পিচ্চি চাচাতো বোন যখন অভিমানি বউ-
পার্টঃ-১৫..
🥀
♠নীলা বাধ্য হয়ে নীলাশ কে নিয়ে ওর রুমে।গেলো। একটু আগে মিলিকেও রাজের সাথে ওর রুমে পাঠানো হয়েছে আলাদা করে কথা বলার জন্য। ঝুমুর তো পুরাই অবাগ যে নীলার বিয়ের কথা শুনে। ওদিকে যে রাফি ওর ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে আছে সেদিকে ওর কোনো খেয়ালই নাই। যখন রাফি ঝুমুরের কানের লতিতে আলতো করে বাইট করলো তখন ঝুমুর ধ্যান ভাঙলো। লজ্জায় লাল হয়ে গেছে ঝুমুর। তবুও লজ্জা বাদ।দিয়ে-♠__
-----ঝুমুরঃ- ভালো যখন বাসোই না তাহলে এমন করে টাচ করার মানে কি?-( একপাসে সরে গিয়ে)
-----রাফিঃ-( ঝুমুরের মুখামুখি হয়ে)--তুই কি আমার মনের কথা জানিস?? জানলে অবশ্যই এমন কথা বলতি না--(ঝুমুরের কানের লতিতে ঠোট ছুইয়ে)- ভালোবাসা কিন্তু ঠুংকো নয় ঝুমু।
♠এমন ভাবে বলায় ঝুমুর এর মনে কি রকম যেন একটা শিহরন বয়ে গেলো। কিন্তু ও রাফির বলা শেষ কথাটা বুজতে পারলো না। ঠিক তখনই রাফির দাদু ওকে ডাক দিলো♠
-----দাদুঃ- রাফি কই তুমি দাদুভাই??
( রাফি সবার সামনে ঝুমুরকেও টেনে নিয়ে গেলো)
-----রাফিঃ- এই তো দাদু। কি হয়েছে বলো??
-----দাদুঃ- তুমিও কি আলাদা ভাবে time spend করতে চাও??
-----রাফিঃ- হুমম দাদু।
-----দাদুঃ- তাহলে ঝুমুরকে নিয়ে যাও
( তখনই লারা বলে উঠলো)
-----লারাঃ- ঝুমুর যাবে কেন?? চলো রাফি আমি তোমার সাথে যাই।
-----দাদুঃ- আমি যাদেরকে যেতে বলেছি তারাই যাবে। রাফি যাও--(আদেশ করে)
♠লারা অপমানিত বোধ করলো খু্ব। তাই মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো। আর রাফি ঝুমুরকে টেনে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে। ছাদে।গিয়ে ছাদের দরজা লাগিয়ে দিলো রাফি। যাতে করে কেউ ছাদে না আসতে পারে। অন্যদিকে নীলা নীলাশ কে নিয়ে ওর রুমে এলো। নীলা তো রাগে ফোস ফোস করছে বিছানার একপাসে দাড়িয়ে শাড়ির আচল মুচরাচ্ছে। আর নীলাশ দরজা নক করে নীলার সামনে এসে দাড়ালো। নীলার সামনে এসে ও এক নজরে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। নীলাশের এমন তাকানোতে খুব অসস্থি বোধ হচ্ছে নীলার। তবুও নীলা সাহস জুগিয়ে বললো♠__
-----নীলাঃ- এসবে মানে কি??
-----নীলাশঃ- কোন সবের??---(এক ধ্যানে তাকিয়ে)
-----নীলাঃ- শুনুন,,আমি কিন্তু একদম মজা করার মুডে নাই। তাই ভালোয় ভালোয় বলুন কি হচ্ছে এসব??
,-----নীলাশঃ- তোমার আমার বিয়ের কথা পাকা করা হচ্ছে।
-----নীলাঃ- কি?? কিসের বিয়ে?? কার বিয়ে?? আমি তো এখনো অনেক ছোট। আমার এখন কিসের বিয়ে?? আমি বিয়ে করবো না।
-----নীলাশঃ- তুমি কি বাঁচ্চা??? ফিটার খাও?? আর বিয়ে করবে না কেন?? তোমার এখন যথেষ্ট বয়স হয়েছে বিয়ে করার। তোমাকে তো বিয়ে করতেই হবে--(রাগি ভাবে)
-----নীলাঃ- কি?? বিয়ে করবো আমি তাও আবার আপনাকে?? যেখানে কি না আপনি সারাক্ষণ আমার পিছনে লেগে থাকেন। আমাকে কথায় কথায় খোচা দেন। এখনই এসব বিয়ের পরে তো আমার জিবনটা আপনি শেষ করে দিবেন--(কাদো কাদো ভাবে)
♠নীলার কথা শুনে নীলাশ হেসে দিলো। আর নীলা গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে রইলো। তখনই ঝপাৎ করে নীলাশ নীলার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। তার মুখটা একদম নীলার মুখের কাছে নিয়ে গেলো।হালকা বাতাস আসছে বাহির থেকে রুম তার ফলে নীলার কিছু চুল এসে ওর মুখের উপরে পরছে সেগুলা আলতো করে সরিয়ে দিলো। নীলা তো ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। আর নীলাশ এক হাত দিয়ে নীলার কোমড় জরিয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে ওর গাল স্লাইড করতে করতে♠____
-----নীলাশঃ- বিয়ের পরে আর তোমার সাথে লাগবো না। তখন শুধু রোমাঞ্চ করবো তোমার সাথে,,,ভালোবাসবো এতঁ এতো আর আদর করবো। খোচা দেয়ার পরিবর্তে--(ওর গালে চুমু দিয়ে)--এভাবে চুমু দিবো। বুজলে কলিজা??
♠নীলা তো লজ্জায় একদম মনে হচ্ছে মরেই যাবে। এতো লজ্জা সে কখনো পায় নাই। লজ্জায় তার ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেলো। নীলার এরকম লজ্জা মাখা মুখ দেখে নীলাশ বললো♠___
------নীলাশঃ---(ওর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে)--আমার বউটা দেখি লজ্জায় একদম লাল হয়ে গিয়েছে। ইশশশ এতো লজ্জা পেয়ো না গো বউ তাহলে যে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারবো না। বিয়ের পরে সব লজ্জা ভেঙে দিবো।---ভালোবাসি প্রিয় খুব খুব ভালোবাসি--(নেশা ভরা কন্ঠে)
♠বউ ডাক শুনে নীলার প্রতিটা লোম দাড়িয়ে গেলো। মনে হচ্ছে ওর আজকে শেষ দিন। লজ্জায় সে মুখ খুলতে পারছে না। আর নীলাশ ও ওকে ছাড়ছে না। তাই পাগলিটা লজ্জা আর দমিয়ে রাখতে না পেরে নীলাশকে জরিয়ে ধরলো। নীলাশ বুজতে পারলো ব্যাপারটা তাই ও নীলাকে জরিয়ে ধরলো খুব শক্ত করে। আর মুচকি হেসলো♠__♠অপরদিকে ছাদের একপাসে একটা বড় খোলামেলা রুম। তার ভিতরে অনেক সুন্দর করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা। খুব সুন্দর একটা বেড রাখা আর পাসে বাকি আসবাবপত্র রাখা। বলতে গেলে একদম পারফেক্ট রুম। রাফি ঝুমুরকে সেই রুমে নিয়ে এলো। বেডের উপরে বসিয়ে সে বসলো ঝুমুর এর মুখামুখি হয়ে। একদম ঝুমুর এর চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে রাফি। আর ঝুমু নিচের দিকে তাকিয়ে বিছানার চাদর মুচরাচ্ছে। তখন রাফি ঝুমুরকে জিজ্ঞেস করলো♠___
-----রাফিঃ- সত্যি করে একটা কথা বলবি ঝুমু?
-----ঝুমুঃ- কি কথা??
-----রাফিঃ- বলবি তো??
-----ঝুমুঃ- হুমম বলো কি জানতে চাও।
-----রাফিঃ- আমাকে নিয়ে তোর মনে feelings টা কি রকমের?
♠কথা শুনে ঝুমু হতবাগ হয়ে গেলো। সে ইতস্তত বোধ করছে♠
-----রাফিঃ- কি হলো বল?? না কি তোর মনে আমার জন্য কোনো feelings ই নাই??
♠এবার ঝুমুর তার দিকে চোখ রেখে তাকালো আর ভাবতে লাগলো--যার নাম তার প্র্রতিটা নিশ্বাস এ মিশে আছে,, যে তার পুরা মনটা জুরে বিস্তৃত,, আর সে কি না বলছে তার প্রতি আমার কোনো feelings নাই--আজব,, বড়ই আজব মানুষটি,,এসব ভাবছে ঝুমু। তখন সে রাফিকে বোঝানোর জন্য একটা গান শুরু করলো। গানের প্রতিটা লাইনে সে রাফিকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলো। আর রাফি তো অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঝুমুরের দিকে। সে ভাবছে ঝুমুর তাকে এতো ভালোবাসে কেন??♠
-----ঝুমুঃ-যার নামে এ জিবনটা লিখে রেখেছি। যার কথা ভেবে ভেবে প্রতিটা রাত বালিশ ভিজিয়েছি__তার জন্য আমার মনের কোনো feelings থাকবে না তা কি করে হয়??
♠ রাফি কোনো উওর না দিয়ে ঝুমুরের কোলে শুয়ে পড়লো। দু হাত দিয়ে ঝুমুরের কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর পেটে মুখ গুজলো। রাফির এমর স্পর্শে ঝুমুরের পুরা শরির কেপে উঠলো। ঝুমুরের পেটে রাফির প্রতিটা গরম নিশ্বাস পড়ছে। ঝুমুর কিছু বললো না। সে দু হাত দিয়ে রাফির মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। কারন ঝুমুর তো সব সময়ই চায় রাফির সংস্পর্শে থাকতে। ঝুমুরের খুব ইচ্ছে করছে রাফির কপালে এ অবস্থায় একটা চুমু দিতে। কিন্তু তার সাহসে কুলাচ্ছে না। কিন্তু এ অদম্য ইচ্ছেকেও ঝুমু দমিয়ে রাখতে পারলো না। মাথা নিচু করে রাফির কপালে আলতো করে একটা চুমু দিলো। রাফি সেটা বুজতে পেরে হালকা হাসলো। আরো শক্ত করে ঝুমুরের কোমড় জরিয়ে ধরলো। তখন ঝুমু বললো♠___
-----ঝুমুঃ- এই ছাড়ো প্লিজ,,নিচে যাবো আমি।
-----রাফিঃ- তুই নিচে গিয়ে কি করবি??? শুধু শুধু ডিস্টার্ব করিস না তো। চুপ করে বসে থাক।
-----ঝুমুঃ- অনেক কাজ আছে। নীলার সাথেও কথা আছে। অনেকক্ষণ তো হয়েছে এখানে এসেছি। এখনতো নিচে যাই প্লিজ।
-----রাফিঃ--( বেশি কিছু করলে ওকে আর আমার সারপ্রাইজ দেয়া হবে না। সব বুজে যাবে। যে টুকু করেছি এতেই হবে। এখন শুধু ধর্য্য ধরতে হবে)----okhyy,,চল আমিও যাবো।
♠এর পরে তারা নিচে চলে গেলো। মিলি, রাজ,নীলা, নীলাশ ও নিচে চলে এসেছে। পরিবারে বড়রা মিলে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করলো।__১৫ দিন পরে Engagement__than__তার পরে ৪ দিন পরে বিয়ে♠
চলবে....কি???
Post a Comment