গল্প জ্বিনের সংসার
পর্ব - ১৮
#লেখক__মোঃ__নিশাদ
ওই ছোট ইকরা ও আমার মেয়ে।
মেয়ের মুখে এসব কথা শুনে, জান্নাতের মা বাবা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলেন।
জান্নাতের বাবা - ইকরা তোর মেয়ে।
জান্নাত - হ্যাঁ বাবা ইকরা আমার মেয়ে।
জান্নাতের মা - জান্নাত, মানলাম ইকরা তোর মেয়ে, ও তোর কাছে কেনো আসছিলো।
জান্নাত - আমার মেয়ে আমার কাছে আসবেনা। তোমরা রুমে না আসলে ইকরা চলে যেতো না মা।
মা - দেখ তোর মনের অবস্থা ভালোনা। এখন এসব নিয়ে ভাবিসনা। তোকে কত করে বুঝালাম সারফারাজ ও ইকরার কথা ভুলে যা। ওটা তোর ভুল অতীত ছিলো।
জান্নাত - ভুল অতীত হতে পারে কিন্তু সারফারাজ তো ভুল না। মা আমি কি করবো কিছুই বুঝছিনা। এভাবে চলতে থাকলে আমি মারা জাবো।
জান্নাতের বাবা- দেখ মা, নিজেকে এত পেশার দিসনা। আমি বলি কি তুই তোর নানা বাড়িতে গিয়ে কদিন থেকে আয় এতে মনটা একটু ভালো হতে পারে।
জান্নাত - না বাবা আমি এখন কোথাও জাবোনা। তোমরা চলে যাও। আমি ঘুমাবো।
জান্নাতের মা - ঠিক আছে, তাই কর ঘুমালে শরীলটা একটু ভালো লাগবে৷
এই কথাটা বলে জান্নাতের মা বাবা চলে গেলেন। ওরা চলে যাওয়ার পর। জান্নাত কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে পড়লেন।
ঘুমিয়ে পড়ার কিছুক্ষন পর, ইকরার ডাকে জান্নাতের ঘুম ভেঙে যায়। ইকরা ডাকছ___
ইকরা- মা ও মা। উঠো
এদিকে ইকরার ডাকে জান্নাত চোখ মেলে ইকরাকে বলেন।
জান্নাত- ইকরা, মা তুমি, আমি কোথায়। এটা কোন জায়গা।
ইকরা- আমাদের জ্বিনদের রাজ্যে নিয়ে আসছি তোমাকে, তোমার বাড়িতে তোমার মা বাবা আমার নানা নানি এসে ঝামেলা করে, ওনারা তখন আসছিলো বলে আমি তোমার কাছ থেকে চলে আসছি,, এখন তোমাকে জ্বিনদের রাজ্যে নিয়ে আসছি এখানে ওনারা আসতে পারবেনা।
জান্নাত- ভালো করছো মা, আসো আমার বুকে আসো।
এই বলে ইকরাকে বুকে নিয়ে জান্নাত বললো।
জান্নাত - আচ্ছা ইকরা৷ একটা কথা বলোতো। তুমিকি আগে থেকে জানতে আমি তোমার মা।
ইকরা- না মা, বাবা আমাকে কখনও বলেনি। বাবা বলতো ফুফি আমার মা, আমি ফুফিকে মা বলে জানতাম। কিন্তু সেদিন বাবা তোমাকে সব কিছু খুঁলে বলার পর জানলাম তুমি আমার মা।
আমিতো এটাও জানতাম না সারফারাজ আমার বাবা, আমি ওনাকে মামা বলে জানতাম৷
জান্নাত- ওহহ,, আচ্ছা মা আমাকে যে এখানে নিয়ে আসছো তোমার বাবা জানলে রাগ করবেনা,, ওনি কি জানেন৷
ইকরা- না বাবা, জানেনা আর জানতেও পারবেনা। বাবা তোমাকে আমাকে খুঁজেই পাবেনা।
জান্নাত- হ্যাঁ, ঠিক বলছো খুঁজে পাবেনা। একবার পিছনে ফিরে দেখো।
জান্নাতের কথায় ইকরা পিছন ফিরে তাকিয়ে বললেন।
ইকরা- বাবা তুমি। 🥺
সারফারাজ - ইকরা, ওকে এখানে নিয়ে আসছো কেনো। তুমি তোমার মা কে দেখতে চেয়েছিলে আমি অনুমতি দিছি তাই বলে এখানে নিয়ে আসবা।
জান্নাত- সারফারাজ ও বুঝতে পারেনি, বুঝনা ছোট মানুষ৷ ওকে কিছু বলোনা।
সারফারাজ - জান্নাত চলো। তোমাকে বাড়িতে রেখে আসি।
জান্নাত - না এখন জাবোনা। আমি এখানে কিছুক্ষন থাকি৷ আমার মেয়ের কাছে একটু থাকতে দাও।
সারফারাজ - ইকরা তোমার মেয়ে, আমি তোমার বর কিন্তু আমাদের জন্য তোমার কোন ফিলিংস নেই কারণ তুমি স্রিতি হাড়া একটা মেয়ে। তোমার মা বাবা চিন্তা করবে চলো তোমাকে বাড়িতে রেখে আসি।
জান্নাত _ সারফারাজ মা বাবা বলছে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিবে কিছুদিনের মধ্যে।
সারফারাজ _ হ্যাঁ বিয়ে দিলে বিয়ে করবা, তুমিতো বিয়ে করতে চাও।।
জান্নাত- না করতে চাইনা।
সারফারাজ - তাহলে কি আমার সাথে সংসার করবে।
জান্নাত- তাও করবোনা। আমি জানিনা কি করবো। আমি দিনদিন পাগল হয়ে যাচ্ছি।
সারফারাজ - তোমার পাগল হতে হবেনা।। চলো বাড়িতে রেখে আসবো। ইকরা এসে আমার সাথে এসো।
এই কথাটা বলে সারফারাজ জান্নাতকে তার বাড়িতে রেখে গেলো।
এদিকে ফজরের আজান হয়ে গেছে। সারফারাজ জান্নাতকে রেখে যাওয়ায় ও ভিষন মন খারাপ করে বসে রইলেন।
এদিকে কিছুক্ষন পর সকাল হলো। সকাল হতে জান্নাতের মামা তাদের বাড়িতে হাজির।
জান্নাতের মামা জান্নাতের জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছে।
তারপর ___
পরের পর্ব সন্ধা ৭-৩০ মিনিটে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
Post a Comment