গল্প জ্বিনের সংসার
পর্ব - ১৬
#লেখক__মোঃ__নিশাদ
কিহ সেই করুন ইতিহাস,, জান্নাতের কথায় সারফারাজ বলতে শুরু করলেন ____
____সারফারাজ - শোনো জান্নাত,, তোমার মাথার পিছনে একটা আঘাতের চিহ্ন আছে,, এটা কিভাবে হইছে জানো।
জান্নাত - না, মা বলেছে ছোট বেলার নাকি এই আঘাতটা পেয়েছি।
সারফারাজ - তোমার মা তোমাকে মিথ্যা বলেছে,, জান্নাত তোমার মাথায় আঘাত করেছে একটা জ্বিন। সেই জন্য তুমি পুরুনো সব স্রিতি হাড়িয়ে ফেলছো। সেই জন্য এখন আমাকে চেনোনা, আমি তোমার বর, ইকরা তোমারি মেয়ে এসব জানোনা।
জান্নাত - কিন্তু আমাকে কেনো জ্বিন আঘাত করতে জাবে,, আমার কি দোস ছিলো।
সারফারাজ - তোমার দোস তুমি আমার বউ ছিলে তাই,, জান্নাত শুনতে চেয়েছিলে না পুরুনো করুন ইতিহাস শোনো।
সারফারাজ - আমাদের এই জ্বিনদের রাজ্যে জ্বিন আছে এক থেকে দেড় লাখ এই এক থেকে দেড় লাখ জ্বিনের সর্দার ছিলেন আমার দাদা।
আমাদের এই জ্বিনদের রাজ্যোটা ছিলো একটা পরিবারের মত। জান্নাত তোমরা তো মানুষ তাই জ্বিনদের বিষয়ে তেমন কিছু জানোনা, আমাদের জ্বিন অনেক গোত্র আছে, নানা শ্রেণির জ্বিন আছে। নানা ধর্মের জ্বিন আছে।
একদিন কোন কারণে অন্য এক পিচাশ জ্বিনদের রাজ্যের সাথে আমাদের রাজ্যের জ্বিনদের যুদ্ধ শুরু হয়।
সেই যুদ্ধে,, আমরা জয়লাভ করেছি ঠিকি, কিন্তু অনেক জ্বিনদের হাড়িয়েছি, এই যুদ্ধে অনেক জ্বিন মারা গেছে, অনেকে আবার আহত হইছে।
সেই যুদ্ধে আমি সুধু আমাদের রাজ্যের অন্য জ্বিনদের হাড়াইনি, হাড়িয়েছি, আমার পরিবারের অনেককে।
সেই যুদ্ধে আমার দাদা যিনি এই রাজ্যের সর্দার ছিলেন। তিনি মারা জান, আরো মারা জান আমার মা ও বাবা। 😢
জান্নাত আমি সবাইকে হাড়িয়েছি,, ভাগ্য ভালো ওই পিচাশ জ্বিন গুলো তোমার উপরেও আক্রমণ করছিলো কিন্তু তুমি মরোনি, তোমার মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তুমি সব স্রিতি হাড়িয়ে ফেলছো।
জান্নাত, তুমি আহত হবার পর তোমাকে আমি তোমার বাড়িতে রেখে আসি।
তুমি এভাবে আহত হবার পর, তোমার মা বাবা আমার উপর রেগে আছে, ওনারা আর জ্বিন জাতীকে দেখতে পারেন না। সেই জন্য তোমার মা বাবা তোমাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে চান। এখন তুমি বলো আমার বউকে আমি অন্য কারো সাথে কিভাবে বিয়ে হতে দেই । তাই তোমার যেনো বিয়ে না হয় সেই জন্য অনেক কাহিনি করছি,, জান্নাত তোমার বিশ বছর পূর্ণ হবার জন্য আমার এখানে নিয়ে আসিনি, ওটা বাহানা ছিলো মাত্র
আমি তোমাকে এখানে তিনমাসের কথা বলে নিয়ে আসছি, কেনো জানো আমি ভাবছি আমার প্রসাদ আর জ্বিনদের রাজ্যো ঘুরে দেখলে তোমার স্রিতি ফিরে আসবে, সব মনে পড়ে জাবে।
কিন্তু তোমার কিছুই মনে পড়লো না। আফসোস তোমার সাথে সংসার করেও এখন তোমার চোখে আমি অচেনা।
এই কথাটা বলে, সারফারাজ কান্না করতে লাগলো।
এদিকে সারফারাজের মুখে এসব করুন ইতিহাস শুনে, জান্নাত নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেললেন।
জান্নাত কতক্ষন জ্ঞান হাড়িয়ে ছিলেন ও জানেনা। ওর যখন জ্ঞান ফিরলেন। তখন সে দেখলেন ইকরা তার পাশে বসে আছে।
ইকরাকে দেখে বুকে জড়িয়ে কান্নাত করতে লাগলেন, জান্নাত,নিজের মেয়ে অথচ নিজেই চিনেনা।
এরকম পরিস্থিতিতে সেখানে সারফারাজ আসলেন, সারফারাজ এসে জান্নাতকে বললেন।
সারফারাজ - জান্নাত, রেডি হও তোমাকে তোমার বাড়িতে রেখে আসবো। তুমি আমার বউ, আমার মনে তোমার জন্য ফিলিংস হয়, ভালোবাসা ও মায়া কাজ করে, কিন্তু আমার জন্য তোমার মনে কোন ফিলিংস নেই, না আছে কোন মায়া না ভালোবাসা। আমি এতদিনে বুঝে গেছি। তোমাকে এতদিন আমার রাজ্যে জোর পূর্বক আঁটকে রাখার জন্য দুঃখীত আমাকে মাফ করে দিও।
সারফারাজ দুঃখ প্রকাশ করলেন দুঃখের সাথে। এদিকে জ্বিনদের রাজ্যের অনেক জ্বিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনেক জ্বিন জান্নাতকে উদ্দেশ্য করে বললেন, রানী মা সারফারাজ সর্দার সব ঠিক বলছে, আপনি সর্দারের বউ আমাদের রানী মা। আপনি মনে করুন সব স্রিতি ফিরে আসবে। আপনি সর্দার ও আপনার মেয়ে ইকরাকে ছেড়ে জাবেন না।
সবার কথা শুনে সারফারাজ বললেন।
সারফারাজ - কেউ কিছু বলোনা, জোর করে ভালোবাসা হয়না। আমি জান্নাতকে এখনি রেখে আসবো।
জান্নাত - কিন্তু, আমি আজ জাবোনা। আমি এখানে কিছুদিন থাকতে চাই।
এদিকে জান্নাতের কথায় সারফারাজ কোন কথা শুনলেন না। সারফারাজ সামনে এগিয়ে এসে জান্নাতের কপালে হাত রাখতেই জান্নাতের আর কিছু মনে নেই।
জান্নাতের যখন হুস ফেরে তখন সে দেখেন সে তার রুমে পাশে ওর মা বাবা বসে আছে।
অনেকে বলেন পর্ব গুলা বড় করতে, কিন্তু হঠাৎ পর্ব বড় করলে পবলেম হয় রেছ করেনা। পর্ব বড় না করে একদিনে দুইটা পর্ব দিলে কেমন হয়।
পরের পর্ব আজ সন্ধা ৭ টায় পাবেন ইনশাআল্লাহ।
তারপর ____
Next____
Post a Comment