গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে... 

পর্বঃ- ১৭


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir


সকালে ঘুম ভাঙলো নিলার মিষ্টি সুরের ডাক শুনে


নিলাঃ- এই উঠো


শিশিরঃ- এখন না,একটু পর


নিলাঃ- না এখুনি উঠো,আজ মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা না


শিশিরঃ- হুম,যাবো তো


নিলাঃ- তাহলে উঠো তাড়াতাড়ি 


শিশিরঃ- ওকে তুমি যাও, আমি আসতেছি 


এরপর উঠে ফ্রেশ হয়ে এলাম,দেখছি মা আর নিলার খাবার নিয়ে বসে আছে


মাঃ- এতো দেরি করিস কেন,তাড়াতাড়ি খেয়ে নে


শিশিরঃ- তোমরাও তো খাও নি


নিলাঃ- (মুচকি হেঁসে) হুম মা


মাঃ- ঠিকআছে আমরাও শুরু করছি


খাওয়া দাওয়া শেষ করে,সবাই রেডি হচ্ছি মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্য 


নিলাঃ- মা আমার হয়ে গেছে 


মাঃ- আমার, শিশিরের হয়েছে কী


শিশিরঃ- আমার তো অনেক আগেই শেষ,আমি তো আর তোমাদের মতো সারাদিন সাজগোছ করি না


নিলাঃ- মা, দেখো না তোমার ছেলে কী বলছে


মাঃ- ঐ তুই সব সময় আমার মেয়ের পিছনে লাগিস ক্যান


শিশিরঃ- হ,ও তোমার মেয়ে,আর আমি বুঝি পর


মাঃ- রাগ করিস কেন,তুই তো আমার লক্ষী সোনা


এরপর সবাই গাড়িতে করে মামার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম


নিলাঃ- এই গ্রামটা খুব সুন্দর 


মাঃ- হ্যা মা,আসলেই অনেক সুন্দর আমাদের এই গ্রাম


নিলাঃ- তুমি আমাকে এতোদিন বলো নি কেন (আমাকে উদ্দেশ্য করে) 


শিশিরঃ- বলি নাই,বেশ করেছি 


নিলাঃ- মা দেখো আমার ছেলে কী ভাবে কথা বলছে 


মাঃ- তুই চুপ করবি (আমাকে উদ্দেশ্য করে)


এরপর মামার বাড়িতে চলে গেলাম, সবাই খুব খুশি হয়েছে আমাদের দেখে,


মামিঃ- দেখি তো আমার বউ মাকে দেখি


নিলাঃ- (লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে আছে) 


মাঃ- দেখ ভালো করে


মামিঃ- মাশাআল্লাহ, তোমার ছেলে পছন্দ আছে


মামাঃ- দেখতে হবে ভাগিনাটা কার


মামিঃ- হয়েছে হয়েছে তোমাকে আর লাফাতে হবে না


তিশাঃ- কেমন আছিস শিশির


শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো (তিশাকে দেখে কিছুটা অবাক হলাম,কেননা ওর তো বিয়ে হয়ে গেছে, তাহলে সে এখানে কী করছে,আবার ভাবছি,হয়তো বেড়াতে এসেছে)


মামিঃ- তিশা তুই বউ মা,ও শিশিরকে নিয়ে ওদের রুমটা দেখিয়ে দে,অনেক দুর থেকে এসেছে একটু বিশ্রাম করুক


তিশাঃ- ওকে


মামিঃ- আপা তুমি আমাদের সাথে চলো 


রুমে গেলাম, এরপর তিশা চলে গেলো ফ্রেশ হয়ে দুজনের বসে আছি,আর দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া করতেছি


এমন সময় তিশা এলো....


তিশাঃ- ঐ শিশির তোদের মা ডাকছে,খাবার রেডি


শিশিরঃ- তুই যা আমরা আসতেছি 


তিশাঃ- এখুনি চল


নিলাঃ- তুমি যাও বোন,আমরা আসতেছি


এরপর নিচে গেলাম,দেখছি সবাই আমাদের জন্য বসে আছে,খাবার দিচ্ছে সব আমাকে আর নিলাকে


শিশিরঃ- এতো খেতে পারবো মামি


তিশাঃ- খেতে হবে সব


নিলাঃ- বোন হয়েছে আর পারবো না


মামিঃ- কী হয়েছে, এখনো তো কিছুই খেলে না


ওফ,জামাই আদর করে খাওয়াচ্ছে, খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আর নিলা রুমে গিয়ে শুয়ে আছি, আর মা মামা মামিদের সাথে গল্প করতেছে


নিলা আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে,এমন সময় তিশা জানলা দিয়ে উকি মেরে দেখছি আমরা কী করছি


নিলাকে আমার বুকে দেখে তিশার মন খারাপ হয়ে গেলো 


তিশাঃ- (মনে মনে--- কেন শিশির তুই আমাকে বিয়ে করলি না,কী দেখে ছিলি তুই ঐ নিলার মধ্যে যার কারণ তুই আমাকে বিয়ে করলি না,আমার বুকটা যে তোর শূন্যতা ছিড়ে যাচ্ছে, কেন তুই আমার সাথে এমনটা করলি কেন কেন কেন)


বিকালে ঘুম থেকে উঠে তিশাকে সাথে নিয়ে নিলা আর আমি গ্রামে ঘুরতেছি, সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে গেলাম 


নিলা মামি ও মায়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছে, আর আমি আমার রুমে একা একা শুয়ে মোবাইল গেম খেলতেছি,হাঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো আর রুম অন্ধকার হয়ে গেলো 


তাই আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি,একটু পর আমার বুকে কারো উপস্থিত টের পেলাম,আমি নিলা মনে করে জড়িয়ে ধরলাম


হঠাৎ দেখি আমাকে পাগলের মতো কিস দেওয়া শুরু করে দিয়েছে, আমিও বাঁধা দিচ্ছে না,কেননা আমার বউ তো আমাকে কিস দিতে পারে 


হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো,কিন্তু একি এটা তো নিলা নয়,এটা তিশা আমি তো পুরা অবাক হয়ে গেলাম


শিশিরঃ- তুই এখানে


তিশাঃ- কেন,আমি বুঝি আসতে পারি না


শিশিরঃ- পারিস,কিন্তু তুই আমাকে কিস করতে পারি না,তুই জানিস আমি বিয়ে করেছি, আর তোরও তো বিয়ে হয়ে গেছে 


তিশাঃ- আমার কোনো বিয়ে হয় নি


শিশিরঃ- তাহলে ঐদিন যে তোর বিয়ে হলো


তিশাঃ- সেদিন আমার বিয়ে ছিলো না,আমরা একটা প্লেন করে তোকে এখানে আনতে চেয়ে ছিলাম,যদি তুই আসতি তাহলে জোর করে তোকে বিয়ে করে নিতাম,কিন্তু তুই আসলি না,আর আমার জায়গা দিয়ে দিলি ঐ নিলাকে


শিশিরঃ- তোর জায়গা মানে??


তিশাঃ- জানিস না তুই, আমার জায়গা কী,এই তুই আমার সাথে কেন এমনটা করলি,কী নেই আমার মধ্যে যা ঐ নিলার মধ্যে আছে,আমি কী তোকে ভালোবাসতে পারতাম না,তুই কেন আমাকে বিয়ে করলি না


শিশিরঃ- তিশা এসব তোর পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়,তুই এখান থেকে যা নিলা দেখলে খারাপ ভাববে


তিশাঃ- যা ইচ্ছে ভাবুক, আমার জানকে কেড়ে নিলো ঐ ডাইনি আমি ওকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেবো


শিশিরঃ- ঠাসসসস ঠাসসসসস, তোর সাহস তো কম না,তুই আমার জানকে মারতে চাস


তিশাঃ- হে হে চাই,ঐ মেয়ের জন্য তুই আমাকে বিয়ে করলি না (কান্না করে)


হঠাৎ করে নিলার আগমন....


চলবে... 


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন....

Post a Comment

Previous Post Next Post