গল্প জ্বিনের সংসার 

পর্ব - ০৪

#লেখক__মোঃ__নিশাদ


___এই কথাটা বলে কবিরাজ চলে জান। কবিরাজ চলে জাবার পর জান্নাতের মা বাবা সহ সেখানে থাকা সবাই চিন্তায় পড়েন। 


একটা জ্বিন জান্নাতের সাথে এমনটা করছে। কিন্তু জ্বিনটাকে আদো কেউ দেখেনি। কখনও কারো সামনে আসেনি। 


সবাই বসে চিন্তা করছে,, এমন অবস্থায় জান্নাতের চাচা বললেন। 


জান্নাতের চাচা - ভাইজান, কি করবো এখন,, জান্নাতের কি বিয়ে দিবো নাকি এভাবে থাকবে কয়েকটা বছর। 


জান্নাতের বাবা - সেটাই ভাবছি,, যে ছেলের সাথে জান্নাতের বিয়ে ঠিক করছি, ওরা বলে দিছে৷ এই বিয়ে ওরা করবেনা। জান্নাতের সাথে এসব অসাভাবিক ঘটনা ঘটছে, সেটা ওরা জেনে গেছে। 


জান্নাতের মা - তো এখন কি করবেন৷ আমি বলি কি এখন বিয়ের কথা না ভাবি,, ওর বিয়ে দিতে চাইলে আবার না জানি কি উল্টো পাল্টা ঘটনা ঘটে৷ 


জান্নাতের বাবা- হ্যাঁ তাহলে এটাই ফাইনাল,, আমরা জান্নাতের বিয়ে দিবোনা। এই বলে সবাই চলে গেলেন। জান্নাত ও চলে গেলেন তার রুমে,, রুমে গিয়ে ভাবতে লাগলেন, আমাকে কোন জ্বিন পছন্দ করে,, আমি নিজেও তো ওকে কখনও দেখিনি,, আমার সামনেও কখনও আসেনি। 


যাইহোক,, একটু পর জান্নাতের বান্ধবী মিলি, ওকে কল করেন,, জান্নাত কল রিসিভ করতেই মিলি বলেন,, জান্নাত দেখা কর কথা আছে। 


মিলির কথায় দুপুরবেলা জান্নাত চলে গেলেন মিলির সাথে দেখা করতে,, মিলির সাথে দেখা হতেই মিলি বললো। 


মিলি: জান্নাত,, এসব কি শুনছি তোর নামে,, রাত হলে নাকি তুই হাড়িয়ে যাস,, গত কাল রাতেও নাকি তুই বাঁশ ঝাড়ে ছিলি। 


____জান্নাত - হ্যাঁ তুই ঠিকি বলছিলি৷ জানিনা রে আমার সাথে এসব ঘটনা কেন ঘটছে,, জানিস আজকে সকালে একজন কবিরাজকে নিয়ে আসছে,, কবিরাজ কি বলছে জানিস,, কবিরাজ বলছে একটা জ্বিন নাকি আমাকে পছন্দ করে,, ও এসব করছে আমার সাথে,, আমার যেনো বিয়ে না হয় অন্য কারো সাথে। 


মিলি: কিহহ, বলিস, তোকে পছন্দ করে জ্বিন। 

জান্নাত: হ্যাঁ কবিরাজতো তাই বললো। 


মিলি: জান্নাত দেখ,, ওই ছেলেটা তখন থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখছে। 

জান্নাত - হুম তাইতো, আচ্ছা চল হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি। 


মিলি - ওই, লাভ হলোনা তো, ছেলেটাতো আমাদের পিছন পিছন আসছে। 

জান্নাত - ছেলেটাকে দেখে তো হুজুর হুজুর লাগে,, ওটা কি পড়ে আছে, ওরকম জামা তো আগে কখনও দেখিনি,, আচ্ছা মিলি শোন ওনাকে ডাক তো ডেকে জিজ্ঞেস কর আমাদের পিছু পিছু আসছে কেন। 


মিলি: ওকে ডাকছি। 


এইযে,, আপনাকে বলছি কাছে আসুন। 


মিলির ডাকে পিছনে থাকা ছেলেটা সামনে আসতেই মিলি বললো। 


____মিলি: সমস্যা কি আপনার,, আপনি আমাদের ফলো করছেন, এখন আবার পিছন পিছন আসছেন। কিছু বলবেন কি। 


ছেলেটা: হ্যাঁ অনেক কথা বলবো৷ তবে আপনার সাথে না আপনার বান্ধবীর সাথে।। 


মিলি: ওর সাথে কিসের কথা ও প্রেম করবেনা। 

ছেলেটা: আমি প্রেম করতে চাইবো আপনাকে কে বললো। 


মিলি: বলতে হবেনা,, ছেলেদের অভ্যাস আমাদের জানা, পিছন পিছন ওরা এমনি আসেনা। 


ছেলেটা: আপনি একটু বেশি বুঝেন,, নিজের ফোনের দিকে নজর দেন, কল আসছে ফোনে,, কল রিসিভ করুন আর বাড়িতে জান আপনার বান্ধবীর সাথে আমার কথা আছে। 


ছেলেটার কথা শুনে মিলি দেখলেন সত্যি বাড়ি থেকে ওর মা কল করছে,, মায়ের কল পেলে মিলি জান্নাতের কাছে বিদায় নিয়ে বাড়িতে চলে গেলেন। 


এদিকে মিলি চলে যাওয়ায় জান্নাত লজ্জায় মাথা নিচু করে বাড়ির দিকে যেতে লাগলেন ঠিক সেই সময় ছেলেটা বললেন। 


ছেলেটা- জান্নাত দাঁড়াও তোমার সাথে কথা আছে। 

 জান্নাত - আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে। আর আমার সাথে আপনার কিসের কথা আপনি কি আমাকে চিনেন। 


ছেলেটা- হ্যাঁ,, চিনি অনেক আগে থেকে চিনি। 

জান্নাত- কিভাবে, চিনেন। আমিতো আপনাকে চিনিনা। 


ছেলেটা- পরিচয় দিলে তো চিনবে তাইনা। আচ্ছা তোমার বিয়ের কি হলো। 


জান্নাত- সেটা আপনাকে বলবো কেনো। 

ছেলেটা- জান্নাত তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করোনা,, কারণ তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমি পছন্দ করি। 


 জান্নাত- আপনার সাহস তো কম নয়। এতটা অধিকার নিয়ে আমাকে এসব বলার সাহস পেলেন কোথায়। 


ছেলেটা- অধিকার অনেক আগে পাইছি। তুমি জানোনা আমার আসল পরিচয়। 


জান্নাত- আসল পরিচয়, কি আসল পরিচয় বলুনতো কে আপনি। 


ছেলেটা- বলতে পারি,, তার আগে বলো আমার কথা কাউকে বলবেনা। 


জান্নাত - কেন বললে কি হবে।। ওকে ঠিক আছে বলবোনা এখন বলুন কে আপনি। 


ছেলেটা- আমার নাম, সারফারাজ, আর আমি মানুষ নই আমি একজন জ্বিন। 😳


____আর যে সে জ্বিন না। আমি সেই জ্বিন যে তোমাকে পছন্দ করি৷ আমি সেই জ্বিন যে কিনা তোমার অন্য কোথাও বিয়ে আঁটকাতে তোমাকে রাতের বেলা তুলে কখনও বাঁশ ঝাড়ে কখনও কবরস্থানে রেখে আসি।


সারফারাজ জ্বিনের মুখে কথাগুলো শুনে জান্নাত ওর দিকে তাকিয়ে একটা চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় দিলেন। 


এদিকে পিছন থেকে সারফারাজ জ্বিন ডাকতে লাগলেন, জান্নাত দাঁড়াও ভয় পেওনা। দাঁড়াও.... 


____কিন্তু সারফারাজের কথা না শুনে পিছনে না তাকিয়ে এক দৌড়ে বাড়িতে চলে আসলেন জান্নাত____


তারপর____

Next____

Post a Comment

Previous Post Next Post