গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ১১


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


পুসকার দোকানে গিয়ে চার প্লেট পুসকা অর্ডার করলাম


মেঘনাঃ- পুসকা পরে খাবো,আগে বলো কিসের অভিনয় করেছো তোমরা


শিশিরঃ- আচ্ছা বলছি (সব বললাম)


মেঘনাঃ- ওরে বাটপার 


মায়াঃ- সত্যি মেঘনা তুমি অনেক ভাগ্যতবী শিশিরের মতো ছেলে পাওয়া অনেক মুশকিল, যত্ন করে রেখো


মেঘনাঃ- হুম 


কেয়াঃ- এখন তো আমাকে ভুলেই গেলি


শিশিরঃ- কী বলছিস,তুই না হলে তো এই কাজ জীবনেও হতো না


মেঘনাঃ- কথা দাও কোনোদিন আমায় ছেড়ে যাবে না


শিশিরঃ- কথা দিলাম কোনোদিন যাবো না


এরপর পুসকা খাওয়া শেষ বিল দিতে গেলাম,কিন্তু মেঘনা আমাকে বিল দিতে দেয় নি,নিজেই দিয়ে দিলো


কেয়াঃ- আহা রে কী টান


মায়াঃ- হুম, তাই তো দেখছি বিলটা পর্যন্ত দিতে দিচ্ছে না


মেঘনাঃ- সেটা আমার ইচ্ছে তোদের এতো ফাটছে কেন 


কেয়াঃ- ওমা তাই


মেঘনাঃ- হুম তাই,আচ্ছা চলো ক্লাসে যাবো


শিশিরঃ- হুম চলো


ক্লাসে গেলাম,আমি আর মেঘনা পাশাপাশি বসেছি,হঠাৎ করে রিয়াদ আর  আকাশ আমাদের পাশে এসে ধরছে


রিয়াদঃ- তাহলে অবশেষে কাজ হলো


শিশিরঃ- হুম


আকাশঃ- আমাদের ট্রিট দে শালা


শিশিরঃ- আচ্ছা ক্লাস শেষ করে দিবো 


রিয়াদঃ- এখুনি চল,ক্লাস করা লাগবে না


মেঘনাঃ- আচ্ছা চলো, আমারও ক্লাস করতে ভালো লাগছে না,ঐদিকে একটু ঘরে আসি


শিশিরঃ- আচ্ছা চলো


রিয়াদঃ- ওরে বাটপার, আমরা বলছি উঠেছে না,আর মেঘনা বলার সাথে সাথে চলতেছে


আকাশঃ- হুম,চলবেই তো ভালোবাসা আর ভালোবাসা 


শিশিরঃ- তোরা থামবি


রিয়াদঃ- ওকে চল


এরপর ওদের সাথে নাস্তা করে,মেঘনা আর আমি বাগানের দিকে ঘুরতে গেলাম,,হঠাৎ চোখে পড়লো বাগানে লাল গোলাপের দিতে,সেখান থেকে একটি লাল গোলাপ নিলাম


মেঘনাঃ- এটা কার জন্য 


শিশিরঃ- আমার লক্ষীটার জন্য 


মেঘনাঃ- আচ্ছা দাও


শিশিরঃ- I love u Sona (হাঁটু পেতে বসে) 


মেঘনাঃ- I love u 2


গোলাপটা হাতে নিয়েই আমাকে জড়িয়ে ধরেছে মেঘনা


মেঘনাঃ- এভাবে সারাজীবন তোমার বুকে জড়িয়ে রেখো আমায়


শিশিরঃ- কোনোদিন ছেড়ে দিবো না পাগলী


মেঘনাঃ- আজ বিকালে আমায় ঘুরতে নিয়ে যাবে?


শিশিরঃ- কই যাবে বলো


মেঘনাঃ- তুমি যেখানে নিয়ে যাও, অজানার মাঝে তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যেতে চায় প্রিয়


শিশিরঃ- হুম,নিয়ে যাবো উমমমমমা (কপাল একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম) 


মেঘনাঃ- আচ্ছা তাহলে এখন বাসায় যাও,বিকালে আমাকে ফোন দিও


শিশিরঃ- আচ্ছা, তুমি সাবধানে যেও 


এরপর মেঘনা চলে গেলো আমিও বাসায় চলে গেলাম, আজ খুব খুশি খুশি লাগতেছে 


মাঃ- আজ এতো খুশি খুশি লাগতেছে কেন


শিশিরঃ- হুম লাগছে তো


মাঃ- কারণটা জানতে পারি


শিশিরঃ- হুম,তুমি তো আমার লক্ষী মা,তোমাকে বলবো না তো কাকে বলবো


মাঃ- তাহলে তাড়াতাড়ি বলে দে


শিশিরঃ- (সব বললাম)


মাঃ- তাহলে এই ব্যাপার,তাহলে মেয়েটাকে নিয়ে আসিস তো কোনো একদিন 


শিশিরঃ- আচ্ছা নিয়ে আসবো


মাঃ- যা তুই ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি নাস্তা দিচ্ছি 


এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে গেলাম... 


চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post