গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ১৫


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


মেঘনার বাবার কাছে যাওয়ার পর...


করিমঃ- আংকেল 


রহমানঃ- করিম,এটা কে


করিমঃ- আংকেল এটা শিশির 


শিশিরঃ- আসসালামু আলাইকুম 


রহমানঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম,করিম তুমি বাহিরে যাও


এরপর করিম চলে গেলো


রহমানঃ- তুমিই তাহলে শিশির 


শিশিরঃ- জ্বি আংকেল আমিই শিশির 


রহমানঃ- কী করো তুমি


শিশিরঃ- আংকেল আমি লেখাপড়া করি


রহমানঃ- ওহ,মেঘনার সাথে তোমার কী সম্পর্ক


শিশিরঃ- আংকেল আমরা একে অপরকে ভালোবাসি 


রহমানঃ- ভালোবাসি 🤣 হাঁসালে, আসলে তোমাদের মতো ফকিরদের ঐএকটাই স্বাভাব বড় লোকের মেয়ে দেখলেই প্রেমের অভিনয় করে ধন-সম্পদের মালিক হওয়া


শিশিরঃ- সরি আংকেল আপনি ভুল করছেন


রহমানঃ- কিসের ভুল হে,কিসের ভুল, বলো কত টাকা হলে আমার মেয়ের জীবন থেকে সরে যাবে


শিশিরঃ- আমার ভালোবাসা কোনো দোকানের পুণ্য নয় যে টাকা দিয়ে বিক্রিয় করবো


রহমানঃ- গুড়, তুমি তো দেখছি ভালো অভিনয় শিখেছো


শিশিরঃ- মানে


রহমানঃ- তুমি কী মনে করো,তোমার অভিনয় আমি বুঝি না,আমার সহজ সরল মেয়েকে বোকা বানিয়ে,আমার সম্পদের মালিক হতে চাও তাই না


শিশিরঃ- সরি আংকেল, আমি আসছি না


রহমানঃ- আমার মেয়ের জীবন থেকে সরে যাবে, না হলে পরিনাম ভালো হবে না কথাটা মনে রেখো


এরপর আমি বাসায় চলে গেলাম,মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো,তাই আর কলেজেও যায় নি,বাসায় শুয়ে আছি 


হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো,দেখি মেঘনার ফোন,কিন্তু রিসিভ করলাম না সাইলেন্ট করে শুয়ে আছি কখন ঘুমিয়ে গেলাম জানি না,যখন ঘুম ভাঙলো দেখি ১০১টি মিসড কল


হঠাৎ করে রিয়াদ এলো আমাদের বাসায়


রিয়াদঃ- শিশির কই রে তুই


শিশিরঃ- এই তো শুয়ে আছি 


রিয়াদঃ- কলেজে যাস নি কেন


শিশিরঃ- এমনি যায় নি ভালো লাগছে না


রিয়াদঃ- মেঘনা তোকে এতোগুলো ফোন দিলো রিসিভ করলি না কেন


শিশিরঃ- সাইলেন্ট ছিলো বুঝতে পারি নি


রিয়াদঃ- এখন চল আমার সাথে 


শিশিরঃ- কোথায়


রিয়াদঃ- মেঘনার কাছে,সে কান্না করছে


শিশিরঃ- আমি যাবো না


রিয়াদঃ- তোর কী হয়েছে বল তো,এতোদিন মেঘনার জন্য পাগল, কিন্তু আজ হঠাৎ কী হলো এমন করছিস কেন?


শিশিরঃ- কিছু না,ভালো লাগছে না তুই যা


রিয়াদঃ- না তোকে যেতেই হবে চল বলছি(হাতে ধরে)


শিশিরঃ- আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি


রিয়াদঃ- তাড়াতাড়ি কর


শিশিরঃ- আচ্ছা দুই মিনিট


এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে ওর সাথে গেলাম, দেখি আমাদের কলেজের গেইটে মেঘনা দাঁড়িয়ে আছে


মেঘনাঃ- সারাদিন কই ছিলে তুমি,কলেজে আসলে না কেন


শিশিরঃ-.... (চুপ)


মেঘনাঃ- কথা বলছো না কেন? তোমার ফোন কোথায় এতোগুলো ফোন দিলাম রিসিভ করলে না কেন


শিশিরঃ- ফোন সাইলেন্ট ছিলো বুঝতে পারি নি


মেঘনাঃ- তুমি কোথায় ছিলে


শিশিরঃ- ঘুমিয়ে ছিলাম


মেঘনাঃ- ঘুমিয়ে ছিলে মানে? ঘুমালে আমাকে বলবে না,আমার খারাপ লাগে না 😡😡


শিশিরঃ- তুমি শান্ত হও


মেঘনাঃ- কেন শান্ত হবো,কী করেছো তুমি যে আমি শান্ত হবো


শিশিরঃ- উমমম্মামমা উমমম্মমমা (কিস দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম)


মেঘনাঃ- আমায় কখনও ছেড়ে দিও না


শিশিরঃ- না কখনও দিবো না


এরপর মেঘনাকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম,আমরা তিন জনই নাস্তা করে মেঘনাকে বাসায় পৌঁছে দিলাম,আমি বাসায় পৌঁছে দেখি বাবা আসে নি


চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post