#-পিচ্চি চাচাতো বোন যখন অভিমানি বউ-
✪পার্টঃ-০৭✪
-----নীলাঃ- Are you ready--ভাইয়া??
-----রাফিঃ--(না জানি কি না কি করবে)-- হুম আমি রেডি।
-----নীলাঃ- ওকে ডান--(ভাইয়ার চোখ খুলে দিলাম)--এবার উপরের দিকে তাকাও।
3rd person:- রাফি এবার আকাসের দিকে তাকালো তখনই কয়েকটা ফুলছড়ি উরে এসে আকাসে উড়ে গিয়ে শব্দ করে ফুটে উঠলো। এবং আকাসের বড় করে English এ লেখা উঠলো।
লেখা গুলা কয়েক সেকেন্ড পরে মিলিয়ে গেলো। লেখাটি মিলিয়ে যাবা৷ সাথে সাথে চারদিক আলোতে ভরে গেলো। সব লাইট জালানো হয়েছে। চারদিক থেকে পার্ট স্প্রে পড়ছে। আর উপর থেকে গোলাপি পাপড়ি পরছে বৃষ্টির মতো। আর রাফির নামে Birthday song বাজতাছে। বেলুন ফাটানোর শব্দে আর সিটি বাজানোর শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সারাটা চারপাস। রাফি তো এখনো শকড এর মধ্যে আছে। চারপাস থেকে তালে তাল মিলিয়ে সবাই বলে উঠলো--
রাফি লক্ষ্য করে দেখলো যে ওর আব্বু আম্মু মেঝো চাচা-চাচি, সেজো চাচা চাচি ছোট চাচা চাচি ওর দাদু দাদি নীলা জিনিয়া ইশিতা রিয়া মিলি তুষার সহ ওর সব ফ্রেন্ড সার্কেলরা উপস্থিত আছে। ঝুমা পিচ্চিটাও আছে এখানে।
-----রাফিঃ- ওয়াও এতো সুন্দর সারপ্রাইজ--Iam shocked.--(খুশিতে আত্মহারা হয়ে)
3rd person:- চারদিকে বেলুনের ছড়াছড়ি। গাছেও বিভিন্ন ধরনের লাইট জ্বলছে। অনেক সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে। রাফি সব থেকে বেশি খুশি হয়েছে ওর দাদা দাদিকে দেখে। এক দৌড়ে গিয়ে ওর দাদু কে জরিয়ে ধরলো।
-----রাফিঃ- দাদু--What a surprise for me? দাদু তুমি এখানে?
-----দাদুঃ- হুম দাদু ভাই। তোমার Birthday আর আমরা আসবো না সেটা কি করে হয় দাদু ভাই।
-----রাফিঃ- এটা আমার জিবনের সব থেকে বড় সারপ্রাইজ। আমি অনেক অনেক অনেক খুশি আজকে।
-----দাদিঃ- আমাকে কি ভুলে গেলি দাদু ভাই।
-----রাফিঃ- তোমাকে কি করে ভুলবো বলো My sweet heart.--(জরিয়ে ধরে)
-----নীলাঃ- ভাইয়া সারপ্রাইজ কেমন লাগলো।
-----রাফিঃ- ওয়াও জাস্ট অসাধারণ। আচ্ছা একটা কথা বল তো এসব প্লান কে করেছে?
-----জিনিয়াঃ- কম বেশি আমরা সবাইই এ প্লান এর সাথে জরিত। কিন্তু আইডিয়া আর সব থেকে বেশি cradit রিয়া আপুর।
3rd person:- নীলা চুপ করে রয়েছে। আর মনে মনে ঝুমুর এর চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে। যে কিনা কিছু করলো না সেই কি না cradit নিলো। সেই না কি সব করেছে।
-----রাফিঃ--(একটু ঘটকা লাগলো। কারন রিয়া যে আলসের ঢেকি ওর দ্বারা এসব কিভাবে সম্ভব?) --এসব রিয়া করেছে?
-----ইশিতাঃ- হুমম ভাইয়া এসব কিছু সব রিয়া আপুই করেছে।
-----রাফিঃ- (অবিশ্বাস্য--But তবুও বিশ্বাস করতে হচ্ছে)--O my godness. Thank you so much বোনু।--(রিয়ার গাল টেনে দিয়ে)
-----রিয়াঃ- It's my pleasure ভাইয়া--(খুশি হয়ে)
-----নীলাঃ- হয়েছে এখন এখান থেকে চলো কেক কাটতে হবে।
3rd person:- নীলা আর মিলি মিলে রাফিকে ধরে টেবিলের কিনারায় নিয়ে গেলো। যেখানে কেক রাখা ছিলো। টেবিলের সামনে ক্যান্ডেল লাইট দিয়ে রাফির নাম লেখা। টেবিলে দুইটি কেক আর কত গুলা চকলেট আর কোকাকোলা রাখা ছিলো। এসবই রাফির খুব প্রিয় আড্ডার সময় এর খাবার। কিন্তু রাফির অবচেতন মন তো শুধু শুধুই ঝুমুরকে খুজছে।
----রাফিঃ- সবাই আছে শুধু ঝুমুর ছাড়া। ও কোথায়?? আমাকে জন্মদিনের wise পর্যন্ত করলো না। এতো কিসের ভাব ওর যে সবাই এসেছে কিন্তু ও আসে নাই। আজকে দেখবো ওর কত ভাব কত Attitude--ওর সাহস কি করে হয় আমার সামনে Attitude দেখায়। ওকে আমি আজকে দেখে নিবো--(রাগের মাথায়)
3rd person:- অন্যদিকে ঝুমুর গাছের সাথে হেলান দিয়ে রাফির মুখের দিকে তাকিয়ে ওর মুখের Expression দেখছে। রাফিকে হাসতে দেখে আজকে ঝুমুরও অনেক অনেক Happy. সে সব সময় রাফিকে এমন হাসি খুশি দেখতে চায়। অতঃপর কেক কাটা আর খাওয়া দাওয়া শেষে বড়রা যার যার রুমে চলে গেলো। আর ওখানে ছেলেমেয়েদের সবার আড্ডার জমসাল বসলো। তখনই আবির নীলাকে প্রশ্ন করলো
-----আবিরঃ- আচ্ছা ঝুমুরকে তো দেখছি না নীলা ও কোথায়??
-----নীলাঃ- ওকে ওয়েট আমি দেখছি।
( নীলা ঝুমুর এর কাছে চলে গেলো)
-----নীলাঃ- ঝুমুর আর কত এসব করবি। এখন চল প্লিজ সবাই তোর অপেক্ষা করছে।
-----ঝুমুঃ- আমাকে তো এমনিতেই রাফি ভাইয়া দেখতে পারে না। আমি যাবার পরে যদি কোনো কিছু নিয়া সিনক্রিয়েট করে তবে কি হবে?
-----নীলাঃ- কিছু করবে না সব তোর মনের ভয়।
( এ বলে নীলা ঝুমুরকে আড্ডার জায়গায় নিয়ে আসলো)
-----নীলাঃ- এ হলো আমাদের ঝুমুর রানি।
-----ইরাদঃ- হাই ঝুমু? তুমি এতোক্ষণ কোথায় ছিলে??
-----আবিরঃ- আসলেই তো ঝুমুর তুই এতো সময় কোথায় ছিলি। সবাইকে আসার পর দেখলাম। কিন্তু তোকে দেখি নাই। মাএ দেখলাম কোথায় ছিলি?
-----ঝুমুঃ- আসলে একটু কাজ ছিলো তো তাই।
-----নীলাঃ- হয়েছে এবার বস তো।
( নীলা ঝুমুকে জোর করে বসিয়ে দিলো)
3rd person:- অন্যদিকে রাফি ঝুমুরকে খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছে। ঝুমুর একটা সাদা শার্টের সাথে নীল রং এর একটা স্কার্ফ। চুল গুলা ছেড়ে দেয়া। বেশি লাইটিং এর কারনে ওর মাথা ব্যাথা করে তাই কালো ফ্রেম এর চশমা পরে এসেছে। রাফির চোখ তো ঝুমুর ওপরেই আটকে আছে।
-----রাফিঃ---(আচ্ছা ঝুমুর এর চোখ মুখ এতো শুকনা লাগছে কেন?? কিছু খাওয়া দাওয়া করে নাই না কি?)
( নীলার কথায় রাফির ধ্যান ভাঙলো)
-----নীলাঃ- ভাইয়া এখন তো পার্ট শুরু হবে। নাচ গান সব কিছু হবে। আর এখন গান গাইবে ঝুমুর--(হাততালি দিয়ে)
-----ঝুমুঃ- কিহহহ--(রেগে)--আমি ওসব পারবো না।
-----সজিবঃ- আমি একবার ঝুমুর এর গান শুনেছিলাম এতো ভালো লেগেছিলো যা বলার বাহিরে। প্লিজ ঝুমু আবার গা না।
-----আবিরঃ- কি বলিস তাই না কি?? ওই ঝুমুর start করতো জলদি।
( সবাই ঝুমুরকে গাওয়ার জন্য চাপ দিতে লাগলো)
-----ঝুমুঃ- ওকে ওকে গাইতাছি। ওই নীলা যা তো আমার গিটারটা নিয়ে আয় তো।
( নীলা এক দৌড়ে ঝুমুর রুমে গিয়ে ওর গিটারটা নিয়ে এলো। এনো ওর হাতে দিলো)
-----নীলঃ- নে মহারানি এবার শুরু কর তো।---(হাপাতে হাপাতে)
( প্রতি উওরে ঝুমু একটা হাসি দিলো)
-----রাফিঃ-( আরে এটা তো ওই গিটার যেটা আমি ওকে দিয়েছিলাম। তখন ঝুমুর পায়ের দিকে নজর গেলো। দেখলাম খুব সুন্দর এক জোরা নুপুর পরে আছে। আরে এ নুপুরও তো ওকে আমি গিফট করে ছিলাম যখন ও class 5 এর গোল্ডেন A+ পাইছিলো। আমার দেয়া সব কিছু এতো যত্নসহকারে রেখেছে।কিন্তু কেন?)
3rd person:- ঝুমুর গিটার হাতে নিয়ে হালকা সুর তুলে রাফির দিকে তাকিয়ে গান শুরু করলো। গানটা শেষে করে মিটিমিটি চোখ খুলে তাকালো ঝুমুর। সবাই হাত তালি দিচ্ছে। আর নীলা এসে হালকা পিঠ চাপরানি দিলো ঝুমুর এর। কেউ আবার সিটিও বাজাচ্ছে।
-----ইরাদঃ- o my god,, একদম ফাটিয়ে ফেলেছো।
-----সজিবঃ- কি আর বলবো। এককথায় অপুর্ব।
3rd person:-সবাই কিছু না কিছু বলেছে ঝুমুর কে। কিন্তু রাফি বাদে। গানটা যে রাফির একদম কলিজা ছুয়ে গেছে। রাফি তো বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে। কেন জানি ওর মনে হচ্ছে গানটা ঝুমুর ওকে কেন্দ্র করেই গেয়েচে। ঝুমুর এর সুর যেন এখনো রাফির কানের কাছে এসে দোল খাচ্ছে।)
-----আয়াষঃ- এখন কি রাফি গান গাইবি?
-----রাফিঃ- না রে এখন গান গাওয়ার মুড নাই। অন্য কিছু বল।
( রাফিকে শত করে বলেও কাজ হলো না। সে গান গাইবে না)
-----নীলঃ--(হতাস হয়ে)-- ওকে এখন তাহলে ড্যান্স হবে।
-----জিনিয়াঃ- couple ড্যান্স হবে। একজোরা একজোরা করে রোমান্টিক গানের সাথে তাল মিলিয়ে নাচবে।
-----মিলিঃ- 1st couple রাফি ভাইয়া আর রিয়া--(হাত তালি দিয়ে)
( নীলা এসব দেখে বিরক্ত হয়ে একাই বিরবির করছে)
-----নীলাশঃ- কি বিরবির করছো??-(নীলার কানের কাছে গিয়ে)
-----নীলাঃ- আপনার মাথা মুন্ড। এগুলা।--(রেগে)
-----নীলাশঃ- ওমা তাই না কি?--OMG--( অবাগ হওয়ার ভান করে)
3rd person:- নীলা আর কিছু বললো না। আর নীলাশ ও সব সময় নীলাকে রাগায়। নীলাকে রাগাতে ওর অনেক ভালো লাগে।
-----রাফিঃ--( এ সুযোগ ঝুমুরকে jealous feel করানোর। এ মহৎ সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবে না)--sure আমি রিয়ার সাথে ড্যান্স করবো।--(ঝুমুর এর দিকে ডেবিল হাসি দিয়ে)
-----ঝুমুঃ--( রাফির কথাটা শুনে ব্যাথিত নয়নে ওর দিকে তাকালাম। নীলা আমার এক হাত ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছে)
-----নীলাঃ- ভাইয়া, যদি রিয়ার সাথে ড্যান্স করতে পারে তাহলে তুই কেন পারবি না অন্যকারো সাথে ড্যান্স করতে?
-----ঝুমুঃ- দেখ নীলা তোর মাথায় যদি কোনো কুবুদ্ধি থাকে তাহলে সেটা ফেলে দে। আমি কারো সাথেই ড্যান্স করতে পারবো না।
----নীলাঃ- সেটা দেখা যাবে।
3rd person:-একে একে রাফি-রিয়া, জিনিয়া-ইশান, ফাহাদ- মিলি, তুহিন- ইশিতা, সজিব- লারা সবাই পর পর couple dance করছে। ঝুমুর নীলা নীলাশ আবির আর ইয়াদ বসে বসে সবার ড্যান্স দেখছে। রাফি তো ঝুমুরকে কষ্ট দেবার জন্য ড্যান্স করছে। ঝুমুর রাফির দিকে করুন নয়নে তাকিয়ে চোখ।সরিয়ে নিলো। এমন সময় নীলাকে নীলাম টান দিয়ে নিয়ে গেলো couple dance করার জন্য। অন্যদিকে ঝুমুরকে ইয়াদ বলছে--
-----ইয়াদঃ- Can you dance with me?-( তুমি আমার সাথে ড্যান্স করবে)?
-----ঝুমুঃ- sorry আমি ড্যান্স করবো না।
-----ইয়াদঃ- দেখো সবাই ড্যান্স করছে। আমরাও করতে পারি Friend হিসেবে। প্লিজ।
-----ঝুমুঃ-- ওকে--(কিছুক্ষণ ভেবে)
3rd person:- ঝুমুর ও চলে গেলো ইয়াদ এর সাথে ড্যান্স করার জন্য। আবির ড্যান্স পছন্দ করে না তাই বসে আছে। হঠাৎ করে রাফির নজর গেলো যে ইয়াদ এর সাথে ঝুমু নাচতাছে। এটা দেখে তো রাফির মাথায় রক্ত উঠে গেলো। না পারছে দেখতে না পারচে সইতে আর না পারছে গিয়ে ঝুমুর এর গালে ঠাসস ঠাসস করে থাপ্পড় মারতে। রাগে তার সারা শরির জ্বলছে।
চলবে.......কি????
Post a Comment