গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে... 

পর্বঃ- ৯


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir


বাসায় গিয়ে দেখি, গ্রাম থেকে মামা এসেছে,আমি গিয়ে মামাকে সালাম দিলাম


মামাঃ- শিশির কেমন আছো 


শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো,আপনি?


মামাঃ- আমিও ভালো 


মাঃ- চলো সবাই,খাবার খেতে 


এরপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম


মাঃ- শিশির তোর মামা তিশাকে নিয়ে যেতে এসেছে


শিশিরঃ- কেন? ওর কী কোনো কাজ আছে 


মামাঃ- না বাবা, সামনে তিশার বিয়ে


শিশিরঃ- বলো কী মামা,তাহলে তো বেশ মজা হবে


তিশাঃ- ঐ কী মজা হবে 


শিশিরঃ- তোর বিয়েতে


তিশাঃ- আমার বিয়ে মানে


শিশিরঃ- মামা বলেছে


তিশাঃ- বাবা,শিশির কী বলছে এসব


মামাঃ- কিছু না,তুই তৈরী হয়ে নে, আমরা চলে যাবো


তিশাঃ- শিশিরকেও যেতে 


শিশিরঃ- আমি পারবো না


মাঃ- তুইও যা 


শিশিরঃ- পারবো না


তিশাঃ- তুই যাবে বলে ছিলি না


শিশিরঃ- এখন না পরে যাবো


এরপর মামা ও তিশা চলে গেলো, আমার রুমে গিয়ে শুয়ে গেলাম,ঘুন ভাঙলো সন্ধ্যা হয়ে গেছে, তাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বাহিরে গেলাম


বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম রাতে বাসায় ফিরে গেলাম


মাঃ- এতো রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি 


শিশিরঃ- বন্ধুদের সাথে 


মাঃ- এতো রাত পর্যন্ত বাহিরে থাকা ভালো নয়


শিশিরঃ- এতো রাত কোথায় 


মাঃ- কয়টা বাজে দেখতো


দেখলাম ১২ টা বেজে গেছে, তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চলে গেলাম,রুমে গিয়ে দেখি টেবিলে খাবার, মা আছে বলেই, তাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম 


এরপর সকালে নাস্তা করে,পাশের ভার্সিটিতে গিয়ে, সেই ভার্সিটির শিক্ষকের সাথে দেখা করলাম,ওনাকে কিছু বলতে হয় নি,ফাইলটা দিতেই ওনি সব বুঝে গেছে


তাই সেখানে ক্লাস করতেছি,দুই দিন হয়ে গেছে,এদিকে দুই দিন আমাদের ভার্সিটিতে আমি না যাওয়ায় নিলা আপুর মাথা গরম হয়ে গেছে, তাই নিলা আপু রিয়াদের কাছে গেলো


নিলাঃ- ঐ শিশির কোথায়


রিয়াদঃ- জানি না


নিলাঃ- তুই এসব জানিস, দুই দিন শিশিরের কোনো খবর নেই, ফোন দিলেও রিসিভ করে না


রিয়াদঃ- সত্যি জানি না


নিলাঃ- সত্যি করে বল,না হলে তোর অবস্থা খারাপ করে দিবো (কলার ধরে) 


এরপর রিয়াদ ভয় পেয়ে সব বলো দিয়েছে, এসব কথা শুনে নিলা আপুর সোজা আমি যে ভার্সিটিতে গেলাম,সেখানে চলে এলো


আমি সেখানে নতুন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে,এমন সময় নিলা আপু এসে হাজির


নিলা আপুকে দেখে সবাই চলে গেলো


নিলাঃ- ঐ তুই এসব কী শুরু করেছিস


শিশিরঃ- আমি আবার কী করলাম


নিলাঃ- তুই এখানে কেন


শিশিরঃ- পড়তে এসেছি


নিলাঃ- আমাদের ভার্সিটিতে কী পড়া হয় না


শিশিরঃ- হয়


নিলাঃ- তাহলে তুই এখানে কেন


শিশিরঃ- এখানে কেউ আমাকে বিরক্ত করে না


নিলাঃ- তার মানে, তুই আমার জন্য এখানে চলে এসেছিস


শিশিরঃ- হুম


নিলাঃ- আমার মাথা গরম করিস না,চল এখান থেকে 


শিশিরঃ- যাবো না


নিলাঃ- তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি


শিশিরঃ- এসব কী বলছো


নিলাঃ- তোকে না পেলে, এ জীবন রেখে কী হবে


শিশিরঃ- দেখুন,আপনি শুধু শুধু পাগলামি করছেন


নিলাঃ- আমি তোকে চাই 


শিশিরঃ-.... 


নিলাঃ- চুপ করে আছিস কেন 


শিশিরঃ- দেখুন,আমার লেখাপড়া শেষ করে,চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না


নিলাঃ- আমি এতো কিছু জানি না


শিশিরঃ- আপনি বুঝার চেষ্টা করুন


নিলাঃ- তোর সাথে কথা বলে লাভ নেই,তোর মাকে বলবো


এই নিলা আপু আমাকে জোর করে নিয়ে এসেছে আমাদের ভার্সিটিতে, আমাকে দেখে রিয়াদ বললো


রিয়াদঃ- কীরে তুই এখানে


শিশিরঃ- আগে বল, আমার ব্যাপারে নিলা আপুকে কে বলেছে 


রিয়াদঃ- আমি জানি না


নিলাঃ- কেন তুই তো বলেছিস


শিশিরঃ- রিয়াদ (চিৎকার করে)


নিলাঃ- চলো,আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে 


শিশিরঃ- আপনি গিয়ে নাস্তা করে আসুন


ইতিঃ- শিশির, তোমার জন্য নিলা আপু দুই দিন পর্যন্ত কিছু খায় নি


শিশিরঃ- কী বলছো এসব


ইতিঃ- সত্যি বলছি


শিশিরঃ- আপু চলুন


নিলাঃ- ঐ তুই আমাকে আপু বললি কেন


শিশিরঃ- তো কী বলবো 


নিলাঃ- আমার নাম নেই


শিশিরঃ- বাদ দিন এসব কথা,এখন চলুন তো


এরপর সবাই মিলে নাস্তা করে বের হলাম... 


চলবে...


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 


কাজের জন্য আজকের পর্ব একটু ছোট হলো

Post a Comment

Previous Post Next Post