গল্প জ্বিনের সংসার

স্পের্শাল পর্ব - ১৫

#লেখক__মোঃ__নিশাদ


তিনদিন পর কি হতে চলেছে। 

সারফারাজ সব ধরনের আয়োজন করছে। জ্বিনদের রাজ্যে সবাই খুশি সারিদিকে আলোর ঝলকানি। 


এরি মাঝে কেঁটে গেলো তিনটা দিন__অবশেষে চলে আসলো বিয়ের দিন। 


বিয়ের দিন সকল জ্বিনেরা খুশি তাদের সর্দারের বিয়ের অনুষ্ঠানে, নানা রকমের খাবার দাবার বানানো হইছে, অনেক জ্বিন সমবিত হইছে সারফারাজ জ্বিনের প্রসাদে। 


 এদিকে জান্নাত, রুমে একা একা কাঁদছে, কারণ তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে করছে। 


জান্নাতের কান্না দেখে। ছোট ইকরা বললো। 


ইকরা - মামনি তুমি কাঁদছো কেনো। তুমি বুঝি বিয়েতে রাজি না। তুমি কেঁদনা আমি মামাকে বুঝিয়ে বলবো। 


 ইকরার কথার মাঝে সারফারাজ জ্বিন সেখানে আসলেন এসে বললেন। 


সারফারাজ - জান্নাত, এখনো রেডি হওনি, রেডি হয়ে নাও সবাই এসে গেছে তো। 


 জান্নাত - না আমি রেডি হবোনা বিয়ে ও করবোনা। 

সারফারাজ - কেনো এমন করছো,, নাও রেডি হয়ে নাও। 


 জান্নাত - আমাকে জোর করে বিয়ে করছেন। এতে কি হবে,, এতে কি আমার মন পাবেন। 


সারফারাজ - মন না পেলেও তোমাকে তো পাবো। 

জান্নাত - আমাকেও পাবেন না। আজ আমাকে বিয়ে করলে আমি নিজে নিজেকে মেরে ফেলবে, আমি মরে গেলে কিভাবে বিয়ে করবেন, কিভাবে আমি আপনার বউ হবো। 


 সারফারাজ - জান্নাত চুপ করো। 

জান্নাত - না চুপ করবোনা আমি বিয়ে করবোনা আপনার বউ হবোনা। 


সারফারাজ - তুমি এমনিতেই আমার বউ। অনেক আগে থেকে তুমি আমার বউ । কিহহ আমার কথা শুনছো, তুমি আগে থেকে আমার বউ। 😱


____সারফারাজ কথাটা বলে রেগে মুখ ঘুরিয়ে উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রইলেন। এদিকে সারফারাজের মুখে কথাটা শুনে জান্নাত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন। 


 জান্নাত - সারফারাজ,, কি বলছেন এসব। 

সারফারাজ - জান্নাত, আজ তোমার কাছে কিছু লুকাবোনা সব বলবো আজকে তোমাকে। 


____জান্নাত তোমার দাদা একজন কবিরাজ ছিলেন এটা কি জানো। 


জান্নাত - হ্যাঁ বাবার মুখে শুনেছি। 


সারফারাজ - তোমার দাদা কবিরাজ ছিলেন, সেই সুবাদে আমার দাদার সাথে কোন না কোন ভাবে তোমার দাদার বন্ধুরতো হয়। জ্বিনের সাথে মানুষের বন্ধুরতো। আমার দাদা ও তোমার দাদা বন্ধু হওয়ায় আমি দাদার সাথে মাঝে মধ্যে তোমাদের বাড়িতে যেতাম৷ 


জান্নাত তোমার হয়তো মনে নেই, ছোট বেলায় তুমি আর আমি দুজনে খেলার সাথি ছিলাম, জান্নাত ছোট বেলায় তুমি এই জ্বিনদের রাজ্যে অনেকবার আসছো তোমার হয়তো মনে নেই, কেনো মনে নেই একটু পর জানতে পারবা। 


 জান্নাত, তোমার সাথে সব সময় খেলা করতাম ঘুরাফেরা করতাম, তোমার আর আমার এমন বন্ধুরতো দেখে তোমার দাদা ও আমার দাদা ঠিক করেন, তুমি বড় হলে তোমার আমার বিয়ে হবে। 


এভাবে কাঁটতে থাকে দিন। কেঁটে যায় কয়েকটা বছর।। জান্নাত জানি বললে বিশ্বাস করবেনা তুমি যখন বড় হলে তোমার বয়স যখন সতেরো তখন তোমার আমার বিয়ে হয়। 😮


 কথা এখানেই শেষ নয়। তোমার আমার সুধু বিয়ে হয়নি, তোমার আমার একটা সন্তান আছে, জানো সেই সন্তানটা কে, সেটা আর কেউনা, তোমার পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে, ইকরা। 😯


 ইকরা তোমার আমার সন্তান। ও আমার ভাগনী নয়। ইকরা তোমার আমার মেয়ে। 


জান্নাত তুমি আমার বিবাহিত বউ। এইযে আজকে এত আয়োজন এটা বিয়ের জন্য না। এটা এমনিতে আয়োজন করে সবাইকে খাওয়াচ্ছি কারণ আমি সকল জ্বিনের সর্দার। 


সারফারাজের মুখে এসব কথা শুনে, জান্নাত পাথরের মত দাঁড়িয়ে রইলেন। 


এদিকে ছোট ইকরা, জান্নাতের পাশে এসে জান্নাতকে স্পর্শ করতেই জান্নাত চমকে উঠে সারফারাজকে উদ্দেশ্য করে বললেন। 


জান্নাত - সারফারাজ,, এসব আমি কি শুনলাম। তুমি যদি আমার বর হবা। ইকরা যদি আমাদের সন্তান হবে। তাহলে আমি এসব জানিনা কেনো। আমি তো তোমাকে বা ইকরাকে কাউকে আগে থেকে চিনিনা।


জান্নাতের কথায় সারফারাজ লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে বললো, এটা একটা করুন ইতিহাস বলতে গেলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। 


জান্নাত - কিহ, সেই করুন ইতিহাস, বলো আমি শুনবো। 


জান্নাতের কথায় সারফারাজ পুরুনো সেই করুন ইতিহাস বলতে শুরু করলো। কি সেই কথা পরের পর্বে জানতে পারবেন। 


Next_____

Post a Comment

Previous Post Next Post