গল্প জ্বিনের সংসার

পর্ব - ১৯

#লেখক__মোঃ__নিশাদ 


যারা ১৮ পর্ব পড়েননি পড়ে নিবেন আমার আইডিতে আছে। 


সকাল হতেই জান্নাতের মামা জান্নাতের জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলেন। 


 জান্নাতের মামা ওদের বাড়িতে এসে ওর মা বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললেন। 


জান্নাতের মামা- দুলাভাই আমি জান্নাতের জন্য খুব ভালো একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছি,, আমাদের গ্রামের রহমত ভাইয়ের ছেলে আরিফ আছনা ওই আরিফ।আরিফ তো এখন পুলিশে চাকরি করে।


 জান্নাত, আমাদের বাড়িতে জাওয়ার পর, আরিফ নাকি ওকে দেখছে,, পছন্দ করে। 


আপনারা চাইলে, আজ সন্ধায় আরিফ ও তার বাবা চাচা মিলে জান্নাতকে দেখতে আসবে। 


 জান্নাতের বাবা- তাই নাকি,, আরিফ তো ভালো ছেলে। আমি ওদের ব্যাপারে জানি,, শোন তুই ওদেরকে নিয়ে সন্ধায় আয়। ওরা জান্নাতকে দেখুক, আমাদের বাড়িঘর দেখুক। 


এদিকে জান্নাতের মা আর বাবার কথাবার্তার মাঝে। জান্নাত বলে উঠলো। 


জান্নাত- মামা, তুমিযে আমার বিয়ের কথাবার্তা বলছো৷ তুমিকি জানোনা আমি বিবাহিত। আর যার সাথে বিয়ের কথা বলছো, ওনি কি জানে আমি বিবাহিত, আমার একটা মেয়ে আছে। 


 জান্নাতের মুখে কথাটা শুনে ওর মামা আমতা আমতা করে বললো। 


মামা- ইয়ে মানে, এরকম ভুল কম বেশি সবারি হয়। জান্নাত তুই বিবাহিত, এটা আমরা ছাড়া গ্রামের কেউ এখন পর্যন্ত জানেনা, আর জানলেও বিশ্বাস করবেনা। একটা জ্বিন কিভাবে তোর বর হয় বল। তুই বিবাহিত এটা ওদের বলিনি ওরা কখনও জানবে ও না 


 জান্নাত - এটা ঠিক না মামা। আমি এখন বিয়ে করবোনা ওদের আসতে মানা করে দাও। 


জান্নাতের মা - জান্নাত, মা আমার কথা শোন, মানুষ দেখলেই তো বিয়ে হয়না। ছেলেটা আসুক এসে দেখে জাক, তোর মামার একটা মান সম্মান আছেনা। 


 জান্নাতের মায়ের কথায় জান্নাত কিছু না বলে মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে গেলেন। 


এদিকে জান্নাতের মামা, বললেন, দুলাভাই মেয়ে মনে হয় সরম পাইছে৷ আমি তাহলে সন্ধায় ওদের নিয়ে আসি কি বলেন। 


জান্নাতের বাবা- আচ্ছা ঠিক আছে। তাই কর বেশি রাত করিসনা আবার। 


জান্নাতের মামা- ঠিক আছে, আমি তাহলে আসি কেমন। 


এই বলে জান্নাতের মামা চলে গেলেন। 


 ____কথামত সন্ধায় আরিফ নামে ছেলেটা, ওর তার বাবা চাচা এরা মিলে জান্নাতকে দেখতে আসলেন। 


জান্নাত মাশাআল্লাহ বেশ সুন্দরী। আরিফ আগে থেকেই ওকে পছন্দ করতো। এদিকে আরিফের পরিবার ও জান্নাতকে দেখে পছন্দ করেন। 


 পছন্দ করায়, দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হয়। খাওয়া দাওয়া হয়। 


খাওয়া দাওয়া শেষে আরিফ ও তার বাবা চাচা চলে জাবার পর সেই রাতে, জান্নাতের মা, বাবা, মামা, মামি, চাচা, চাচি সবাই মিলে জান্নাতকে নিয়ে বসেন। সবাইকে এক সাথে দেখে জান্নাত বলেন। 


জান্নাত - কিহহ, ব্যাপার সবাই আমার রুমে কেনো। কিছু বলবে কি। 


 জান্নাতের মা - হ্যাঁ তোর সাথে সবাই একটা কথা বলতাম। 

জান্নাত- কিহহ কথা বলো। 


জান্নাতের মামা - জান্নাত, দেখ আমরা সবাই এখানে তোর খুব কাছের মানুষ, আমরা সবাই মিলে আরিফের সাথে তোর বিয়ে দিতে চাই। 


জান্নাত - কিহহ, মামা আমিনা বললাম বিয়ে করবোনা। 

জান্নাতের বাবা- জান্নাত তুই কি সারাজীবন এভাবে থাকবি। আমরা তোর মা বাবা আমাদের কি তোকে নিয়ে চিন্তা হয়না। এভাবে আর কতদিন, আজ এখন তোকে একটা কথা বলতে হবে। তুই কি আমাদের ভালোবাসিস, আমাদের কথা শুনবি নাকি না। 


জান্নাত - বাবা, আমি তোমার কথার অবাদ্দ কখনও হইনি এটা ভালো করে জানো, জেনে শুনে এরকম কথা কেন বলো। 


জান্নাতের বাবা- তাই যদি হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে যা ডিসিশন নিবো এটাই হবে। আমরা সবাই মিলে ঠিক করছি আরিফের সাথে তোর বিয়ে দিবো, আর সেটা কাল বাদ পড়শুদিন। 😯


জান্নাত - কিন্তু বাবা..🥺

জান্নাতের মা- আর কোন কিন্তু শুনতে চাইনা। আমাদের প্রতি তোর ভালোবাসা থাকলে বিয়েতে রাজি হবি। 


জান্নাতের মামা- দুলাভাই, তাহলে আমি ওদের কনফার্ম করে দেই বলে দেই কাল বাদ পড়শু বিয়ে কি বলেন সবাই। 


জান্নাতের মামার কথায় পরিবারের সবাই মত দিলেন। 


এদিকে জান্নাতের কোন কথা না শুনে ওর বিয়ে ঠিক করা হলো। 


বিয়ে ঠিকঠাক করে সবাই যে যার মত চলে গেলেন। সবাই চলে জাবার পর জান্নাত রুমে একা একা কান্না করতে লাগলেন। 


তারপর____

Next____

 

এই গল্পর পরের পর্ব হবে শেষ পর্ব।

Post a Comment

Previous Post Next Post