পিচ্চি চাচাতো বোন যখন অভিমানী বউ- 

 ✔শেষ পার্ট✔


♦পরেরদিন এনগেজমেন্টের দিন♦


♠সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা♠


♠সারা রিসোর্ট সুসজ্জিত করে সাজানো। প্রত্যেকটা মানুষ আনন্দে মশগুল। খুবই সুন্দর লাগছে পরিবেশটাকে। সব মানুষ যেখানে এনগেজমেন্ট হচ্ছে__(হলরুম)__সে যায়গায়। অবশেষে তাদের বাগদান শেষ হলো। শুধু মাএ বাগদান হয় নাই তার সাথে আকদ ও হয়েছে। বলতে গেলে সম্পূর্ণ বিয়েই হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু মাএ বিয়ের অনুষ্টানের বাকি। কাজী সাহেবের মাধ্যমে তাদের আকদ করানো হলো। রেজিস্ট্রার পেপারে সাইন করে ৩ বার কবুল বলে একজন আরেকজনের সঙ্গী হয়ে গেলো তারা।♠


♠পরের দিন♠


♠আজ মেহেদি অনুষ্ঠান__সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। চারদিকটা উৎসব মুখরিত পরিবেশ বিরাজ মান। হবেই না কেন মেহেদী অনুষ্টান বলে কথা। ছাদের এক পাসে খুব সুন্দর করে স্টেজ সাজানো হয়েছে আর পুরা ছাদ ডেকোরেশনে এক অপুর্ব দৃশ্যের মতো সাজানো হয়েছে__গায়ে হলুদ আর মেহেদী অনুষ্টানের জন্য। সব ছেলে মেয়েরা মেহেদী রংয়ের ড্রেসআপ করেছে। ছেলেরা মেহেদী কালারের পাঞ্জাবি। আর মেয়েরা মেহেদী কালারের শাড়ি পরিধান করেছে।__আজ ঝুমুর নীলা ও মিলিকেও মেহেদী রংয়ের পাঞ্জাব স্টাইলে সেলোয়ার-কামিজ পড়ানো হয়েছে। গরজিয়াস ভাবে স্ট্রোনের কাজ করা প্লাজু আর শর্ট কামিজ ও মাথায় বড় রকমের একই ভাবে কাজ করা দোপাট্টা। মেকআপ করা হয়েছে অনেক সুন্দরকরে। যার ফলে ওদের অনেক সুন্দর লাগছে বিশেষ করে ঝুমুরকে। রাফি তো একনজর দেখেই ওর হার্ট ব্লোক হবার উপক্রম।__আজ ওদের গায়ে হলুদ। তাই ওদেরকে হলুদ মাখিয়ে গোসল করার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো রিসোর্টের পিছনে থাকা বড় বাগানে। রাফি, নীলাশ,মিলি, যথাক্রমে ঝুমু,নীলা, মিলিকে হলুদ লাগালো। আবার ঝুমুরাও ওদেরকে লাগিয়ে দিলো। সবাই হলুদ মাখামাখি নিয়ে অনেক মজা করছে। অতঃপর গোসল করিয়ে ওদেরকে যার যার রুমে নিয়ে যাওয়া হলো।♠


♠পরেরদিন বিয়ের অনুষ্টান শেষে ঝুমু নীলা, মিলিকে আলাদা বাসর ঘরে নেয়া হলো।__সবাইকে আলাদা করে সবাই নিয়ে গেলোও। ঝুমুরকে রাফি কোলে করে নিয়ে এসেছে। কোলে করে নিয়ে এসে ঝুমুরকে বিছানায় ছুয়ে দিয়ে নিজে ঝুমুর পাসে কাত হয়ে আধাউবু হয়ে শুয়ে ঝুমুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বিছানা থেকে এক মুঠো গোলাপের পাপড়ি নিয়ে উপরে দিকে আস্তে করে ছেড়ে দিলো রাফি। পাপড়ি গুলা এক এক করে ঝুমুর চোখে মুখে গলায় পড়তে লাগলো। ঝুমুরকে খিচকে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে। ঘনঘন নিশ্বাস পড়ছে ওর। কেমন জানি এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যাচ্ছে ওর পুরা শরিরে। এ কেমন অনুভুতি তা ওর জানা নাই। রাফি এবার ঘোর লাগা অবস্থায় ঝুমুর গলায় পরে থাকা পাপড়ি গুলা সরিয়ে ওর গলায় মুখ গুজে দিলো। আস্তে করে একটা চুমু খেলো ঝুমুর গলায়। ঝুমুর চোখ বন্ধ করেই আছে। রাফি মাথা তুলে দেখলো ঝুমুর ঠোট গুলা কাপছে। ও আর লোভ সামলাতে না পেরে নিজের করে নিলো ঝুমুর ঠোট জোড়া। কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দিলো। ঝুমু চোখ খুলে রাফির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। ও আজকে রাফির ভালোবাসায় নিজেকে রাঙাতে চায়। হারিয়ে যেতে চায় রাফির মাধকত্তায়। গভির আবেগপূর্ণ চোখে তাকালো সে রাফির দিকে। সে চোখের চাওয়ায় আছে এক অদ্ভুত নেশা। ভালোবাসার নেশা সেটি।__রাফিও সেই মায়া ভরা চাহনিতে হারিয়ে যেতে লাগলো। এই দুই চোখের নেশায় রাফি বারংবার মরতেও রাজি। ঝুমুরের গলায় আস্তে করে নিজের মুখ গুজিয়ে দিলো_ঝুমুরও শক্ত করে রাফিকে নিজের সাথে আকড়ে ধরলো। আজ রাতটা যে তাদের ভালোবাসা ময় রাত। এভাবেই সে সারাজিবন রাফির সাথে ভালোবাসার মাখামাখি হয়ে থাকতে চায়। এই পবিত্র ভালোবাসা যে কখনো হারাবার নয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন আরেকজনকে এভাবে ভালোবেসে আগলে রাখবে সব সময়__সুখে থাকুক_ভালো থাকুক__এবং সব সময় একসাথে থাকুক ওরা ঠিক এভাবেই সারাজিবন__বেচে থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা গুলা__পূর্নতা যে পায় সেগুলা__ভালোবাবে কাটুক প্রিয়জনের সাথে সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে।


 ✔সমাপ্ত✔


©প্রিয় মানুষটাকে কখনো ভুল বুজে দুরে সরিয়ে না দিয়ে সারাজিবন এক পথের সাথি হয়ে চলার প্রতিজ্ঞা দিবেন__please__please©


সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পক্ষ থেকে। গল্পের সাথে থাকার জন্য। 

Post a Comment

Previous Post Next Post