গল্পঃ- Ex Girlfriend 

পর্বঃ- ২


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir 


4 years back... 


কলেজের মাঠে ফোন হাতে নিয়ে টিপে টিপে হাঁটতেছি হঠাৎ রিয়াদ আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে দৌড়ে দিলো


শিশিরঃ- ওই রিয়াদ ফোন দে


রিয়াদঃ- দিবো না, পারলে নিয়ে দেখা 


এই বলে রিয়াদ দৌড় দিলো আমিও ওর পিছু নিলাম হঠাৎ কিসের সাথে যেন ধাক্কা লেগে পড়ে গেলাম, চোখ খুলে দেখি একটি মেয়ে, কিন্তু কেন যেন মনে হলো এটি মেয়ে নয় যেন পরী, আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি


মেয়েটিঃ- এই যে মিস্টার,লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই নাকি 


শিশিরঃ-...(চুপ)


মেয়েটিঃ- আরে হাত ছাড়ুন, কী ছেলে রে বাবা ধাক্কা লেগেছে সরি বলা তো দুরের কথা উল্টো হাত ধরে আছে


রিয়াদঃ- ওই (মাথা নাড়া দিয়ে)


রিয়াদের মাথা নাড়া দেওয়ায় আমি কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম


শিশিরঃ- সরি সরি


মেয়েটিঃ- It's ok


এই বলে মেয়েটি চলে যাচ্ছে 


শিশিরঃ- হ্যালো ম্যাম,নামটা তো বলে যান


মেয়েটিঃ- আমার নাম দিয়ে আপনি কী করবেন (রেগে সামনে এসে)


শিশিরঃ- আর একটু সামনে এসো না


মেয়েটিঃ- কী ছেলেরে লজ্জা লাগে না


শিশিরঃ- এমন পরী দেখলে, লজ্জা লাগলে তো চলবে না


কেয়া(আমাদের ক্লাশমেট)ঃ- এই মেঘনা কী হয়েছে রে


শিশিরঃ- ওহ আপনার নাম বুঝি মেঘনা, Nice Name 


মেঘনাঃ- দিবো একটা


কেয়াঃ- এই শিশির তুই ওর সাথে এমন করছিস কেন


শিশিরঃ- নামটা বলে দিলেই তো হতো


কেয়াঃ- ওর নাম মেঘনা, হয়েছে এবার খুশি 


শিশিরঃ- হুম,তুমি মেঘ হলে আমি বৃষ্টি হবো


মেঘনাঃ- দিবো এখন


শিশিরঃ- তোমায় রাগলে দারুণ লাগে


কেয়াঃ- তুই চলতো,ওর সাথে কথায় পারা যায় না 


এরপর কেয়া ও মেঘনা চলে গেলো


রিয়াদঃ- ওই শালা সারাজীবন তো মেয়েদের দিকে তাকাসও না,কিন্তু আজ এমন করলি কেন


শিশিরঃ- এরকম পরী দেখলে কী করবো বল


রিয়াদঃ- এই তুই শালা তো দেখছি ঐ মেয়ের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিস


শিশিরঃ- হুম ওরে আমার চায় সারাজীবনের জন্য 


রিয়াদঃ- বেশি লাফালাফি করলে শেষে বাঁশ খাবি


শিশিরঃ- শিশির কোনোদিন বাঁশ খায় না,সবাইকে বাঁশ দেয় আর তুই অবশ্যই তা ভালো করে জানিস


রিয়াদঃ- তা তো জানি,কিন্তু এমন না হয় শেষে তুই এই মেয়ের হাতে বাঁশ খাবি


শিশিরঃ- অপেক্ষায় থাক সময় হলে দেখা যাবে


রিয়াদঃ- তোর উপর আস্থা আছে গুরু


আকাশঃ- এই তোরা এখানে আর পুরা ক্যাম্পাসে আমি তোদের খুজতেছি


শিশিরঃ- কেন কী হয়েছে 


আকাশঃ- কিছু না,চল নাস্তা করবো


শিশিরঃ- ওকে চল


এরপর আমরা ক্যান্টিনে গেলাম নাস্তা করতে, এমন সময় দেখি কেয়া ক্যান্টিনে এসেছে কিন্তু একা মেঘনা আসে নি,


শিশিরঃ- তোরা নাস্তা কর আমি একটু আসি


রিয়াদঃ- কই যাবি


শিশিরঃ- এখুনি আসতেছি


রিয়াদঃ- ওকে তাড়াতাড়ি আসবি 


এরপর আমি কেয়ার কাছে গেলাম


কেয়াঃ- কী জনাব,কিছু বলবেন


শিশিরঃ- হুম তোর একটু হেল্প লাগবে


কেয়াঃ- তা বলেন আমি আপনার জন্য কী করতে পারি


শিশিরঃ- মেঘনার সাথে লাইন করিয়ে দে না


কেয়াঃ- ওরে বাবা,আমি পারবো না 


শিশিরঃ- কেন


কেয়াঃ- মেঘনা যা রাগি আমাকে মেরে তক্তা বানাবে


শিশিরঃ- তোকে কিছু বললে আমি আছি তো


কেয়াঃ- আমি পারবো না,তুই পারলে কর গিয়ে 


শিশিরঃ- এই তুই আমার বন্ধু, একটু হেল্প করতে পারবি না


কেয়াঃ- বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে কোনো লাভ নেই জনাব, আপনি আপনার কাজ করেন আমি গেলাম


শিশিরঃ- ওকে যা,আমিই করবো


কেয়াঃ- এই তো ভালো ছেলে


শিশিরঃ- হুম 


এরপর কেয়া চলে গেলো, আমিও ক্যান্টিনে চলে গেলাম 


চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post