গল্পঃ- সিনিয়র ফাজিল মেয়ে... 

পর্বঃ- ৩


লেখকঃ- Md Monir Uddin Shisir


ভার্সিটিতে গিয়ে নিলা আপুকে দেখে আমি তো অবাক, নীল রঙের শাড়ীতে একদম নীলপরীর মতো লাগছে,আমি হা করে তাকিয়ে আছি


নিলাঃ- ঐ কী দেখছিস এভাবে (ধাক্কা দিয়ে)


শিশিরঃ- কই কিছু না 


নিলাঃ- এতো দেরি করলি কেন 


শিশিরঃ- আসলে আপু, নামাজ পড়ে একটু ঘুমিয়ে গিয়ে ছিলাম 


নিলাঃ- দাড়া তোর ঘুম বের করছি(আমার ঘাড় ধরে)


শিশিরঃ- আপু ছাড়ে দাও ব্যথা লাগছে তো


নিলাঃ- তোর ব্যথা লাগলে আমার কি


শিশিরঃ- এমন করলে আমি কিন্তু চলে যাবো


নিলাঃ- কী বললি,তোর সাহস তো কম না,আবার বল তো


শিশিরঃ- আমি আবার কী বলবো (হেসে)


নিলাঃ- চল


শিশিরঃ- কোথায় 


নিলাঃ- জাহান্নামে 😡😡 (রেগে)


শিশিরঃ- ওরে বাবা,আমি যাবো না, আপনি যান (হেসে)


নিলাঃ- এখন দিবো একটা (হাত নেড়ে)


শিশিরঃ- আচ্ছা চলো


নিলাঃ- একটা রিক্সা ডাক


শিশিরঃ- উঠুন (রিক্সা নিয়ে এসে)


রিক্সা চলতেছে,হঠাৎ নিলা আপু আমার কাদে মাথা রাখলো


শিশিরঃ- এই যে আপু কী হয়েছে আপনার 


নিলাঃ- কই কিছু না তো 


শিশিরঃ- তাহলে আমার কাদে মাথা রাখছেন কেন?


নিলাঃ- এমনি


শিশিরঃ- আপনার কী মাথা ব্যথা করছে?


নিলাঃ- না,কেন?


শিশিরঃ- না, আমার কাদে মাথা রাখছেন তাই....


নিলাঃ- তোর কাদে মাথা রেখেছি তো কী হয়েছে 😡😡


শিশিরঃ- আরে আপনি রেখে যাচ্ছেন কেন


নিলাঃ- আচ্ছা তুই কাউকে ভালোবাসিস


শিশিরঃ- কেন


নিলাঃ- না এমনি


শিশিরঃ- না,আমার যা চেহারা 


নিলাঃ- তোর চেহারা কী হয়েছে 


শিশিরঃ- দেখছো না কী বাজে


নিলাঃ- ঐ তোর এতো অহংকার কেন রে..


শিশিরঃ- এখানে অহংকার আসছে কেন


নিলাঃ- হ্যা,তুই এত্তো কিউট হয়েও,বলিস বাজে


কথা বলতে বলতে পার্কে চলে এসেছি


শিশিরঃ- আপু পার্কে কেন


নিলাঃ- তো কোথায় যাবি


শিশিরঃ- আপনি তো বলেছিলেন জাহান্নামে 


নিলাঃ- দিবো একটা 😡😡


পার্কের ভিতরে গেলাম, হঠাৎ নিলা আপু আমার হাত ধরে হাঁটতেছে,আমি তো অবাক, আপু এগুলো কী করে,আমারও ভালো লাগছে,তাই কিছু বলছি না


একটু পর নিলা আপু বললো...


নিলাঃ- ঐ তুই চুপ করে আছিস কেন


শিশিরঃ- আপনিও তো চুপ করে আছেন


নিলাঃ- তোর কেমন লাগছে এখানে 


শিশিরঃ- হুম ভালো


আমি নিলা আপু সাথে হাঁটতেছি,তখনই তিশা ফোন দিলো,আমি ফোনটা রিসিভ করলাম


তিশাঃ- ঐ কী করিস


শিশিরঃ- হাঁটতেছি


তিশাঃ- কোথায় 


শিশিরঃ- পার্কে


তিশাঃ- কী তুই পার্কে কার সাথে 


শিশিরঃ- আপুর সাথে 


আমি মেয়ের সাথে কথা বলছি দেখে,নিলার আপু রাগে জ্বলতেছে,আমার সেদিকে খেয়াল নেই


তিশাঃ- ঐ তোর আবার আপু কোথায় থেকে আসলো


শিশিরঃ- আরে ভার্সিটির,নিলা আপু


তিশাঃ- মেয়েটা কোথায় এখন


শিশিরঃ- আমার পাশে


তিশাঃ- তুই এখুনি চলে যা


নিলাঃ- ঐ তুই কোন মেয়ের সাথে কথা বলছিস (ফোনটা কেড়ে নিয়ে)


শিশিরঃ- আরে আমার মামাতো বোন


নিলাঃ- ঐ তোকে বলে ছিলাম কোনো মেয়ের সাথে কথা না বলতে 


শিশিরঃ- আরে আপু, আমি তো বাহিয়ের কোনো মেয়ের সাথে কথা বলছিস না


নিলাঃ- আমি ফোন দিলে রিসিভ করসি না,আর যখন মামাতো বোন ফোন দিলো,রসের রসের কথা বলা হচ্ছে (রেগে) 


শিশিরঃ- সরি আপু


নিলাঃ- না তোর কোনো ক্ষমা নেই


শিশিরঃ- আচ্ছা বলেন কী করলে ক্ষমা হবে


নিলাঃ- তোকে কী শাস্তি দিবো তুই নিজেই বল


শিশিরঃ- এবারের মতে ক্ষমা করলে হয় না


নিলাঃ- না হয় না


শিশিরঃ- আচ্ছা আপনার যা ইচ্ছে করেন


নিলাঃ- তোকে (আমার চুল ধরে)


শিশিরঃ- হুম মারো


নিলাঃ- আচ্ছা তুই এত্তো কিউট কেন বলতো


শিশিরঃ-..... 


নিলাঃ- তোকে মারলে,তোর সুন্দর গালটা লাল হয়ে যাবে, এজন্য মারতে পারি না


শিশিরঃ- তো চুল ধরেছেন কেন?


নিলাঃ- চলো বাসায় যাবো (চুল ছেড়ে দিয়ে)


এরপর বাসায় চলে গেলাম, রাতে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি,সোনালী আপু ফোন দিলো


সোনালীঃ- ঐ কী খবর তোর


শিশিরঃ- ভালো


সোনালীঃ- আজ নিলার সাথে কোথায় গিয়ে ছিলি 


শিশিরঃ- পার্কে


সোনালীঃ- ওহ,ভালোই তো প্রেম করছিস 


শিশিরঃ- এই যে আপু কী বলছেন এসব


সোনালীঃ- কেন? তুই নিলাকে ভালোবাসিস না


শিশিরঃ- আরে আপু কি যে বলেন,নিলা আপু আমার সিনিয়র আমি ওনাকে ভালোবাসতে যাবো কেন


সোনালীঃ- তাহলে তুই নিলার সাথে পার্কে গেলি কেন


শিশিরঃ- আমি কী করবো,জোর করে নিয়ে গেছে


তখনই নিলার আপুর ফোন,আমার নম্বর ওয়েটিং দেখে নিলা আপুর মাথা গরম হয়ে গেছে 


সোনালীঃ- তাই নাকি


শিশিরঃ- আচ্ছা আপু,নিলা আপু কল দিয়েছে, আপনি ওই দিক থেকে কেটে দিন তো


সোনালীঃ- বলতে না বলতেই ফোন,বাবা বা,তোদের তুলনা হয় না,চালিয়ে যা


সোনালী আপু ফোনটা কেটে দিলো,আমি নিলা আপুর ফোন রিসিভ করলাম


নিলাঃ- ঐ তুই আজ আবার কার সাথে কথা বলছিস 


শিশিরঃ- সোনালী আপু ফোন দিয়ে ছিলো


নিলাঃ- সোনালী তোকে ফোন দিয়েছে? 


শিশিরঃ- হুম


নিলাঃ- ওকে, কাল ভার্সিটিতে হবে সে বিষয়ে কথা


শিশিরঃ- ওকে


নিলাঃ- খাওয়া দাওয়া করছিস


শিশিরঃ- না


নিলাঃ- এখনো না খেয়ে কী করসি


শিশিরঃ- পড়তেছি


নিলাঃ- এতো পড়তে হবে না,খেয়ে ঘুমিয়ে যা


শিশিরঃ- ওকে


এরপর খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম, পরদিন ভার্সিটিতে গেলাম,গিয়ে দেখি সবাই আড্ডা দিচ্ছে 


আমি সেদিকে না তাকিয়ে ক্লাসে চলে যাচ্ছি... 


নিলাঃ- ঐ শিশির এদিকে শুন


শিশিরঃ- হুম আপু বলেন (সেখানে গিয়ে)


নিলাঃ- সোনালী তুই নাকি কাল রাতে শিশিরকে ফোন দিয়ে ছিলি 


সোনালীঃ- কই না তো


শিশিরঃ- এই আপু আপনি মিথ্যা বলছেন কেন?


নিলাঃ- ঐ সোনালী কী বলছে 😡😡 (আমাকে উদ্দেশ্য করে)


শিশিরঃ- আপু, সোনালী আপু মিথ্যা বলছে


সোনালীঃ- ঐ আমি মিথ্যা বলবো কেন


নিলাঃ- দাড়া আজ তোকে মেরেই ফেলবো (আমার ঘাড় ধরে)


শিশিরঃ- নিশি আপু বাঁচাও


নিশিঃ- আমি এতে নাই বাবা


শিশিরঃ- আপু ছাড়ে দাও লাগছে তো


নিলাঃ- না আজ তোর ক্ষমা নেই,সত্যি করে বল কার সাথে কথা বলেছিলি


শিশিরঃ- সত্যি বলছি, সোনালী আপু ছিলো


সোনালীঃ- ঐ তুই এতো মিথ্যা বলসি কেন


শিশিরঃ- এ (কান্না করে)


নিলাঃ- একশ বার কান ধরে ওঠবস কর


শিশিরঃ- আপু একটু কম হয় না


নিলাঃ- কথা বললে বাড়বে


আমি আর কিছু না বলে ওঠবস করতে শুরু করে দিলাম, বেশি দেয় নি কয়েক বার দেওয়ার পর


নিলাঃ- হয়েছে, এবার থাম


শিশিরঃ- আমি শেষ (মাটিতে শুয়ে পড়ে)


নিলাঃ- ঐ তোর কী হয়েছে 


শিশিরঃ-....... 


নিলাঃ- ঐ কথা বলছিস না কেন


শিশিরঃ-..... 


নিলাঃ- প্লিজ শিশির কথা বল (কান্না করে)


শিশিরঃ-..... 


নিলাঃ- আর কোনোদিন হবে না,প্লিজ এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দে


শিশিরঃ- 🤣🤣🤣🤣🤣


নিলাঃ- শয়তান, আমি জানিস আমি কত ভয় পেয়ে ছিলাম (চড় মেরে)


শিশিরঃ- 😀😀


নিলাঃ- চলো এবার 


শিশিরঃ- কোথায়


নিলাঃ- শাস্তি দেওয়ার পর তোকে প্রতিদিন কোথায় নিয়ে য়ায়


শিশিরঃ- ক্যান্টিনে


নিলাঃ- চলো তাহলে


চলবে....


বিঃদ্রঃ- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন....

Post a Comment

Previous Post Next Post