
এইতো ক্যাম্পাসে আছি ।
ঠিক আছে তুই আমাদের কলেজের পাশে বটগাছের এখানে আয়, আমি এখানে আছি ।
কথাটি বলার সাথে সাথে মিলি ফোনটা কেটে দিলো আমিও বেশি কথা না ভেবে সরাসরি বট গাছের দিকে পা বাড়ালাম । বট গাছের নিচে যাওয়ার পর দেখতে পেলাম মিলি সেখানে বসে আছে ,, আমি যাওয়ার সাথে সাথে মিলিকে জিজ্ঞেস করলাম কিরে কি অবস্থা কেমন আছিস ।
মিলি খুব হাসিমুখ নিয়ে উত্তর দিল আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি তুই কেমন আছিস ।
আমিও হাসিমুখে উত্তর দিলাম আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি ।
মিলি কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ ভয় মাখা মুখ নিয়ে বলে উঠলো, দেখ শাহাদাত তোকে আমি কিছু কথা বলবো, কথাগুলা তুই কিভাবে নিবি আমি জানিনা বাট কথাগুলো আমি মন থেকে বলতেছি এবং খুব ভেবেচিন্তে বলতেছি ।
আমি বেশ স্বাভাবিক কণ্ঠে বলে উঠলাম আমার সাথে কথা বলবে তোর এত ভাবা ভাবি কি আছে বলে ফেল না ।
মিলি আমতাআমতা করে বলতে লাগলো দেখ সাহাদাত তুই তো খুব ভালো করেই জানিস যে আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পারি না এবং খুব সোজা সাপটা কথা বলতে পছন্দ করি । আমি বেশ অনেকদিন যাবত লক্ষ করতেছি যে তোকে আমার খুব ভালো লাগে তোর সাথে কথা বলতে ভালো লাগে তোর সাথে একসাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে যেটা আমার অন্য সব ফ্রেন্ডের সাথে ভালো লাগেনা ।
আমি বেশ স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠলাম আমারও তো তোর সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে তাই তো তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ও আমরা সেই ক্লাস সিক্স থেকে একই সাথে পড়াশোনা করতেছি হাই স্কুল পার করলাম এখন কলেজে পড়তেছি কলেজ শেষ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হব । একসাথে ই আছি এবং সামনেও থাকবো যতদিন সম্ভব হয় ।
আমি এই ভালো লাগার কথা বলি নাই ।
তাহলে কোন ভালো লাগার কথা বলছোস ।
আমি তোকে ভালোবাসি এবং আমার বাকিটা জীবন তোর সাথেই কাটাতে চাই। এতদিন যেভাবে আমি ফ্রেন্ড হিসাবে তোর কাছে ছিলাম বাকিটা জীবন তোর লাইফ পার্টনার হিসেবে তোর পাশে থাকতে চাই ।
মিলির কথাগুলো শোনার সাথে সাথে আমার পার নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেল কি বলছে ও এগুলা তাছাড়া মিলিকে আমি সব সময় ফ্রেন্ড হিসেবে দেখি ও আমার খুব ভালো একজন ফ্রেন্ড জাস্ট এটুকুই কিন্তু এখন যদি আমি ওকে মুখের উপর না করে দেই তাহলে ও খুব কষ্ট পাবে তাই ওকে কোনরকম বুঝিয়ে সুজিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম এবং বললাম
দেখ মিলি তুই যে কথাগুলো বলতেছিস এগুলো কখনো সম্ভব না কারণ তোকে আমি কখনো এভাবে দেখি নাই বা তোকে নিয়ে কখনো আমি চিন্তাই করিনি । তোকে আমি খুব ভালো একজন বন্ধু হিসেবে দেখি,, তো এগুলো আমাদের দুজনের মধ্যে কখনোই সম্ভব না ।
কথাগুলো শোনার পরে মিলি খুব কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে উঠলো কেন সম্ভব না? আর তাছাড়া তুই তো কারো সাথে রিলেশন করিস না তাহলে সমস্যাটা কোথায় ।
রুপা আপুর কথা মিলিকে বলবো কিনা তাই ভাবতেছিলাম হঠাৎ আবার চিন্তা করলাম এখন যদি রুপা আপুর কথা মিলিকে বলি বা তার সাথে আমার ফ্যামিলি চাইতেছে যে আমাদের বিয়ে দিতে এ কথা শোনার পর মিলি খুব কষ্ট পাবে যার কারণে আমি....
চলবে...
Post a Comment