গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ১৩


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


বাড়িতে গিয়ে দেখি মা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে


শিশিরঃ- মা তুমি 


মাঃ- এতো রাতে কোথায় গিয়েছিলি


শিশিরঃ- একটু বাহিরে গিয়েছিলাম


মাঃ- কী জন্য 


শিশিরঃ- ঐ রিয়াদ ফোন দিয়েছিলো তাই


মাঃ- ও আচ্ছা তাই নাকি


শিশিরঃ- হুম


মাঃ- রিয়াদ এদিকে আয় তো


রিয়াদঃ- জ্বি আন্টি (ভিতর থেকে)


শিশিরঃ- তুই এখানে!! 


মাঃ- এবার বল কোথায় গিয়েছিলি


শিশিরঃ- মা মা,আমার লক্ষী মা 


মাঃ- হয়েছে এবার থাম, কোথায় গিয়েছিলি তা বল


শিশিরঃ- ঐ তোমার হবু বউমা একটু রাগ করেছিলো,তাই রাগ ভাঙতে গিয়েছিলাম


মাঃ- প্রথমে এতো মিথ্যা বলছিলি কেন? সত্যি বলে দিলেই তো হতো


শিশিরঃ- এমনিই


মাঃ- তো রাগ ভেঙেছে


শিশিরঃ- হুম,কালকে ওরে নিয়ে আসবো, তোমার সাথে দেখা করতে 


মাঃ- সত্যি নিয়ে আসবি 


শিশিরঃ- হুম সত্যি 


মাঃ- ওকে,আজকের মতো তোকে মাপ করে দিলাম 


শিশিরঃ- হুম,ঐ চল আমার সাথে (রিয়াদকে)


এরপর রিয়াদকে নিয়ে আমার রুমে গেলাম 


শিশিরঃ- শা লা তুই এখানে কেন


রিয়াদঃ- তোর সাথে একটা কথা বলতে এসেছিলাম


শিশিরঃ- শালা,ফোন করে আসতে পারলি না,তোর জন্য মায়ের কাছে ধরা খেলাম


রিয়াদঃ- তোর ফোন তে বন্ধ 


শিশিরঃ- ফোন বন্ধ মানে


ফোনের দিকে থাকিয়ে দেখি,সিম এরোপ্লেন মোড 


শিশিরঃ- আচ্ছা বল কী বলবি 


রিয়াদঃ- ওই কিছু না,টাকা লাগবে কিছু 


শিশিরঃ- কত


রিয়াদঃ- এক হাজার লাগবে


শিশিরঃ- বেশি হলে হতো না,এক হাজার পাবি


রিয়াদঃ- তাড়াতাড়ি দে


শিশিরঃ- এই নে, এখন যা শালা (টাকা দিয়ে) 


টাকা নিয়ে রিয়াদ চলে গেলো,আমিও ঘুমিয়ে গেলাম পরদিন সকালে ফোনটা বেজে উঠলো ঘুম ভেঙে গেলো, দেখি মেঘনার ফোন


মেঘনাঃ- কই তুমি


শিশিরঃ- কেন,ঘুমাচ্ছি


মেঘনাঃ- আমায় তোমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে না


শিশিরঃ- নিয়ে যাবো তো


মেঘনাঃ- তাহলে তাড়াতাড়ি এসো


শিশিরঃ- এতো সকালে,তুমি দেখছি পাগল হয়ে গেছো


মেঘনাঃ- হুম তোমার জন্য পাগল হয়েছে 


শিশিরঃ- আচ্ছা সোনা, কলেজে এসো,সেখান থেকে নিয়ে যাবো 


মেঘনাঃ- না,আমি এখুনি যাবো


শিশিরঃ- এতো সকালে,আচ্ছা আর একটু সময় হোক


মেঘনাঃ- তাড়াতাড়ি আসতে বলছি,তাড়াতাড়ি এসো কোনো কথা বলবে না


শিশিরঃ- আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আছি


মেঘনাঃ- ওকে, তাড়াতাড়ি করবে কিন্তু 


শিশিরঃ- ওকে মহারানী 


মেঘনাঃ- হুম,আমি অপেক্ষা করেতছি,দেরি করলে খবর আছে


শিশিরঃ- আচ্ছা 


এরপর ফোনরা রেখে ফ্রেশ হয়ে মেঘনার বাসার সামনে গেলাম,আমাকে দেখে মেঘনাও বেরিয়ে এলো,আমি মেঘনাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে রওনা দিলাম 


অন্যদিকে, আমার সাথে মেঘনার বের হওয়াটা ওর বাবা দেখে ফেলেছে, তাই ওনি ওনার বাড়ির দারোয়ানকে ডাকলো


দারোয়ানঃ- জ্বি সাহেব


রহমানঃ- ছেলেটা কে


দারোয়ানঃ- চিনি না সাহেব


রহমানঃ- লোক পাঠাও, খবর নাও ছেলেটাকে আর ওর সাথে মেঘনার কী সম্পর্ক 


দারোয়ানঃ- আচ্ছা সাহেব 


এরপর দারোয়ান সেখানকার দুইটা ছেলেকে টাকা দিয়ে আমাদের ফলো করতে পাঠিয়েছে 


এদিকে আমরাও বাড়িতে পৌঁছে গেলাম


মাঃ- শিশির তুই এতো সকালে কাউকে না বলে কোথায় গিয়েছিলি


শিশিরঃ- মা, তোমার 


মাঃ- মেয়েটাকে (আমাকে থামিয়ে)


মেঘনাঃ- আসসালামু আলাইকুম মা


মাঃ- তুমি মেঘনা


মেঘনাঃ- হ্যা মা


মাঃ- এই তুই সরে যা,আমার বউমা (জড়িয়ে ধরে)


শিশিরঃ- বউমা পেয়ে আমাকে পর করে দিলো,আমি গেলাম 


মাঃ- তুই তো আমার সোনা মানিক,চল চল ভিতরে চল


এরপর আমরা ভিতরে গেলাম,আর ঐছেলে গুলো আঁড় পেতে আমাদের কথা শুনে চলে গেলো


চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post