গল্পঃ- ভাবির ছোট বোন
পর্বঃ- ১৪
লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir
কলেজে গিয়ে দেখি রাকিব ও রিয়াদ আরও কয়েক জন বন্ধু নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে
রিয়াদঃ- সবাই চুপ যাও,আমাদের নায়ক এসেছে
শিশিরঃ- শালা থাপ্পড় দিবো একটা, আমি নায়ক হলাম কখন
রাকিবঃ- নায়ক নয় তো কী?
আকাশঃ- কেমন আছিস শিশির, কতদিন পর তোকে দেখছি
শিশিরঃ- তুই শালা কোথায় গিয়েছিলি এতোদিন
আকাশঃ- কি করবো বল,বাবা একা অফিসের কাজ সামাল দিতে পারছে না, এজন্য আমাকেও সময় দিতে হয়
শিশিরঃ- ওহ
রিয়াদঃ- তুই নাস্তা করেছিস
শিশিরঃ- হ্যা, তোরা করেছিস
রাকিবঃ- না,আমরা তো তোর জন্য অপেক্ষা করছি
শিশিরঃ- সরি রে,আসার সময় মা নাস্তা দিয়ে ছিলো
আকাশঃ- এসব কোনো ব্যাপার না,চল আজ তোদের আমি নাস্তা করাবো
কাজল(সিনিয়র আপু)ঃ- এই তোদের মধ্যে শিশিরকে (ফিছন থেকে)
শিশিরঃ- কেন? শিশিরকে আপনার কী প্রয়োজন
রাকিবঃ- এই সম্মান দিয়ে কথা বল, আমাদের সিনিয়র আপু
রিয়াদঃ- সরি আপু, আসলে আপনাকে চিনতে পারে নি
শিশিরঃ- আমি শিশির, বলেন কী বলবেন
কাজলঃ- চল আমার সাথে
শিশিরঃ- কোথায়?
কাজলঃ- ইতি আপু তোকে ডাকছে
আকাশঃ- সর্বোনাশ, এই ইতি নম্বর ওয়ান শয়তান মেয়ে, তুই কিছু করেছিস নাকি (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
শিশিরঃ- আমি তো ওনাকে চিনিও না
রিয়াদঃ- কাজল আপু, আপনি একটু দেখবেন অকে যেন কিছু না করে
কাজলঃ- আমি এতো কিছু জানি না,আমাকে ডাকতে বলেছে,আমি ডাকছি বাকিটা ওর ব্যাপার
রাকিবঃ- তুই যাবি না
শিশিরঃ- আরে এতো ভয় পাচ্ছিস কেন? ওনি কী আমাকে মেরে ফেলবে নাকি
রিয়াদঃ- হ চাইলে তাই পারবে, ওদের অনক টাকা, টাকার জোরে সব করতে পারে
শিশিরঃ- আচ্ছা তোরা চিন্তা করিস না, কিছু হবে না
কাজলঃ- তাড়াতাড়ি চল
শিশিরঃ- তোরা গিয়ে নাস্তা কর,আমি আসতেছি
আমি কাজল আপুর সাথে যাচ্ছি এমন সময় কাজল আপু বললো
কাজলঃ- দেখ ভাই তোর জন্য আমার খুব মায়া হচ্ছে, তুই যদি আমাকে সত্যি কথা বলিস তাহলে আমি তোকে বাচানোর চেষ্টা করতে পারি
শিশিরঃ- কী সত্যি কথা
কাজলঃ- তুই কী ইতি আপুকে কিছু বলেছিস
শিশিরঃ- না আপু,আমি তে ওনাকে চিনিও না
কাজলঃ- সত্যি বলছিস
শিশিরঃ- হ্যা
★★[ এই গল্পের লেখক Md Monir Uddin Shisir কিছু লোক এই গল্প কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়, তাদের এড়িয়ে চলুন]★★
কাজলঃ- তাহলে তুই কিছু চিন্তা করিস না
কথা বলতে বলতে গেলাম, কলেজের দক্ষিণ পাশে বাগানের কাছে সবাই আছে
ইতিঃ- এই এটা তুই কাকে ডেকে এনেছিস
কাজলঃ- কেন? আপনি তো বলেছেন শিশিরকে ডেকে আনতে
ইতিঃ- এর নাম শিশির
কাজলঃ- হ্যা
ইতিঃ- এই এদিকে আয়
শিশিরঃ- জ্বি বলেন (এগিয়ে গিয়ে)
ইতিঃ- তোর নাম শিশির
শিশিরঃ- জ্বি হ্যা
ইতিঃ- ঠাসসস ঠাসসস ( থাপ্পড় দিলো)
শিশিরঃ- আপনি আমাকে মারছেন কেন?
ইতিঃ- এখানে পড়তে এসেছিস নাকি গুন্ডামি করতে এসেছিস
শিশিরঃ- মানে কী বলছেন আপনি
ইতিঃ- এই রিয়া দেখতো এই ছেলে কিনা যে তোকে বিরক্ত করে
রিয়াঃ- এটাকে একে তো আমি চিনিও না
শিশিরঃ- সত্যতা যাচাই না করেই আপনি আমাকে মারলেন
কাজলঃ- সরি ভাই আপু বোঝতে পারে নি
শিশিরঃ- হে তাই তো, আপনারা বুঝতে পারবেন না,আপনারা ভুল করবেন আর শাস্তি পাবো আমরা
রিয়াঃ- এই ইতি, তুই এটা কী করেছিস এভাবে কেউ কাউকে থাপ্পড় মারে,হাতে চাপ বসে গেছে
সানজিদাঃ- এমনিতেই গালটা টমেটোর মতো লাল,তুই আরও লাল করে দিয়েছিস, আর একটু জোরে হলে তো রক্ত চলে আসতো
শিশিরঃ- হয়েছে আমি আপনাদের নাটক দেখতে আসি নি,আপনি সরি বলেন (ইতিকে উদ্দেশ্য)
ইতিঃ- সরি
শিশিরঃ- এরপর থেকে সত্যতা যাচাই না করে কারো গায়ে হাত তুলবেন না,আসি
এই বলে আমি চলে গেলাম
সানজিদাঃ- তুই ছেলেটা বলাতে সরি বলে দিলি
ইতিঃ- এরকম একটা কিউটের ডিব্বার গায়ে কেউ হাত তুলে,কিন্তু রিয়াকে বিরক্ত করে শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারি নি
কাজলঃ- এজন্য সরি বলতে হবে।
রিয়াঃ- ইতি তুই কিন্তু ঠিক বলেছিস,আল্লাহর সৃষ্টি কত সুন্দর, এই ছেলেটাকে দেখ কোনো কিছুতেই কম নেই
সানজিদাঃ- হুম তোরা ঠিক বলেছিস, এরকম কাউকে লাইফ পাটনার হিসাবে ফেলে আর কিছু চাওয়ার থাকে না
ইতিঃ- এই হয়েছে, আর সামনে এগোবি না
সানজিদাঃ- কেন কী হয়েছে??
ইতিঃ- সেটা আমার ব্যাপার
এভাবে তারা কথা বলছে আর আমি আমার বন্ধুদের কাছে চলে গেলাম
চলবে...
বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Post a Comment